আজ ১৪-২-২০১৬ ইত্তেফাকের ঠাট্টার কাল্পনিক ঠাট্টারুদের ভালোবাসা দিবস....কেউ সেন্সলেস হয়ে গেলে আমি দায়ী নই
ঠাট্টারুদের ভালোবাসা দিবস
ভালোবাসা দিবস আসে যায়, কিন্তু কেউ কি জানেন, ঠাট্টারুদের ভালোবাসা দিবস কীভাবে কাটে? তার-ই কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরেছেন হালের বিখ্যাত কল্পমস্তিষ্কের অধিকারী সোহানুর রহমান অনন্ত
সাইফুল ইসলাম জুয়েল
আমার সহজ-সরল ভাইটার মাথায় ভালোবাসার ভূত চেপেছে। গোপনে শোনা গেছে, তিনি এখন ফেয়ার অ্যান্ড বাবলি ক্রিম মাখেন তরুণীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। ভালোবাসা দিবসেও প্রেমিকা খোঁজার কাজটা অব্যহত থাকবে বলে গুজব নিউজ জানিয়েছে। সুতরাং বলাই যায়, তার ভালোবাসা দিবস খোঁজাখুঁজির মধ্যেই কাটবে।
রবিউল ইসলাম সুমন
দেশের এই একটি মাত্র ব্যক্তি যিনি নিজের ও সবার স্বাস্থ্য ভালো রাখার দায়িত্ব নিয়েছে। মানে কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং এঁকে পাবলিককে দিন দিন হাসির রোগী বানিয়ে ফেলছেন। ভালোবাসা দিবসেও এমন একটা স্ট্যাটাস দেবেন যে হাসতে হাসতে পাবলিকের দাঁত খুলে পড়বে। সুতরাং সুমন ভাই ভালোবাসা দিবসেও সবাইকে হাসির মাঝে রাখবেন বলে জাতি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে।
ইকবাল খন্দকার
ইকবাল ভাই ভুলেও ভালোবাসা দিবসের দিন বাসা থেকে বের হবেন না। কারণ তার এত এত ফ্যান যে রাস্তায় বের হলেই চারদিক থেকে ঘিরে ধরতে পারে। শেষে কোনো রাজনীতিবিদের চোখে পড়লে দেখা যাবে তাকে রাজনীতির মাঠে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন! তখন সেখানেই লেখালেখির ইতি ঘটে যাবে।
জগলুল হায়দার
ছড়ার এই মহারাজা সেদিন এতটাই চাপে থাকবেন যে পাঠকের অনুরোধে সেদিন মুখ দিয়ে ছড়া বলতে বলতে, মুখ ব্যথা হয়ে যেতে পারে। তাই আগে থেকেই ব্যথার বড়ি সঙ্গে রাখবেন। এবং ছড়ায় ছড়ায় সবার সঙ্গে ভাব আদান-প্রদান করবেন।
শরীফ বিল্লাহ
এই ভাইজান তো এমনিতেই ভালোবাসায় টইটম্বুর। তার জন্য তো আর এক্সট্রা ভালোবাসা দিবস লাগে না। এরপরও তিনি ভালোবাসা দিবসে যথারীতি আমজনতাকে খাইয়ে বিল দেওয়ার গুরু দায়িত্বটা নেবেন। সুতরাং, ‘কেউ ফ্রি খাইতে চাইলে চামে খাইয়া লইতে পারেন এই দিনে’।
শামসুল হক শামস
এই ভাইজান এমনিতেই ব্যাপক বিনোদন ফ্রি ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। ইদানীং আবার ফেস পাউডারও মাখা শুরু করছেন। মনে হয় মডেল হওয়ার ইচ্ছা আছে। যাই হোক, ভাইজানের মনে হয় ভালোবাসা দিবসটা একটু ভালোই কাটবে। কারণ ফেস পাউডারের কল্যাণে হয়তো কোনো তরুণী ইনবক্সে প্রপ্রোজ করে বসতে পারে। সুতরাং, ‘লাগে রাহো’।
সোহেল রানা
