একটি ব্যর্থ নির্বাচনী প্রচারণার কাহিনি
l সোহানুর রহমান অনন্ত l
১.
প্রেমে পড়লে মানুষ দার্শনিক কিংবা কবি হয়, কিন্তু আমাদের মুকিত ভাই হয়েছে বাচাল। একেবারে বিশুদ্ধ বাচাল যাকে বলে। কাউকে পেলেই তার ‘অক্সিজেন’ কলির কথা বলে। কলি কে সেটা একটু পড়ে বলছি। এলাকায় যেহেতু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাই বাউণ্ডুলে গ্রুপেরও একটা দায়িত্ব আছে। পকেট যেভাবে মরুভূমির মতো শুকিয়ে থাকে তাতে ভেবেছিলাম, পকেট ছাড়াই প্যান্ট-শার্ট পড়ব। কিন্তু যেহেতু প্রার্থীর প্রচারণা চালাতে হবে তাই আপাতত সে সিস্টেমে যাচ্ছি না। এলাকার এক বড় ভাই পৌর মেয়র পদে দাঁড়িয়েছেন। তার প্রচারণা করতে হবে আমাদের। মুকিত ভাইকে পাওয়া গেল স্কুলের সামনে। তার ইয়ে আবার স্কুলের টিচার। আমাদের দেখে মুকিত ভাই বলল, ‘কীরে, তোরা এমন শুঁটকির মতো শুকিয়ে যাচ্ছিস কেন?’ মামুন হেসে বলল, ‘ভাই পারসোনাল কথা, সেটা গোপনে বলা যাবে। এখন প্রচারণা তো করতে হবে। টাকা নিয়ে তো অর্ধেক খেয়ে ফেলেছি।’ মুকিত ভাই হেসে বলল, ‘স্কুলের আশপাশে প্রচারণা করলেই তো হয়।’ আমি বিরক্তি নিয়ে বললাম, ‘ভাই, প্রেমের ম্যানহল থেকে একটু বের হন। প্রচারণা না চালালে প্রার্থী আমাদেরকেই পোস্টার বানিয়ে ঝুলিয়ে দেবে।’ মুকিত ভাই মনে হলো কিঞ্চিত্ ভয় পেয়েছে। ‘ঠিকই কইছত কিন্তু আমার কলি...।’ ‘এই ডিজিটাল যুগে আপনি এখনো গুহার মানুষের মতো জীবনযাপন করছেন, আরে ভাই কলির ছবি আপনার মোবাইলে আছে না।’ ‘হুম।’ ‘তাহলে যখন মন পড়বে, ছবি দেখবেন। বাস্তব আর ছবির মধ্যে তফাত্ এতটুকুই। আপনি বাস্তবে ওর দিকে তাকালে রেড সিগন্যাল দেয় আর ছবিতে গ্রিন সিগন্যাল দেবে।’
মনো হয় প্যাঁচটা কাজে লেগেছে। মুকিত ভাই হেসে বলল, ‘চল তাহলে।’ বাউণ্ডুলে ক্লাবের সামনে মাইকিং করে চলছে প্রচারণা, অমুক ভাইয়ের চরিত্র বুড়িগঙ্গার পানির চেয়ে পবিত্র। আমরা জনে জনে খবর দিয়ে এক প্যাকেট করে লবণ গিফট দিচ্ছি, সাথে লিফলেট। মুকিত ভাইকে চিমটি দিয়ে মামুন বলল, ‘ভাই, মানুষ চা খাওয়ায়, টাকা দেয়, আর আমরা লবণ দিতাছি কেন?’ মুকিত ভাই হেসে বলল, ‘দূর বেকুব! কথায় আছে, যার নুন খায় তার গুণ গায়। পাবলিক আমাদের প্রার্থীর নুন খেয়ে প্রার্থীর গুণ গাইব, অন্যদিকে আমাদের প্রাথীও লবণ মার্কায় দাঁড়িয়েছে, কী বুঝলি!’ ‘ভাই আপনি তো মানুষ না।’ ‘কস কী, আমি তাইলে কী?’ ‘আপনি বুদ্ধির খনি।’
এরমধ্যে কলির বড় ভাই এসে বলল, ‘এখানে কি লবণের ফ্যাক্টরি খোলা হইছে নাকি?’ খেয়াল করে দেখলাম মুকিত ভাইয়ের হাঁটু কাঁপছে। আর একটু হলে কাঁপতে কাঁপতে পড়েই যেত। কোনো রকমে আমাকে ধরে দাঁড়িয়ে রইলেন। মামুন হেসে বলল, ‘ভাই আপনাকে এক প্যাকেট লবণ দিই।’ কলির বড় ভাই কষে একটা চড় বসিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বেটা ফাউ লবণ দিলে ভালো কোম্পানির দিবি, এমন হোলসেল খোলা লবণ দিয়ে তো পাবলিকরে ডায়রিয়ার রোগী বানিয়ে দিবি নাকি!’ এবার মুকিত ভাই ডরে চিত্ হয়ে পড়ে জ্ঞান হারালেন।
২.
