16-08-2014 Daily samokal-ar Khola haway
বোকা
সোহানুর রহমান অনন্ত
ফুচকার বিল তো তোর কাছে কখনোই থাকে না_ বলেই খিলখিল করে হেসে উঠল বৃষ্টি। হাসি যেন আর থামতেই চায় না। বৃষ্টিটা এমনই। এমন প্রাণখোলা হাসি আমি আর কোনো মেয়ের মুখে কোনো দিন দেখিনি।
'বিশ্বাস কর, তোর সঙ্গে ফুচকা খেতে আসলেই আমার কেমন যেন স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়ে যায়। কোন পকেটে যে টাকা রাখি সেটাই ভুলে যাই।' আমিও হেসে জবাব দিই।
'ইস রে, বন্ধু না হয়ে প্রেমিকা হলে তো ঠিকই সব মনে থাকত।'
'তুই কি আমার প্রেমিকা হবি?' ঠাট্টার ছলেই বললাম।
'আমার তো আর তোর মতো স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয় নাই।'
'আজ ক্লাসে নতুন মেয়েটাকে দেখেছিস, আমার দিকে কীভাবে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকাচ্ছিল?'
'তোর মাথায় যে একটা শিং গজিয়েছে সেটা দেখছিল।'
'তুই সব সময় আমাকে নিয়ে ইয়ার্কি করিস, একবার দূরে যাই বুঝবি তখন।' এই বলে আমি উঠে গেলাম।
কয়েক দিন পরের কথা। আকাশটা মেঘলা। বৃষ্টিকে ফোন দিই আমি। রিসিভ করেই বৃষ্টি বলল, 'এই অসময় ফোন করলি? কাহিনী কী বল তো?'
'আমি অসময়ের মানুষ।'
'ধ্যাত! কী জন্য ফোন করেছিস?'
'একবার ছাদে উঠে দাঁড়াবি? বৃষ্টি হচ্ছে খুব। দাঁড়া না একবার।' আমার কণ্ঠে আকুতি
'ঠিক আছে ফোন রাখ, বৃষ্টিতে ভিজে যদি আমি অসুস্থ হই তাহলে মনে রাখবি তোর খবর আছে।'
'ওকে।' বৃষ্টি ছাদে উঠে দাঁড়াল, আমি দাঁড়িয়ে রাস্তার পাশে।
'কেন ছাদে উঠতে বললি?' ছাদে উঠে ফোন করল বৃষ্টি।
'তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল।'
'বাসায় আসলেই তো দেখতে পারতি।'
'সেই দেখা আর এই দেখার মাঝে অনেক পার্থক্য। বৃষ্টির রঙে আঁকা বৃষ্টিকে দেখছি আমি।' বৃষ্টি হেসে উঠল। তোর মোবাইলে একটা মেসেজ করেছি আমি চলে যাওয়ার পর দেখিস।
আমি চলে যেতেই ইনবক্স খুলে মেসেজ পড়ে বৃষ্টি। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বৃষ্টি বলল, 'তুই কি সত্যি আমাকে ভালোবাসিস?'
'কেন, তোকে ভালোবাসা যাবে না?'
'আমি কি তাই বলেছি, কেন_ বন্ধুত্বটা থাকলে হয় না?'
'কেন যেন তোকে খুব আপন মনে হয়!'
'তাই?'
'হুঁ।'
'বিয়ে করতে পারবি আমাকে?'
'কেন পারব না, কাজী অফিসে গেলেই তো বিয়ের কাজ শেষ।'
'তুই একটা বোকা।'
'এই বোকা ছেলেটাকে একটু ভালোবাসবি?'
'তুই আসলেই একটা বোকা। কিচ্ছু বুঝিস না!।' ফোনটা রেখে দেয় বৃষ্টি। আমার খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছিল বৃষ্টির কথা শুনে। আহা! ভালোবাসা এমন সুখের হয় কেন?