ভাইজান খুব হাসেন, কিন্তু আম-আদমিদের হাসাতে পছন্দ করেন বেশি। যেহেতু তিনি হাসেন কম, তাই ভাবছেন তার স্বাস্থ্য খারাপ? আরে ভাই না, তিনি তো ব্যাপক স্বাস্থ্যের অধিকারী, কম হাসলেও খান বেশি। চেহারা মাশাল্লাহ। আর তাই ভাই আপনার প্রতি একটা অনুরোধ ভালোবাসা দিবসের দিন ঘর থেকে বাইরে যাবেন না। রাস্তায় আগত তরুণীরা আপনার প্রেমে পড়ে সেন্সলেস হয়ে যেতে পারে।
সোহেল নওরোজ
একজন ভালো মনের অধিকারী আমার এই কবি বন্ধুটি। তিনি গোপনে একাধিক প্রেম করলেও চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই। ইনবক্সে কত মেয়ে যে তাক ‘হায় হ্যান্ডসাম’ বলে মেসেজ করে তা গুনতে গেলে ইহকাল শেষ। তাই এই ভাইটার ভালোবাসা দিবস যে চাঙা যাবে সেটা চোখ ট্যারা করেই বলে দেওয়া যায়।
ইয়াসিন খন্দকার লোভা
ইনি ডায়েট কন্ট্রোলে আছেন বেশ কয়েকটা ছ্যাঁকা খেয়ে। ছ্যাঁকা বলতে রান্না করতে গিয়ে ছ্যাঁকা খাওয়া আরকি। এই ভাইটার ভালোবাসা দিবস ছ্যাঁকা খাওয়ার মাঝেই কাটতে পারে। তাই ভাইটাকে টিপস দিই, এই দিন অন্তত রান্নাঘরে যাওয়ার দরকার নেই। প্রয়োজন হলে আমাকে সঙ্গে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবেন, ‘বিলটা আপনিই দিয়েন সমস্যা নাই’।
বিশ্বজিত্ দাস
স্যার তো সবাইকে আনলিমিটেড ভালোবাসেন। মনে হয় স্যারের কাছে ভালোবাসার খনি-টনি আছে। তাই চিন্তা করে দেখলাম, ভালোবাসা দিবসের দিন স্যারকে বলব কিছু ভালোবাসা ট্রান্সফার করেন, নইলে এইদিন ফতুর হয়ে যাওয়ার চান্স আছে।
মোহাম্মদ আলী জনি
কোন মেয়ে সুন্দর বলছে খোদা জানে, এই ভাইটা তার প্রোফাইল পিক চেঞ্জই করে না। হয়তো বেশি লাইক করে সেই পার্বতীকে। ভালোবাসা দিবসে ওবামা থেকে শুরু করে সবার দাবি প্রোফাইল পিকে ডাবল ছবি দেখতে চাই। অথাত্ আপনি এবং সে।
ফরিদুল ইসলাম নির্জন
ইনি তো প্রেমিক পুরুষ। প্রতিদিনই ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করেন। মানুষের থাকে ভুড়ি ভুড়ি টাকা আর তার আছে ভুড়ি ভুড়ি গার্লফ্রেন্ড। পাঠক এবার বুঝতেই পারছেন ভালোবাসা দিবসে তার অবস্থা কেমন হতে পারে।
রফিকুল ইসলাম কামাল
এই ভাইটা তো সুপারস্টার, একাধিক প্রেম করার অভিজ্ঞতা আছে। যেমন চেহারা, তেমন লেখালেখি। সুতরাং এমন আদমির প্রেমিকা যে ডজনে ডজনে থাকবে সে ব্যাপারে আমি স্বপ্নেও নিশ্চিত। ভালোবাসা দিবসটা একটু দৌড়ের ওপর কাটলেও ব্রেকআপ হওয়ার চান্সও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সোহানুর রহমান অনন্ত
তিনি একাধিক প্রেমিকার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া কথা বলে নিজেই নিখোঁজ হয়ে যাবেন। কারণ ভালোবাসা দিবসে তার অফিস ফুল দিবস খোলা।
নাইমুর লিখন
ইনি হচ্ছেন বর্তমান সময়ের রোমিও। মাঝে মাঝে ডুয়েল ছবি দিয়ে হিট হয়ে যান। তবে ভালোবাসা দিবসের দিন ডুয়েল ঘুরতে গিয়ে ভাইটা কোন টাইপের দৌড়ানি খায় কে জানে। কারণ পিরিতের পেত্নীরা যদি দেখে ফেলে তাহলে তো ম্যানহলে গিয়েও পালানোর সুযোগ থাকবে না।
