গলি গলি মে চোর হ্যায়
l সোহানুর রহমান অনন্ত l
‘প্রেমের জন্য নাকি মানুষ সাত সাগর পারি দিতে পারে। আর তুমি সাধারণ হিন্দি ভাষাটা শিখতে পারবে না? এতেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে—তুমি আমাকে কতটুকু ভালোবাসো!’ আমি থতমত খেয়ে বললাম, ‘আমি কুচকুচ হিন্দি ভাষা জানতা হুঁ। বাট বলতে কেমন চুলকানি লাগে।’ ‘চুলকানি লাগে না ছাই, তুমি একটা হনুমান। তোমার সাথে সম্পর্ক রাখাটাই বোকামি। আমার বান্ধবীর প্রেমিকরা কি সুন্দর হিন্দি ভাষায় চ্যাট করে, কথা বলে, ওহ নো। আজ থেকে নিয়মিত সিরিয়াল দেখবে, বুঝলে।’ ‘হু বুঝলাম।’ ‘আমি রাখছি... (টুট টুট টুট)।’
কান্তাকে নিয়ে বড্ড বিপদে পড়ে গেছি। মেয়েটা সারাদিন সিরিয়াল দেখে। সিরিয়ালে এতটা নেশাগ্রস্ত যে বাংলা কথা বলতে গেলে আজকাল ওর হাঁটু কাঁপে। যাই হোক, প্রেম টিকিয়ে রাখতে গেলে তো একটু ত্যাগ করতেই হবে। কিন্তু মেসে তো টিভি নেই, হিন্দি সিরিয়াল কোথায় দেখব? হঠাত্ জানালা দিয়ে চোখ যেতেই দেখলাম পাশের ফ্ল্যাটের ভাবি হিন্দি সিরিয়াল দেখছেন। যাক বাবা ভালোই হলো, জানালা দিয়ে বসে তাকিয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পর ভাবি দাঁত-মুখ খিঁচে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ওই মিয়া, তোমার মতলব তো ভালো মনে হচ্ছে না।’ আমি হেসে বললাম, ‘ইয়ে মানে ভাবি... হ্যাম তো থোরা হিন্দি সিরিয়াল দেখতাহু। আপনাকে বহাত আচ্ছা লাগতাছে।’ ভাবি আরও রেগে গিয়ে বললেন, ‘কী! আমার দিকে চোখ দেছ, ওই তুমি কই আছ, দেখো তোমার বউয়ের দিকে পাশের বাড়ির ব্যাচেলর পোলা নজর দিতাছে।’ তখনই পাশের রুম থেকে মোটা হাতির মতো একজন দৌড়ে এসে বললেন, ‘আইজকা ওর চোখে কাঠের চশমা পড়াইয়া দিমু, শালার (টুট টুট টুট) কই?’
আমি কোনোরকম জানালা বন্ধ করে বাসা থেকে পালালাম। কী যে করি, মাথায় ঢুকছে না। হঠাত্ মাথায় একটা বুদ্ধি এলো, আরে আমি হিন্দি ভাষার ওপর কোর্স করলেই তো কাম সাড়া। রাস্তার পাশে এদিক ওদিক তাকিয়ে কোর্স সেন্টার খুঁজতে লাগলাম। একজন আদমি এসে আমাকে বলল, ‘ভাই কিতা খুঁজেন?’ আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘হিন্দি ভাষা কোচিং।’ লোকটা বলল, ‘আছে তো, আমার লগে আসেন।’ লোকটার পেছন পেছন আমি যেতে লাগলাম। ঢাকায় এত ভদ্রলোক আছে চিন্তাই করা যায় না। লোকটা একটা অন্ধকার গলিতে ঢুকিয়ে বলল, ‘ওস্তাদ, একটা ঠেলাগাড়ি পাইছি, হালায় অফসাইডে ঘুরতে ছিল।’ এমন সময় একজন মোটা তাড়া ভুঁড়িওয়ালা লোক এসে বলল, ‘কস কি! ওই বেটা, কী আছে বাইর কর? নইলে তোরে গুঁতা দিয়ে ওপরে পাঠাইয়া দিমু।’ আমি ভয় পেয়ে গেলাম। গলিতে কোচিং নয়, গালি গালি মে চোর হ্যায়! তাড়াতাড়ি মোবাইল, টাকা-পয়সা সব দিয়ে দিলাম। ‘এইবার দৌড় দে!’ আমি লোকটার কানে ফিসফিস করে বললাম, ‘ভাই প্রেম নিয়ে বড় যন্ত্রণায় আছি। আপনার তো সব পথ জানা আছে, কন তো হিন্দি ভাষা কোচিং কই পামু।’ ‘আবে হালায় কয় কী? কাইল্লা, ওরে একটা ফ্রি কিক মার তো।’ কোনোরকম দৌড়ে জান নিয়ে পালালাম।
বাসায় এসে দেখি রুমমেট সানি ফ্লোরে পড়ে কাতরাচ্ছে। কী হয়েছে জানতে চাইলে বলল, ‘পাশের বাড়ির ভাবির স্বামী এসে উত্তম-মধ্যম দিয়েছে।’ বুঝতে পারলাম আমাকে না পেয়ে ঝড়টা সানির ওপর দিয়েই গেছে। হিন্দি সিরিয়ালের যন্ত্রণায় ‘লাইফ’টা ‘জীবন’ হয়ে যাচ্ছে!
