২৮ আগস্ট ২০১৪, বৃহস্পতিবার daily noyadeganta
কাছে-দূরে
সোহানুর রহমান অনন্ত
কাউন্টারে তিল ধারণের জায়গা নেই। কোনো রকম বাসে উঠে বসলাম। এত বিরক্তির মধ্যেও আনন্দ আছে। বাড়ি ফেরার আনন্দ, মায়ের মুখ দেখার আনন্দ। আমার পাশের সিটে একটি মেয়ে বসেছে; যাকে বলে একেবারে আধুনিক স্টাইলের মেয়ে। আমি ব্যাগটা রেখে বসে পড়লাম। পাশের সিটের মেয়েটি কানে হেডফোন লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে গান শুনছে।
আমি মাঝে মধ্যে মেয়েটির দিকে টেরাভাবে তাকাচ্ছিলাম। সে একমনে গান শুনে যাচ্ছে। বাস চলতে শুরু করল ধীরে ধীরে। ইট-পাথরের শহর ছেড়ে দূর গাঁয়ের উদ্দেশে। গাড়ির মধ্যে যাত্রীদের হইচই থেমে গেছে। আমার চোখ একবার জানালায়, একবার মেয়েটির দিকে। পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফেসবুক ওপেন করলাম। পিকচারবিহীন মেয়েটির মেসেজ। অবশ্য অনেক আগে পাঠিয়ে রেখেছে।
আমি কোনো উত্তর না দিয়ে হোমপেজ দেখছিলাম। এমন সময় পাশের মেয়েটি কানের হেডফোন খুলে একবার আমার দিকে তাকাল। তারপর জানালা দিয়ে বাইরে চোখ রাখল। আমি আবারো টেরা চোখে তাকাতে লাগলাম। ছেলেদের মনের ভাষা বুঝে ফেলার অসাধারণ এক মতা নাকি মেয়েদের মধ্যে আছে। সেটাই সম্ভবত হয়েছে। মেয়েটি বোধহয় বুঝে ফেলেছে আমার আড়চোখে দেখার ব্যাপারটা। আর তাকাব না পণ করে মোবাইলে চোখ রাখলাম। একটা স্ট্যাটাস দিলাম বাড়ি যাওয়া নিয়ে।
পিকচারবিহীন মেয়েটি এখন লাইনে। কেমন আছো? ফাইন, ইউ? আছি ভালো, তুমি? ভালো, ঈদ কোথায় করবে? বাড়িতে যাচ্ছি, ওখানেই বাবা-মায়ের সাথে করব। কিভাবে যেন পাশের সিটের মেয়েটির দিকে আবার চোখ চলে গেল। মুচকি মুকচি হাসছে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে। অবশ্য এমন একটি সুন্দরী মেয়ে পাশে বসা থাকলে চোখ ভুল করতেই পারে।
এভাবে আবার তাকানোর জন্য নিজেকেই নিজে বকতে লাগলাম। আমিও বাড়ি যাচ্ছি, এখন বাসেÑ বলল পিকচারবিহীন মেয়েটি। ভেরি গুড, তা তোমার পিকচার দাও না কেন? আমি পিকচারবিহীন মানুষ হা হা হা। কিভাবে যেন সময় চলে গেল।
বাস এসে থেমেছে জংতলা স্টেশনে। এখানেই নামব আমি। নামার আগে ইনবক্সে আরো একটা মেসেজ এলো। আপনি এখন কোথায়? পিকচারবিহীন মেয়েটি জানতে চাইল। জংতলা স্টেশনে, ঈগল কাউন্টারের সামনে বাস থেকে নামব। এই বলে মাত্র বাস থেকে নামলাম। আবারো মেসেজÑ বলেন কী! আমিও তো জংতলা স্টেশনে, ঈগল বাসে বসে আছি। বেশ উত্তেজিত হয়ে গেলাম, কোথায় তুমি? আমি তো বাসের কাছেই। মেয়েটি জানালা দিয়ে মাথা বের তাকাল। আমিও তাকালাম, চোখে চোখ পড়ে গেল। বাস ততণে চলতে শুরু করেছে।
হায় নিয়তি! এতটা পথ যার সাথে বসে এলাম সেই যে পিকচারবিহীন বালিকা, সেটা কে জানত। বাস এক সময় চোখের আড়াল হয়ে গেল। আমি তখনো তাকিয়ে রইলাম। ফেসবুক ইনবক্সে মেসেজের টুংটাং শব্দ।