ঠাট্টারুদের ভালোবাসা দিবস
ভালোবাসা দিবস আসে যায়, কিন্তু কেউ কি জানেন, ঠাট্টারুদের ভালোবাসা দিবস কীভাবে কাটে? তার-ই কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরেছেন হালের বিখ্যাত কল্পমস্তিষ্কের অধিকারী সোহানুর রহমান অনন্ত
সাইফুল ইসলাম জুয়েল
আমার সহজ-সরল ভাইটার মাথায় ভালোবাসার ভূত চেপেছে। গোপনে শোনা গেছে, তিনি এখন ফেয়ার অ্যান্ড বাবলি ক্রিম মাখেন তরুণীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। ভালোবাসা দিবসেও প্রেমিকা খোঁজার কাজটা অব্যহত থাকবে বলে গুজব নিউজ জানিয়েছে। সুতরাং বলাই যায়, তার ভালোবাসা দিবস খোঁজাখুঁজির মধ্যেই কাটবে।
রবিউল ইসলাম সুমন
দেশের এই একটি মাত্র ব্যক্তি যিনি নিজের ও সবার স্বাস্থ্য ভালো রাখার দায়িত্ব নিয়েছে। মানে কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং এঁকে পাবলিককে দিন দিন হাসির রোগী বানিয়ে ফেলছেন। ভালোবাসা দিবসেও এমন একটা স্ট্যাটাস দেবেন যে হাসতে হাসতে পাবলিকের দাঁত খুলে পড়বে। সুতরাং সুমন ভাই ভালোবাসা দিবসেও সবাইকে হাসির মাঝে রাখবেন বলে জাতি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে।
ইকবাল খন্দকার
ইকবাল ভাই ভুলেও ভালোবাসা দিবসের দিন বাসা থেকে বের হবেন না। কারণ তার এত এত ফ্যান যে রাস্তায় বের হলেই চারদিক থেকে ঘিরে ধরতে পারে। শেষে কোনো রাজনীতিবিদের চোখে পড়লে দেখা যাবে তাকে রাজনীতির মাঠে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন! তখন সেখানেই লেখালেখির ইতি ঘটে যাবে।
জগলুল হায়দার
ছড়ার এই মহারাজা সেদিন এতটাই চাপে থাকবেন যে পাঠকের অনুরোধে সেদিন মুখ দিয়ে ছড়া বলতে বলতে, মুখ ব্যথা হয়ে যেতে পারে। তাই আগে থেকেই ব্যথার বড়ি সঙ্গে রাখবেন। এবং ছড়ায় ছড়ায় সবার সঙ্গে ভাব আদান-প্রদান করবেন।
শরীফ বিল্লাহ
এই ভাইজান তো এমনিতেই ভালোবাসায় টইটম্বুর। তার জন্য তো আর এক্সট্রা ভালোবাসা দিবস লাগে না। এরপরও তিনি ভালোবাসা দিবসে যথারীতি আমজনতাকে খাইয়ে বিল দেওয়ার গুরু দায়িত্বটা নেবেন। সুতরাং, ‘কেউ ফ্রি খাইতে চাইলে চামে খাইয়া লইতে পারেন এই দিনে’।
শামসুল হক শামস
এই ভাইজান এমনিতেই ব্যাপক বিনোদন ফ্রি ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। ইদানীং আবার ফেস পাউডারও মাখা শুরু করছেন। মনে হয় মডেল হওয়ার ইচ্ছা আছে। যাই হোক, ভাইজানের মনে হয় ভালোবাসা দিবসটা একটু ভালোই কাটবে। কারণ ফেস পাউডারের কল্যাণে হয়তো কোনো তরুণী ইনবক্সে প্রপ্রোজ করে বসতে পারে। সুতরাং, ‘লাগে রাহো’।
সোহেল রানা
