এক
সকালে লোকটি কলিংবেল টেপার শব্দে ঘুম ভাঙে আমার....লোকটাকেই দেখেই কেন যেন
খুব খারাপ লাগে...ছদ্দনামে লিখে ফেললাম তাকে নিয়ে আজকের অবকাশে
.................লোকটার আরো কিছু ছবি আছে আমি কমেন্টে দিয়ে দিচ্ছি
একজন মজিবুর রহমান
প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি সুন্দর স্বপ্ন থাকে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখে-শান্তিকে বেঁচে থাকা। কিন্তু কারো কারো জীবনে সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। তেমনি একজন স্বপ্নভাঙা মানুষ মজিবুর রহমান। ষাটের কাছাকাছি বয়স, একসময়ের দাপটে মানুষটি এখন নিয়তির কাছে পরাজিত হয়ে মানুষের কাছে হাত পাতছে দু’টি টাকার জন্য। গাইবান্ধার ধানগড়া গ্রামে জন্ম তার। ধানের মিলে কাজ করে সংসার কোনো রকম চলছিল। ছেলে সন্তানের আশায় একে একে পাঁচটি মেয়ে হলো। অভাবের সংসারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানে মেয়েদের পড়ানোর কথা চিন্তা করাও পাপ। একে একে মেয়েদের বিয়ে দেন, কেবল ছোট মেয়েটি পড়াশোনা করছিল। কারো স্বামী রিকশাচালক, কেউবা বাসের হেলপার অথবা ড্রাইভার। মেয়েরা সুখে থাকলেই তার সুখ। তবে সুখের দিন যেন একটি জ্বলন্ত মোমের মতো হালকা বাতাসেও নিভে যায়। তেমনি চালের মিলে কাজ করতে গিয়ে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তার শরীরের নিচের অংশ পুড়ে যায়। এরপর শুরু হলো কষ্টের দিন। চিকিৎসার জন্য মিল থেকে যা দেয়া হতো তা খুবই কম, তাই নিজের সম্পত্তি আস্তে আস্তে বিক্রি করতে হলো। একটা সময় শারীরিক দুর্বলতার কারণে মিলের চাকরিটাও হারালেন। চলে এলেন ঢাকায়। কাজলা মৃধাবাড়ি ময়লার রাস্তার পাশে একটি বাসা ভাড়া করলেন। চাকরি নিলেন নাইট গার্ডের। বেশ কিছু দিন কাজ করার পর হঠাৎ একদিন হার্ট অ্যাটাক হলো। মজিবুরের ভাগ্য আবারো নিয়ম পাল্টে দিলো। শরীর দুর্বল হওয়ায় চাকরি আর করতে পারলেন না। এ দিকে স্ত্রী ও ছোট মেয়েটি উপস থাকে। মেয়ের জামাইদের কাছেও হাত পাততে রাজি নন তিনি। ছোট মেয়েটি পড়াশোনা বাদ দিয়ে একটি জুতার কারখানায় কাজে লেগে গেল। আর মজিবুর রহমান শুরু করলেন ভিক্ষা করা। প্রতিদিন অনেকটা পথ হেঁটে ভিক্ষা করেন। যা জোটে তাতে কোনো রকম চলে যায়। বয়সের ভারে শরীর নুয়ে গেলেও, জীবনের কাছে তিনি মাথা নত করেননি। এভাবেই মজিবুর নিজের নিয়তির সাথে খেলে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কে জানে এই খেলার শেষ কোথায়।
একজন মজিবুর রহমান
প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি সুন্দর স্বপ্ন থাকে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখে-শান্তিকে বেঁচে থাকা। কিন্তু কারো কারো জীবনে সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। তেমনি একজন স্বপ্নভাঙা মানুষ মজিবুর রহমান। ষাটের কাছাকাছি বয়স, একসময়ের দাপটে মানুষটি এখন নিয়তির কাছে পরাজিত হয়ে মানুষের কাছে হাত পাতছে দু’টি টাকার জন্য। গাইবান্ধার ধানগড়া গ্রামে জন্ম তার। ধানের মিলে কাজ করে সংসার কোনো রকম চলছিল। ছেলে সন্তানের আশায় একে একে পাঁচটি মেয়ে হলো। অভাবের সংসারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানে মেয়েদের পড়ানোর কথা চিন্তা করাও পাপ। একে একে মেয়েদের বিয়ে দেন, কেবল ছোট মেয়েটি পড়াশোনা করছিল। কারো স্বামী রিকশাচালক, কেউবা বাসের হেলপার অথবা ড্রাইভার। মেয়েরা সুখে থাকলেই তার সুখ। তবে সুখের দিন যেন একটি জ্বলন্ত মোমের মতো হালকা বাতাসেও নিভে যায়। তেমনি চালের মিলে কাজ করতে গিয়ে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তার শরীরের নিচের অংশ পুড়ে যায়। এরপর শুরু হলো কষ্টের দিন। চিকিৎসার জন্য মিল থেকে যা দেয়া হতো তা খুবই কম, তাই নিজের সম্পত্তি আস্তে আস্তে বিক্রি করতে হলো। একটা সময় শারীরিক দুর্বলতার কারণে মিলের চাকরিটাও হারালেন। চলে এলেন ঢাকায়। কাজলা মৃধাবাড়ি ময়লার রাস্তার পাশে একটি বাসা ভাড়া করলেন। চাকরি নিলেন নাইট গার্ডের। বেশ কিছু দিন কাজ করার পর হঠাৎ একদিন হার্ট অ্যাটাক হলো। মজিবুরের ভাগ্য আবারো নিয়ম পাল্টে দিলো। শরীর দুর্বল হওয়ায় চাকরি আর করতে পারলেন না। এ দিকে স্ত্রী ও ছোট মেয়েটি উপস থাকে। মেয়ের জামাইদের কাছেও হাত পাততে রাজি নন তিনি। ছোট মেয়েটি পড়াশোনা বাদ দিয়ে একটি জুতার কারখানায় কাজে লেগে গেল। আর মজিবুর রহমান শুরু করলেন ভিক্ষা করা। প্রতিদিন অনেকটা পথ হেঁটে ভিক্ষা করেন। যা জোটে তাতে কোনো রকম চলে যায়। বয়সের ভারে শরীর নুয়ে গেলেও, জীবনের কাছে তিনি মাথা নত করেননি। এভাবেই মজিবুর নিজের নিয়তির সাথে খেলে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কে জানে এই খেলার শেষ কোথায়।
No comments:
Post a Comment