ফেসবুকের প্রভাব
০১ নভেম্বর, ২০১৫ ইং
ফেসবুকের প্রভাব
l সোহানুর রহমান অনন্ত l
বিয়ের আগে ও পরে
বিয়ের আগে সময় পেলেই ফেসবুকে উঁকিঝুকি, সুন্দরী মেয়ে দেখলেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। জীবনে কবিতা না লিখলেও, দু-এক লাইন কবিতা লেখা। রাতের ঘুম হারাম করে চ্যাট-বালিকাকে খোঁজা, আরও কত কী! বিয়ের পর, বউয়ের ফেস দেখেই তো জীবন শেষ ফেসবুকে আর বসার সময় কই? তারপরও বসলেই অমুক-তমুক স্ট্যাটাস—আজ বউ এটা রেঁধেছে, বউয়ের সাথে অমুক জায়গায় ঘুরতে গেলাম, মশারি টানানো নিয়ে ঝগড়া করলাম... আরও কত কী!
চাকরি পাওয়ার আগে ও পরে
সারাক্ষণই হতাশামাখা স্ট্যাটাস। পারলে দিনে দশবার সুইসাইড করে এমন নোট লেখা। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে পায়ের জুতা শেষ, তার ছবি ফেসবুকে আপলোড দেওয়া ইত্যাদি। চাকরি পাওয়ার পড়ে অমুকের সাথে সেলফি, তমুকের সাথে ডিনার। আজ কাজ করতে করতে টায়ার্ড, হেনতেন কত কিছু যে সারাদিন ভরে দেয়।
প্রেমের আগে ও পরে
প্রেমের আগে সবকিছু শো করে রাখা। দিনভর সুন্দরী মেয়েদের আইডিতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। ওয়ালজুড়ে রোমান্টিক কবিতা, আর কথায় ভরে থাকা। মেয়েদের চ্যাটে দেখলেই হায়-হ্যালো করা। আর প্রেম হয়ে গেলে সবকিছু ‘অনলি মি’ করে ফেলা। বলা তো যায় না... কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যদি সাপ বের হয়ে যায়। তাই বিকল্প আইডি খুলে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ধার নেওয়ার আগে ও পরে
টাকা ধার নেওয়ার আগে পারলে বন্ধুকে মাথায় তুলে রাখা। দিনে চারবার বন্ধুর খোঁজখবর রাখা, ফেসবুকে বন্ধু আমার বন্ধু লিখে স্ট্যাটাস দেওয়া। সুযোগ পেলেই বন্ধুকে নিয়ে টঙের দোকানে চা, সিঙ্গারা খেতে বসে পড়া। তার সেলফিও আপলোড করা হয়। আর টাকা ধার নেওয়া হয়ে গেলে। বন্ধুর ছায়া দেখলেই জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা। পারলে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা ফেসবুকে বন্ধুকে গালমন্দ করা। বন্ধুর আইডিকে ব্লক মেরে চুপচাপ ঝিম মেরে থাকা হয়।
০১ নভেম্বর, ২০১৫ ইং
ফেসবুকের প্রভাব
l সোহানুর রহমান অনন্ত l
বিয়ের আগে ও পরে
বিয়ের আগে সময় পেলেই ফেসবুকে উঁকিঝুকি, সুন্দরী মেয়ে দেখলেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। জীবনে কবিতা না লিখলেও, দু-এক লাইন কবিতা লেখা। রাতের ঘুম হারাম করে চ্যাট-বালিকাকে খোঁজা, আরও কত কী! বিয়ের পর, বউয়ের ফেস দেখেই তো জীবন শেষ ফেসবুকে আর বসার সময় কই? তারপরও বসলেই অমুক-তমুক স্ট্যাটাস—আজ বউ এটা রেঁধেছে, বউয়ের সাথে অমুক জায়গায় ঘুরতে গেলাম, মশারি টানানো নিয়ে ঝগড়া করলাম... আরও কত কী!
চাকরি পাওয়ার আগে ও পরে
সারাক্ষণই হতাশামাখা স্ট্যাটাস। পারলে দিনে দশবার সুইসাইড করে এমন নোট লেখা। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে পায়ের জুতা শেষ, তার ছবি ফেসবুকে আপলোড দেওয়া ইত্যাদি। চাকরি পাওয়ার পড়ে অমুকের সাথে সেলফি, তমুকের সাথে ডিনার। আজ কাজ করতে করতে টায়ার্ড, হেনতেন কত কিছু যে সারাদিন ভরে দেয়।
প্রেমের আগে ও পরে
প্রেমের আগে সবকিছু শো করে রাখা। দিনভর সুন্দরী মেয়েদের আইডিতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। ওয়ালজুড়ে রোমান্টিক কবিতা, আর কথায় ভরে থাকা। মেয়েদের চ্যাটে দেখলেই হায়-হ্যালো করা। আর প্রেম হয়ে গেলে সবকিছু ‘অনলি মি’ করে ফেলা। বলা তো যায় না... কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যদি সাপ বের হয়ে যায়। তাই বিকল্প আইডি খুলে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ধার নেওয়ার আগে ও পরে
টাকা ধার নেওয়ার আগে পারলে বন্ধুকে মাথায় তুলে রাখা। দিনে চারবার বন্ধুর খোঁজখবর রাখা, ফেসবুকে বন্ধু আমার বন্ধু লিখে স্ট্যাটাস দেওয়া। সুযোগ পেলেই বন্ধুকে নিয়ে টঙের দোকানে চা, সিঙ্গারা খেতে বসে পড়া। তার সেলফিও আপলোড করা হয়। আর টাকা ধার নেওয়া হয়ে গেলে। বন্ধুর ছায়া দেখলেই জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা। পারলে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা ফেসবুকে বন্ধুকে গালমন্দ করা। বন্ধুর আইডিকে ব্লক মেরে চুপচাপ ঝিম মেরে থাকা হয়।
No comments:
Post a Comment