২.
আমার এক বন্ধু এসে বলল, ‘দোস্ত আমি তো বেদনায় আছি।’ ‘কেন, কী হয়েছে?’ ‘আর বলিস না, তোর ভাবি সারাক্ষণ সিরিয়াল দেখে, সেদিন খেতে বসে টিভির দিকে তাকিয়ে গরম ডাল প্লেটে না দিয়ে আমার হাতের ওপর ঢেলে দিয়েছে।’ ‘কস কী?’ ‘হু, বিপদে আছি বন্ধু।’
প্রমাণ দেখার জন্য বন্ধুর সাথে ওর বাড়িতে গেলাম। গিয়ে দেখি, ভাবি আরাম করে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখছে। ঘরে ঢুকতেই পোড়া পোড়া গন্ধ নাকে এলো, মানে চুলার ওপর তরকারি পুড়ে শেষ। ঘটনা ভয়াবহ। আমি ভাবির কাছে গিয়ে বললাম, ‘ভাবি তরকারি মনে হয় পুড়ে যাচ্ছে। হুঁশ ফিরে পেল কি না কে জানে। কোনোরকম দৌড়ে গিয়ে চুলা বন্ধ করে আবার টিভির সামনে বসল। আমার বন্ধু এবার রেগে গিয়ে বলল, ‘সারাদিন বসে কেবল হিন্দি সিরিয়াল দেখো, তোমার বিরক্ত লাগে না?’ সাথে সাথে ঘরের মধ্যে ১৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখা দিল। চোখের পলকে টিভির রিমোট গিয়ে পড়ল বন্ধুর মাথায়। ‘অ্যাঁ’ করার আগেই ভাবি কয়েকটা কিল ঘুষি মেরে বলল, ‘আমার সিরিয়াল দেখা নিয়ে খোঁচা দিচ্ছ না? আইজকা তোমার এক দিন আর আমার যে কয় বছর লাগে...’ আমি কোনোরকমে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পড়ে জান বাঁচিয়ে পালালাম। কিন্তু বাঁচতে আর পারলাম কই। বন্ধু এবার ধরে বসল, কিছু একটা বুদ্ধি বের করতে হবে আমাকেই। বুদ্ধি দিলাম—চোর দিয়ে টিভিটা চুরি করিয়ে ফেললেই কাম সারা। ব্যস দু’জন মিলে একজন চোর ঠিক করলাম। আমরা বাইরে পাহারা দেব আর চোর বেটা টিভি চুরি করবে। হিসেব মতো রাত দুটোর দিকে চোর ঢুকল চুরি করতে, এবার একটু শান্তি আসবে ঘরে। কিছুক্ষণ পর চোর টিভি নিয়ে এসে বলল, ‘ভাই, চলেন একটা সেলফি তুলি।’ ‘ধুর মিয়া, মশকারা কর।’ ‘না ভাই, এইটা হইলো অপারেশন সাকসেসফুল সেলিব্রেশন।’ বন্ধু আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘চল তুলি।’ চোর বেটা পকেট থেকে চায়না মোবাইল বের করল। তারপর সেটা চেপে ধরতেই এমন ফ্লাশ পড়ল যে আলোকিত হয়ে গেল আশপাশ। ঠিক তখন এলাকার নেড়িকুত্তাগুলো ঘেউ ঘেউ করে আমদের দিকে আসতে লাগল। চোর বেটা টিভি ফেলেই দৌড়, আমি আর বন্ধু দৌড়ে কোনোরকমে চৌদ্দটা ইঞ্জেকশন নেওয়া থেকে বাঁচলাম। এলাকার মধ্যে হইচই পড়ে গেছে—গলির মধ্যে এতক্ষণ চোর দাঁড়িয়েছিল! বন্ধুর নসিব খারাপ, টিভিটা আবারও ওর ঘরে গেছে। হিন্দি সিরিয়ালের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া হলো না। বড়ই পরিতাপ
l সোহানুর রহমান অনন্ত l
‘প্রেমের জন্য নাকি মানুষ সাত সাগর পারি দিতে পারে। আর তুমি সাধারণ হিন্দি ভাষাটা শিখতে পারবে না? এতেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে—তুমি আমাকে কতটুকু ভালোবাসো!’ আমি থতমত খেয়ে বললাম, ‘আমি কুচকুচ হিন্দি ভাষা জানতা হুঁ। বাট বলতে কেমন চুলকানি লাগে।’ ‘চুলকানি লাগে না ছাই, তুমি একটা হনুমান। তোমার সাথে সম্পর্ক রাখাটাই বোকামি। আমার বান্ধবীর প্রেমিকরা কি সুন্দর হিন্দি ভাষায় চ্যাট করে, কথা বলে, ওহ নো। আজ থেকে নিয়মিত সিরিয়াল দেখবে, বুঝলে।’ ‘হু বুঝলাম।’ ‘আমি রাখছি... (টুট টুট টুট)।’
