৩১-১-২০১৬ দৈনিক ইত্তেফাকের ঠাট্টায়
অপ্রকাশিত ছিনতাইয়ের ঘটনা
সোহানুর রহমান অনন্ত
আনারকলির ভূতটা এখনো নামেনি মুকিত ভাইয়ের মাথা থেকে। সারাক্ষণ তিনি মজনুর মতো একই নাম জপে। আমাকে বলল, ‘কিছু একটা বুদ্ধি দে, কী করা যায়?’ আমি বললাম, ‘ভাই দামি একটা গিফট কেনেন বাণিজ্য মেলা থেকে। মেয়েরা গিফট পেলে গলে যায়।’ মনে হলো মুকিত ভাইয়ের বুদ্ধিটা পছন্দ হয়েছে। ‘কিন্তু টাকা?’ আমি বললাম, ‘ভাই, টাকা তো অনেক লাগব।’ মুকিত ভাই বলল, ‘এক কাম করি চল, কাউকে মুরগি বানাই।’ ‘মানে?’ ‘রিয়েল ছিনতাই।’ ‘বলেন কী ভাই, আমগো একটা সুনাম আছে। পাবলিক দেখে ফেললে?’ ‘আরে ব্যাটা আমগোরে চিনলে তো তারপর... শোন মাঙ্কি টুপি পরে আমরা ছিনতাই করুম। দেশে এত বড় বড় ছিনতাই হইতাছে, আমরা তো করব মিনি ছিনতাই। আর প্রেমের জন্য সাতখুন মাফ, তুই জানস না?’ ‘ওকে ভাই। আপনি গুরু মানুষ, যা বলবেন সেটাই হবে।’ করিমকে কথাটা বলতেই হেঁচকির ব্যারাম উঠে গেল। পানি খেয়ে বলল, ‘ভাই আপনার না কাঁপুনি রোগ আছে?’ ‘ধুর ব্যাটা, ইজ্জত তো নিহত করে দিলি। আমি তো সিরিয়াস মানুষ। আজ রাতেই অপারেশন হবে।’
কথামতো রাতে আমরা মাঙ্কি টুপি পরে রাস্তার মোড়ে দাঁড়ালাম। একটু পরেই একজনকে আসতে দেখে সামনে এগিয়ে গেলাম। করিম ছুরি বের করে ধরল। মুকিত ভাই ওর কানের নিচে থাপ্পর মেরে বলল, ‘ব্যাটা উল্টো ধরেছিস কেন? ঠিক করে ধর।’ আমি বললাম, ‘কী আছে বাইর কর।’ অন্ধকার, তাই ভালো করে লোকটার চেহারা দেখতে পাইনি। লোকটা এবার পেছন থেকে রামদা বের করে বলল, ‘এই লও এইডা আছে।’ ভালো করে চেয়ে দেখি কান পাকা মুজিব। মুকিত ভাই তো কাঁপতে কাঁপতে পড়ে গেল ডরে। আরেকটু হলে আমিও সেন্সলেস হয়ে যেতাম। যাউগ্গা তা হইনি। তবে ঝেড়ে দৌড় দিলাম। করিমও তাই করল। ছিনতাই গেল ভেস্তে। এসব আমাদের দিয়ে হবে না। পরের অনেক ঘটনা অনেক লম্বা, বলে শেষ করা যাবে না। তবে ‘ছিনতাইকারী’ শোনার পর আনারকলি মুকিত ভাইয়ের সঙ্গে ব্রেকআপ করে দেয়। আহারে এই শীতেও মুকিত ভাইয়ের বিয়েটা হলো না। আফসোস।
অপ্রকাশিত ছিনতাইয়ের ঘটনা
সোহানুর রহমান অনন্ত
আনারকলির ভূতটা এখনো নামেনি মুকিত ভাইয়ের মাথা থেকে। সারাক্ষণ তিনি মজনুর মতো একই নাম জপে। আমাকে বলল, ‘কিছু একটা বুদ্ধি দে, কী করা যায়?’ আমি বললাম, ‘ভাই দামি একটা গিফট কেনেন বাণিজ্য মেলা থেকে। মেয়েরা গিফট পেলে গলে যায়।’ মনে হলো মুকিত ভাইয়ের বুদ্ধিটা পছন্দ হয়েছে। ‘কিন্তু টাকা?’ আমি বললাম, ‘ভাই, টাকা তো অনেক লাগব।’ মুকিত ভাই বলল, ‘এক কাম করি চল, কাউকে মুরগি বানাই।’ ‘মানে?’ ‘রিয়েল ছিনতাই।’ ‘বলেন কী ভাই, আমগো একটা সুনাম আছে। পাবলিক দেখে ফেললে?’ ‘আরে ব্যাটা আমগোরে চিনলে তো তারপর... শোন মাঙ্কি টুপি পরে আমরা ছিনতাই করুম। দেশে এত বড় বড় ছিনতাই হইতাছে, আমরা তো করব মিনি ছিনতাই। আর প্রেমের জন্য সাতখুন মাফ, তুই জানস না?’ ‘ওকে ভাই। আপনি গুরু মানুষ, যা বলবেন সেটাই হবে।’ করিমকে কথাটা বলতেই হেঁচকির ব্যারাম উঠে গেল। পানি খেয়ে বলল, ‘ভাই আপনার না কাঁপুনি রোগ আছে?’ ‘ধুর ব্যাটা, ইজ্জত তো নিহত করে দিলি। আমি তো সিরিয়াস মানুষ। আজ রাতেই অপারেশন হবে।’
কথামতো রাতে আমরা মাঙ্কি টুপি পরে রাস্তার মোড়ে দাঁড়ালাম। একটু পরেই একজনকে আসতে দেখে সামনে এগিয়ে গেলাম। করিম ছুরি বের করে ধরল। মুকিত ভাই ওর কানের নিচে থাপ্পর মেরে বলল, ‘ব্যাটা উল্টো ধরেছিস কেন? ঠিক করে ধর।’ আমি বললাম, ‘কী আছে বাইর কর।’ অন্ধকার, তাই ভালো করে লোকটার চেহারা দেখতে পাইনি। লোকটা এবার পেছন থেকে রামদা বের করে বলল, ‘এই লও এইডা আছে।’ ভালো করে চেয়ে দেখি কান পাকা মুজিব। মুকিত ভাই তো কাঁপতে কাঁপতে পড়ে গেল ডরে। আরেকটু হলে আমিও সেন্সলেস হয়ে যেতাম। যাউগ্গা তা হইনি। তবে ঝেড়ে দৌড় দিলাম। করিমও তাই করল। ছিনতাই গেল ভেস্তে। এসব আমাদের দিয়ে হবে না। পরের অনেক ঘটনা অনেক লম্বা, বলে শেষ করা যাবে না। তবে ‘ছিনতাইকারী’ শোনার পর আনারকলি মুকিত ভাইয়ের সঙ্গে ব্রেকআপ করে দেয়। আহারে এই শীতেও মুকিত ভাইয়ের বিয়েটা হলো না। আফসোস।
No comments:
Post a Comment