‘দিন দিন সবকিছু আধুনিক হচ্ছে, তাই প্রচারণাও হতে হবে আধুনিক। যে যত বেশি আধুনিক, পাবলিক তার প্রতি আকৃষ্ট হয় তত বেশি।’ বুদ্ধিটা মুকিত ভাইয়ের মাথা থেকেই বের হলো—প্যারাসুট দিয়ে উড়ে উড়ে প্রচারণা করবে। আমার মাথা থেকে কখনোই উদ্ভট বুদ্ধি বের হয় না। ভাই আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘যেকোনো একজন উড়ে উড়ে লিফলেট বিলাবে।’ আমি হেসে বললাম, ‘ভাই, আপনি সিনিয়র মানুষ, আপনিই শুরু করেন।’ ‘কিন্তু...।’ ‘আপনার কাছে আবার ‘কিন্তু’ বলে কিছু আছে নাকি! আপনি হলেন বাউণ্ডুলে ক্লাবের গর্ব।’ ‘ঠিক আছে তোরা যখন সাহস দিতাছত, আমিই রিক্সটা নিমু।’
ব্যাপক প্রস্ততি নিয়ে আমরা প্রচারণায় নেমে পড়লাম। বিপক্ষ দল নিশ্চয় এমন প্রচারণা দেখে আমাদের বুদ্ধির তারিফ করবে। মুকিত ভাই প্রথম দশ মিনিট ভালোই উড়ে উড়ে প্রচারণা করলেন। তারপরই শুরু হলো তার কাঁপাকাঁপি। ঘটনা বুঝে উঠার আগেই দেখলাম ভাই মধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজে লাগিয়ে নিচের দিকে লাফিয়ে পড়ছে। পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে। প্রচারণা ভেস্তে গেল, মুকিত ভাই পড়ল ম্যানহলে। পরে জানা গেল, সকালে তিনি রাস্তার পাশ থেকে এক গ্লাস খেজুরের রস খেয়েছিলেন। ব্যস উপরে উঠতেই নেগেটিভ পজিটিভ এক হয়ে গেল!
৩.