ভাইজান খুব হাসেন, কিন্তু আম-আদমিদের হাসাতে পছন্দ করেন বেশি। যেহেতু তিনি হাসেন কম, তাই ভাবছেন তার স্বাস্থ্য খারাপ? আরে ভাই না, তিনি তো ব্যাপক স্বাস্থ্যের অধিকারী, কম হাসলেও খান বেশি। চেহারা মাশাল্লাহ। আর তাই ভাই আপনার প্রতি একটা অনুরোধ ভালোবাসা দিবসের দিন ঘর থেকে বাইরে যাবেন না। রাস্তায় আগত তরুণীরা আপনার প্রেমে পড়ে সেন্সলেস হয়ে যেতে পারে।
সোহেল নওরোজ
একজন ভালো মনের অধিকারী আমার এই কবি বন্ধুটি। তিনি গোপনে একাধিক প্রেম করলেও চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই। ইনবক্সে কত মেয়ে যে তাক ‘হায় হ্যান্ডসাম’ বলে মেসেজ করে তা গুনতে গেলে ইহকাল শেষ। তাই এই ভাইটার ভালোবাসা দিবস যে চাঙা যাবে সেটা চোখ ট্যারা করেই বলে দেওয়া যায়।
ইয়াসিন খন্দকার লোভা
ইনি ডায়েট কন্ট্রোলে আছেন বেশ কয়েকটা ছ্যাঁকা খেয়ে। ছ্যাঁকা বলতে রান্না করতে গিয়ে ছ্যাঁকা খাওয়া আরকি। এই ভাইটার ভালোবাসা দিবস ছ্যাঁকা খাওয়ার মাঝেই কাটতে পারে। তাই ভাইটাকে টিপস দিই, এই দিন অন্তত রান্নাঘরে যাওয়ার দরকার নেই। প্রয়োজন হলে আমাকে সঙ্গে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবেন, ‘বিলটা আপনিই দিয়েন সমস্যা নাই’।
বিশ্বজিত্ দাস
স্যার তো সবাইকে আনলিমিটেড ভালোবাসেন। মনে হয় স্যারের কাছে ভালোবাসার খনি-টনি আছে। তাই চিন্তা করে দেখলাম, ভালোবাসা দিবসের দিন স্যারকে বলব কিছু ভালোবাসা ট্রান্সফার করেন, নইলে এইদিন ফতুর হয়ে যাওয়ার চান্স আছে।
মোহাম্মদ আলী জনি
কোন মেয়ে সুন্দর বলছে খোদা জানে, এই ভাইটা তার প্রোফাইল পিক চেঞ্জই করে না। হয়তো বেশি লাইক করে সেই পার্বতীকে। ভালোবাসা দিবসে ওবামা থেকে শুরু করে সবার দাবি প্রোফাইল পিকে ডাবল ছবি দেখতে চাই। অথাত্ আপনি এবং সে।
ফরিদুল ইসলাম নির্জন
ইনি তো প্রেমিক পুরুষ। প্রতিদিনই ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করেন। মানুষের থাকে ভুড়ি ভুড়ি টাকা আর তার আছে ভুড়ি ভুড়ি গার্লফ্রেন্ড। পাঠক এবার বুঝতেই পারছেন ভালোবাসা দিবসে তার অবস্থা কেমন হতে পারে।
রফিকুল ইসলাম কামাল
এই ভাইটা তো সুপারস্টার, একাধিক প্রেম করার অভিজ্ঞতা আছে। যেমন চেহারা, তেমন লেখালেখি। সুতরাং এমন আদমির প্রেমিকা যে ডজনে ডজনে থাকবে সে ব্যাপারে আমি স্বপ্নেও নিশ্চিত। ভালোবাসা দিবসটা একটু দৌড়ের ওপর কাটলেও ব্রেকআপ হওয়ার চান্সও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সোহানুর রহমান অনন্ত
তিনি একাধিক প্রেমিকার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া কথা বলে নিজেই নিখোঁজ হয়ে যাবেন। কারণ ভালোবাসা দিবসে তার অফিস ফুল দিবস খোলা।
নাইমুর লিখন
ইনি হচ্ছেন বর্তমান সময়ের রোমিও। মাঝে মাঝে ডুয়েল ছবি দিয়ে হিট হয়ে যান। তবে ভালোবাসা দিবসের দিন ডুয়েল ঘুরতে গিয়ে ভাইটা কোন টাইপের দৌড়ানি খায় কে জানে। কারণ পিরিতের পেত্নীরা যদি দেখে ফেলে তাহলে তো ম্যানহলে গিয়েও পালানোর সুযোগ থাকবে না।
No comments:
Post a Comment