কান্তাকে নিয়ে বড্ড বিপদে পড়ে গেছি। মেয়েটা সারাদিন সিরিয়াল দেখে। সিরিয়ালে এতটা নেশাগ্রস্ত যে বাংলা কথা বলতে গেলে আজকাল ওর হাঁটু কাঁপে। যাই হোক, প্রেম টিকিয়ে রাখতে গেলে তো একটু ত্যাগ করতেই হবে। কিন্তু মেসে তো টিভি নেই, হিন্দি সিরিয়াল কোথায় দেখব? হঠাত্ জানালা দিয়ে চোখ যেতেই দেখলাম পাশের ফ্ল্যাটের ভাবি হিন্দি সিরিয়াল দেখছেন। যাক বাবা ভালোই হলো, জানালা দিয়ে বসে তাকিয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পর ভাবি দাঁত-মুখ খিঁচে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ওই মিয়া, তোমার মতলব তো ভালো মনে হচ্ছে না।’ আমি হেসে বললাম, ‘ইয়ে মানে ভাবি... হ্যাম তো থোরা হিন্দি সিরিয়াল দেখতাহু। আপনাকে বহাত আচ্ছা লাগতাছে।’ ভাবি আরও রেগে গিয়ে বললেন, ‘কী! আমার দিকে চোখ দেছ, ওই তুমি কই আছ, দেখো তোমার বউয়ের দিকে পাশের বাড়ির ব্যাচেলর পোলা নজর দিতাছে।’ তখনই পাশের রুম থেকে মোটা হাতির মতো একজন দৌড়ে এসে বললেন, ‘আইজকা ওর চোখে কাঠের চশমা পড়াইয়া দিমু, শালার (টুট টুট টুট) কই?’
আমি কোনোরকম জানালা বন্ধ করে বাসা থেকে পালালাম। কী যে করি, মাথায় ঢুকছে না। হঠাত্ মাথায় একটা বুদ্ধি এলো, আরে আমি হিন্দি ভাষার ওপর কোর্স করলেই তো কাম সাড়া। রাস্তার পাশে এদিক ওদিক তাকিয়ে কোর্স সেন্টার খুঁজতে লাগলাম। একজন আদমি এসে আমাকে বলল, ‘ভাই কিতা খুঁজেন?’ আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘হিন্দি ভাষা কোচিং।’ লোকটা বলল, ‘আছে তো, আমার লগে আসেন।’ লোকটার পেছন পেছন আমি যেতে লাগলাম। ঢাকায় এত ভদ্রলোক আছে চিন্তাই করা যায় না। লোকটা একটা অন্ধকার গলিতে ঢুকিয়ে বলল, ‘ওস্তাদ, একটা ঠেলাগাড়ি পাইছি, হালায় অফসাইডে ঘুরতে ছিল।’ এমন সময় একজন মোটা তাড়া ভুঁড়িওয়ালা লোক এসে বলল, ‘কস কি! ওই বেটা, কী আছে বাইর কর? নইলে তোরে গুঁতা দিয়ে ওপরে পাঠাইয়া দিমু।’ আমি ভয় পেয়ে গেলাম। গলিতে কোচিং নয়, গালি গালি মে চোর হ্যায়! তাড়াতাড়ি মোবাইল, টাকা-পয়সা সব দিয়ে দিলাম। ‘এইবার দৌড় দে!’ আমি লোকটার কানে ফিসফিস করে বললাম, ‘ভাই প্রেম নিয়ে বড় যন্ত্রণায় আছি। আপনার তো সব পথ জানা আছে, কন তো হিন্দি ভাষা কোচিং কই পামু।’ ‘আবে হালায় কয় কী? কাইল্লা, ওরে একটা ফ্রি কিক মার তো।’ কোনোরকম দৌড়ে জান নিয়ে পালালাম।
বাসায় এসে দেখি রুমমেট সানি ফ্লোরে পড়ে কাতরাচ্ছে। কী হয়েছে জানতে চাইলে বলল, ‘পাশের বাড়ির ভাবির স্বামী এসে উত্তম-মধ্যম দিয়েছে।’ বুঝতে পারলাম আমাকে না পেয়ে ঝড়টা সানির ওপর দিয়েই গেছে। হিন্দি সিরিয়ালের যন্ত্রণায় ‘লাইফ’টা ‘জীবন’ হয়ে যাচ্ছে!