পোস্টার লাগানোর জন্য তিনজন মিলে পুরো মহল্লা ঘুরে শেষ। অবশ্য মাঝে মাঝে চা বিরতি ছিল। একটা সময় কলিদের বাড়ির সামনে যেতেই মুকিত ভাই বেঁকে বসল—কলিকে এক নজর দেখবে। কিন্তু বললেই তো আর দেখা যায় না। কলির ভাই সিরিয়াস টাইপের লোক। মুকিত ভাইকে বাড়ির একশ গজ দূরে থাকার জন্য বলে রেখেছে। যত সমস্যা তত সমাধানও আছে। একটা আম গাছের ডাল কলির ঘরের জানালার পাশ দিয়ে চলে গেছে। আপাতত সেটাই এভারেস্ট জয় করার রাস্তা। মুকিত ভাই বুকে ফু দিয়ে মাঙ্কি টুপি পরে উঠে পড়লেন। আমরা মাঙ্কি টুপি পরে নিলাম, বলা তো যায় না—কে দেখে ফেলে আবার। শীতকাল তাই এমনিতেই গাছের ডালপাতা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তার ওপর মুকিত ভাইয়ের মতো কাতলা মাছের মতো একজন যদি গাছে ওঠে তাহলে তো ভূমিকম্প হয়ে যাওয়ার কথা। ডালের অর্ধেক যেতেই ক্যার ক্যার করে শব্দ হলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকট বিস্ফোরণ। মানে ডাল ভেঙে মুকিত ভাই মাটিতে পড়েছে। এবার আর ম্যানহল নয়। পড়ল কুকুরের লেজের ওপর, তাত্ক্ষণিক ঘেউ ঘেউ শব্দ। কুকুর দিল মুকিত ভাইকে দৌড়ানি। আমরা দুজন কোনদিকে দৌড় দেব সেটা ভাবতে ভাবতেই মুকিত ভাই এসে বলল, ‘ক্যাবলার মতো দাঁড়ায় না থাইক্কা খিচ্চা দৌড় দে!’ মামুন বলল, ‘প্রচারণা?’ ‘প্রচারণার গুষ্টি কিলাই, চৌদ্দটা ইনজেকশন না খেতে চাইলে দৌড় দে।’ দিলাম দৌড়... একেবারে ভোঁ-দৌড় যাকে বলে। এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে হইচই পড়ে গেল। প্রেম মানুষকে কাছে টানে আবার প্রেম মানুষকে দৌড়ানি খাওয়ায়। ভাগ্য খারাপ হওয়ায় মুকিত ভাই কুকুরের কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো। আর আমাদের প্রচারণাও সুইসাইড করল।
l সোহানুর রহমান অনন্ত l
১.
প্রেমে পড়লে মানুষ দার্শনিক কিংবা কবি হয়, কিন্তু আমাদের মুকিত ভাই হয়েছে বাচাল। একেবারে বিশুদ্ধ বাচাল যাকে বলে। কাউকে পেলেই তার ‘অক্সিজেন’ কলির কথা বলে। কলি কে সেটা একটু পড়ে বলছি। এলাকায় যেহেতু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাই বাউণ্ডুলে গ্রুপেরও একটা দায়িত্ব আছে। পকেট যেভাবে মরুভূমির মতো শুকিয়ে থাকে তাতে ভেবেছিলাম, পকেট ছাড়াই প্যান্ট-শার্ট পড়ব। কিন্তু যেহেতু প্রার্থীর প্রচারণা চালাতে হবে তাই আপাতত সে সিস্টেমে যাচ্ছি না। এলাকার এক বড় ভাই পৌর মেয়র পদে দাঁড়িয়েছেন। তার প্রচারণা করতে হবে আমাদের। মুকিত ভাইকে পাওয়া গেল স্কুলের সামনে। তার ইয়ে আবার স্কুলের টিচার। আমাদের দেখে মুকিত ভাই বলল, ‘কীরে, তোরা এমন শুঁটকির মতো শুকিয়ে যাচ্ছিস কেন?’ মামুন হেসে বলল, ‘ভাই পারসোনাল কথা, সেটা গোপনে বলা যাবে। এখন প্রচারণা তো করতে হবে। টাকা নিয়ে তো অর্ধেক খেয়ে ফেলেছি।’ মুকিত ভাই হেসে বলল, ‘স্কুলের আশপাশে প্রচারণা করলেই তো হয়।’ আমি বিরক্তি নিয়ে বললাম, ‘ভাই, প্রেমের ম্যানহল থেকে একটু বের হন। প্রচারণা না চালালে প্রার্থী আমাদেরকেই পোস্টার বানিয়ে ঝুলিয়ে দেবে।’ মুকিত ভাই মনে হলো কিঞ্চিত্ ভয় পেয়েছে। ‘ঠিকই কইছত কিন্তু আমার কলি...।’ ‘এই ডিজিটাল যুগে আপনি এখনো গুহার মানুষের মতো জীবনযাপন করছেন, আরে ভাই কলির ছবি আপনার মোবাইলে আছে না।’ ‘হুম।’ ‘তাহলে যখন মন পড়বে, ছবি দেখবেন। বাস্তব আর ছবির মধ্যে তফাত্ এতটুকুই। আপনি বাস্তবে ওর দিকে তাকালে রেড সিগন্যাল দেয় আর ছবিতে গ্রিন সিগন্যাল দেবে।’
মনো হয় প্যাঁচটা কাজে লেগেছে। মুকিত ভাই হেসে বলল, ‘চল তাহলে।’ বাউণ্ডুলে ক্লাবের সামনে মাইকিং করে চলছে প্রচারণা, অমুক ভাইয়ের চরিত্র বুড়িগঙ্গার পানির চেয়ে পবিত্র। আমরা জনে জনে খবর দিয়ে এক প্যাকেট করে লবণ গিফট দিচ্ছি, সাথে লিফলেট। মুকিত ভাইকে চিমটি দিয়ে মামুন বলল, ‘ভাই, মানুষ চা খাওয়ায়, টাকা দেয়, আর আমরা লবণ দিতাছি কেন?’ মুকিত ভাই হেসে বলল, ‘দূর বেকুব! কথায় আছে, যার নুন খায় তার গুণ গায়। পাবলিক আমাদের প্রার্থীর নুন খেয়ে প্রার্থীর গুণ গাইব, অন্যদিকে আমাদের প্রাথীও লবণ মার্কায় দাঁড়িয়েছে, কী বুঝলি!’ ‘ভাই আপনি তো মানুষ না।’ ‘কস কী, আমি তাইলে কী?’ ‘আপনি বুদ্ধির খনি।’
এরমধ্যে কলির বড় ভাই এসে বলল, ‘এখানে কি লবণের ফ্যাক্টরি খোলা হইছে নাকি?’ খেয়াল করে দেখলাম মুকিত ভাইয়ের হাঁটু কাঁপছে। আর একটু হলে কাঁপতে কাঁপতে পড়েই যেত। কোনো রকমে আমাকে ধরে দাঁড়িয়ে রইলেন। মামুন হেসে বলল, ‘ভাই আপনাকে এক প্যাকেট লবণ দিই।’ কলির বড় ভাই কষে একটা চড় বসিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বেটা ফাউ লবণ দিলে ভালো কোম্পানির দিবি, এমন হোলসেল খোলা লবণ দিয়ে তো পাবলিকরে ডায়রিয়ার রোগী বানিয়ে দিবি নাকি!’ এবার মুকিত ভাই ডরে চিত্ হয়ে পড়ে জ্ঞান হারালেন।
২.