কাছে-দূরে
সোহানুর রহমান অনন্ত
কাউন্টারে তিল ধারণের জায়গা নেই। কোনো রকম বাসে উঠে বসলাম। এত বিরক্তির মধ্যেও আনন্দ আছে। বাড়ি ফেরার আনন্দ, মায়ের মুখ দেখার আনন্দ। আমার পাশের সিটে একটি মেয়ে বসেছে; যাকে বলে একেবারে আধুনিক স্টাইলের মেয়ে। আমি ব্যাগটা রেখে বসে পড়লাম। পাশের সিটের মেয়েটি কানে হেডফোন লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে গান শুনছে।
আমি মাঝে মধ্যে মেয়েটির দিকে টেরাভাবে তাকাচ্ছিলাম। সে একমনে গান শুনে যাচ্ছে। বাস চলতে শুরু করল ধীরে ধীরে। ইট-পাথরের শহর ছেড়ে দূর গাঁয়ের উদ্দেশে। গাড়ির মধ্যে যাত্রীদের হইচই থেমে গেছে। আমার চোখ একবার জানালায়, একবার মেয়েটির দিকে। পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফেসবুক ওপেন করলাম। পিকচারবিহীন মেয়েটির মেসেজ। অবশ্য অনেক আগে পাঠিয়ে রেখেছে।
আমি কোনো উত্তর না দিয়ে হোমপেজ দেখছিলাম। এমন সময় পাশের মেয়েটি কানের হেডফোন খুলে একবার আমার দিকে তাকাল। তারপর জানালা দিয়ে বাইরে চোখ রাখল। আমি আবারো টেরা চোখে তাকাতে লাগলাম। ছেলেদের মনের ভাষা বুঝে ফেলার অসাধারণ এক মতা নাকি মেয়েদের মধ্যে আছে। সেটাই সম্ভবত হয়েছে। মেয়েটি বোধহয় বুঝে ফেলেছে আমার আড়চোখে দেখার ব্যাপারটা। আর তাকাব না পণ করে মোবাইলে চোখ রাখলাম। একটা স্ট্যাটাস দিলাম বাড়ি যাওয়া নিয়ে।
পিকচারবিহীন মেয়েটি এখন লাইনে। কেমন আছো? ফাইন, ইউ? আছি ভালো, তুমি? ভালো, ঈদ কোথায় করবে? বাড়িতে যাচ্ছি, ওখানেই বাবা-মায়ের সাথে করব। কিভাবে যেন পাশের সিটের মেয়েটির দিকে আবার চোখ চলে গেল। মুচকি মুকচি হাসছে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে। অবশ্য এমন একটি সুন্দরী মেয়ে পাশে বসা থাকলে চোখ ভুল করতেই পারে।
এভাবে আবার তাকানোর জন্য নিজেকেই নিজে বকতে লাগলাম। আমিও বাড়ি যাচ্ছি, এখন বাসেÑ বলল পিকচারবিহীন মেয়েটি। ভেরি গুড, তা তোমার পিকচার দাও না কেন? আমি পিকচারবিহীন মানুষ হা হা হা। কিভাবে যেন সময় চলে গেল।
বাস এসে থেমেছে জংতলা স্টেশনে। এখানেই নামব আমি। নামার আগে ইনবক্সে আরো একটা মেসেজ এলো। আপনি এখন কোথায়? পিকচারবিহীন মেয়েটি জানতে চাইল। জংতলা স্টেশনে, ঈগল কাউন্টারের সামনে বাস থেকে নামব। এই বলে মাত্র বাস থেকে নামলাম। আবারো মেসেজÑ বলেন কী! আমিও তো জংতলা স্টেশনে, ঈগল বাসে বসে আছি। বেশ উত্তেজিত হয়ে গেলাম, কোথায় তুমি? আমি তো বাসের কাছেই। মেয়েটি জানালা দিয়ে মাথা বের তাকাল। আমিও তাকালাম, চোখে চোখ পড়ে গেল। বাস ততণে চলতে শুরু করেছে।
হায় নিয়তি! এতটা পথ যার সাথে বসে এলাম সেই যে পিকচারবিহীন বালিকা, সেটা কে জানত। বাস এক সময় চোখের আড়াল হয়ে গেল। আমি তখনো তাকিয়ে রইলাম। ফেসবুক ইনবক্সে মেসেজের টুংটাং শব্দ।
No comments:
Post a Comment