২.
আমার এক বন্ধু এসে বলল, ‘দোস্ত আমি তো বেদনায় আছি।’ ‘কেন, কী হয়েছে?’ ‘আর বলিস না, তোর ভাবি সারাক্ষণ সিরিয়াল দেখে, সেদিন খেতে বসে টিভির দিকে তাকিয়ে গরম ডাল প্লেটে না দিয়ে আমার হাতের ওপর ঢেলে দিয়েছে।’ ‘কস কী?’ ‘হু, বিপদে আছি বন্ধু।’
প্রমাণ দেখার জন্য বন্ধুর সাথে ওর বাড়িতে গেলাম। গিয়ে দেখি, ভাবি আরাম করে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখছে। ঘরে ঢুকতেই পোড়া পোড়া গন্ধ নাকে এলো, মানে চুলার ওপর তরকারি পুড়ে শেষ। ঘটনা ভয়াবহ। আমি ভাবির কাছে গিয়ে বললাম, ‘ভাবি তরকারি মনে হয় পুড়ে যাচ্ছে। হুঁশ ফিরে পেল কি না কে জানে। কোনোরকম দৌড়ে গিয়ে চুলা বন্ধ করে আবার টিভির সামনে বসল। আমার বন্ধু এবার রেগে গিয়ে বলল, ‘সারাদিন বসে কেবল হিন্দি সিরিয়াল দেখো, তোমার বিরক্ত লাগে না?’ সাথে সাথে ঘরের মধ্যে ১৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখা দিল। চোখের পলকে টিভির রিমোট গিয়ে পড়ল বন্ধুর মাথায়। ‘অ্যাঁ’ করার আগেই ভাবি কয়েকটা কিল ঘুষি মেরে বলল, ‘আমার সিরিয়াল দেখা নিয়ে খোঁচা দিচ্ছ না? আইজকা তোমার এক দিন আর আমার যে কয় বছর লাগে...’ আমি কোনোরকমে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পড়ে জান বাঁচিয়ে পালালাম। কিন্তু বাঁচতে আর পারলাম কই। বন্ধু এবার ধরে বসল, কিছু একটা বুদ্ধি বের করতে হবে আমাকেই। বুদ্ধি দিলাম—চোর দিয়ে টিভিটা চুরি করিয়ে ফেললেই কাম সারা। ব্যস দু’জন মিলে একজন চোর ঠিক করলাম। আমরা বাইরে পাহারা দেব আর চোর বেটা টিভি চুরি করবে। হিসেব মতো রাত দুটোর দিকে চোর ঢুকল চুরি করতে, এবার একটু শান্তি আসবে ঘরে। কিছুক্ষণ পর চোর টিভি নিয়ে এসে বলল, ‘ভাই, চলেন একটা সেলফি তুলি।’ ‘ধুর মিয়া, মশকারা কর।’ ‘না ভাই, এইটা হইলো অপারেশন সাকসেসফুল সেলিব্রেশন।’ বন্ধু আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘চল তুলি।’ চোর বেটা পকেট থেকে চায়না মোবাইল বের করল। তারপর সেটা চেপে ধরতেই এমন ফ্লাশ পড়ল যে আলোকিত হয়ে গেল আশপাশ। ঠিক তখন এলাকার নেড়িকুত্তাগুলো ঘেউ ঘেউ করে আমদের দিকে আসতে লাগল। চোর বেটা টিভি ফেলেই দৌড়, আমি আর বন্ধু দৌড়ে কোনোরকমে চৌদ্দটা ইঞ্জেকশন নেওয়া থেকে বাঁচলাম। এলাকার মধ্যে হইচই পড়ে গেছে—গলির মধ্যে এতক্ষণ চোর দাঁড়িয়েছিল! বন্ধুর নসিব খারাপ, টিভিটা আবারও ওর ঘরে গেছে। হিন্দি সিরিয়ালের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া হলো না। বড়ই পরিতাপ
No comments:
Post a Comment