‘দিন দিন সবকিছু আধুনিক হচ্ছে, তাই প্রচারণাও হতে হবে আধুনিক। যে যত বেশি আধুনিক, পাবলিক তার প্রতি আকৃষ্ট হয় তত বেশি।’ বুদ্ধিটা মুকিত ভাইয়ের মাথা থেকেই বের হলো—প্যারাসুট দিয়ে উড়ে উড়ে প্রচারণা করবে। আমার মাথা থেকে কখনোই উদ্ভট বুদ্ধি বের হয় না। ভাই আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘যেকোনো একজন উড়ে উড়ে লিফলেট বিলাবে।’ আমি হেসে বললাম, ‘ভাই, আপনি সিনিয়র মানুষ, আপনিই শুরু করেন।’ ‘কিন্তু...।’ ‘আপনার কাছে আবার ‘কিন্তু’ বলে কিছু আছে নাকি! আপনি হলেন বাউণ্ডুলে ক্লাবের গর্ব।’ ‘ঠিক আছে তোরা যখন সাহস দিতাছত, আমিই রিক্সটা নিমু।’
ব্যাপক প্রস্ততি নিয়ে আমরা প্রচারণায় নেমে পড়লাম। বিপক্ষ দল নিশ্চয় এমন প্রচারণা দেখে আমাদের বুদ্ধির তারিফ করবে। মুকিত ভাই প্রথম দশ মিনিট ভালোই উড়ে উড়ে প্রচারণা করলেন। তারপরই শুরু হলো তার কাঁপাকাঁপি। ঘটনা বুঝে উঠার আগেই দেখলাম ভাই মধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজে লাগিয়ে নিচের দিকে লাফিয়ে পড়ছে। পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে। প্রচারণা ভেস্তে গেল, মুকিত ভাই পড়ল ম্যানহলে। পরে জানা গেল, সকালে তিনি রাস্তার পাশ থেকে এক গ্লাস খেজুরের রস খেয়েছিলেন। ব্যস উপরে উঠতেই নেগেটিভ পজিটিভ এক হয়ে গেল!
৩.
পোস্টার লাগানোর জন্য তিনজন মিলে পুরো মহল্লা ঘুরে শেষ। অবশ্য মাঝে মাঝে চা বিরতি ছিল। একটা সময় কলিদের বাড়ির সামনে যেতেই মুকিত ভাই বেঁকে বসল—কলিকে এক নজর দেখবে। কিন্তু বললেই তো আর দেখা যায় না। কলির ভাই সিরিয়াস টাইপের লোক। মুকিত ভাইকে বাড়ির একশ গজ দূরে থাকার জন্য বলে রেখেছে। যত সমস্যা তত সমাধানও আছে। একটা আম গাছের ডাল কলির ঘরের জানালার পাশ দিয়ে চলে গেছে। আপাতত সেটাই এভারেস্ট জয় করার রাস্তা। মুকিত ভাই বুকে ফু দিয়ে মাঙ্কি টুপি পরে উঠে পড়লেন। আমরা মাঙ্কি টুপি পরে নিলাম, বলা তো যায় না—কে দেখে ফেলে আবার। শীতকাল তাই এমনিতেই গাছের ডালপাতা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তার ওপর মুকিত ভাইয়ের মতো কাতলা মাছের মতো একজন যদি গাছে ওঠে তাহলে তো ভূমিকম্প হয়ে যাওয়ার কথা। ডালের অর্ধেক যেতেই ক্যার ক্যার করে শব্দ হলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকট বিস্ফোরণ। মানে ডাল ভেঙে মুকিত ভাই মাটিতে পড়েছে। এবার আর ম্যানহল নয়। পড়ল কুকুরের লেজের ওপর, তাত্ক্ষণিক ঘেউ ঘেউ শব্দ। কুকুর দিল মুকিত ভাইকে দৌড়ানি। আমরা দুজন কোনদিকে দৌড় দেব সেটা ভাবতে ভাবতেই মুকিত ভাই এসে বলল, ‘ক্যাবলার মতো দাঁড়ায় না থাইক্কা খিচ্চা দৌড় দে!’ মামুন বলল, ‘প্রচারণা?’ ‘প্রচারণার গুষ্টি কিলাই, চৌদ্দটা ইনজেকশন না খেতে চাইলে দৌড় দে।’ দিলাম দৌড়... একেবারে ভোঁ-দৌড় যাকে বলে। এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে হইচই পড়ে গেল। প্রেম মানুষকে কাছে টানে আবার প্রেম মানুষকে দৌড়ানি খাওয়ায়। ভাগ্য খারাপ হওয়ায় মুকিত ভাই কুকুরের কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো। আর আমাদের প্রচারণাও সুইসাইড করল।
No comments:
Post a Comment