বোকা
সোহানুর রহমান অনন্ত
ফুচকার বিল তো তোর কাছে কখনোই থাকে না_ বলেই খিলখিল করে হেসে উঠল বৃষ্টি। হাসি যেন আর থামতেই চায় না। বৃষ্টিটা এমনই। এমন প্রাণখোলা হাসি আমি আর কোনো মেয়ের মুখে কোনো দিন দেখিনি।
'বিশ্বাস কর, তোর সঙ্গে ফুচকা খেতে আসলেই আমার কেমন যেন স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়ে যায়। কোন পকেটে যে টাকা রাখি সেটাই ভুলে যাই।' আমিও হেসে জবাব দিই।
'ইস রে, বন্ধু না হয়ে প্রেমিকা হলে তো ঠিকই সব মনে থাকত।'
'তুই কি আমার প্রেমিকা হবি?' ঠাট্টার ছলেই বললাম।
'আমার তো আর তোর মতো স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয় নাই।'
'আজ ক্লাসে নতুন মেয়েটাকে দেখেছিস, আমার দিকে কীভাবে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকাচ্ছিল?'
'তোর মাথায় যে একটা শিং গজিয়েছে সেটা দেখছিল।'
'তুই সব সময় আমাকে নিয়ে ইয়ার্কি করিস, একবার দূরে যাই বুঝবি তখন।' এই বলে আমি উঠে গেলাম।
কয়েক দিন পরের কথা। আকাশটা মেঘলা। বৃষ্টিকে ফোন দিই আমি। রিসিভ করেই বৃষ্টি বলল, 'এই অসময় ফোন করলি? কাহিনী কী বল তো?'
'আমি অসময়ের মানুষ।'
'ধ্যাত! কী জন্য ফোন করেছিস?'
'একবার ছাদে উঠে দাঁড়াবি? বৃষ্টি হচ্ছে খুব। দাঁড়া না একবার।' আমার কণ্ঠে আকুতি
'ঠিক আছে ফোন রাখ, বৃষ্টিতে ভিজে যদি আমি অসুস্থ হই তাহলে মনে রাখবি তোর খবর আছে।'
'ওকে।' বৃষ্টি ছাদে উঠে দাঁড়াল, আমি দাঁড়িয়ে রাস্তার পাশে।
'কেন ছাদে উঠতে বললি?' ছাদে উঠে ফোন করল বৃষ্টি।
'তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল।'
'বাসায় আসলেই তো দেখতে পারতি।'
'সেই দেখা আর এই দেখার মাঝে অনেক পার্থক্য। বৃষ্টির রঙে আঁকা বৃষ্টিকে দেখছি আমি।' বৃষ্টি হেসে উঠল। তোর মোবাইলে একটা মেসেজ করেছি আমি চলে যাওয়ার পর দেখিস।
আমি চলে যেতেই ইনবক্স খুলে মেসেজ পড়ে বৃষ্টি। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বৃষ্টি বলল, 'তুই কি সত্যি আমাকে ভালোবাসিস?'
'কেন, তোকে ভালোবাসা যাবে না?'
'আমি কি তাই বলেছি, কেন_ বন্ধুত্বটা থাকলে হয় না?'
'কেন যেন তোকে খুব আপন মনে হয়!'
'তাই?'
'হুঁ।'
'বিয়ে করতে পারবি আমাকে?'
'কেন পারব না, কাজী অফিসে গেলেই তো বিয়ের কাজ শেষ।'
'তুই একটা বোকা।'
'এই বোকা ছেলেটাকে একটু ভালোবাসবি?'
'তুই আসলেই একটা বোকা। কিচ্ছু বুঝিস না!।' ফোনটা রেখে দেয় বৃষ্টি। আমার খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছিল বৃষ্টির কথা শুনে। আহা! ভালোবাসা এমন সুখের হয় কেন?
No comments:
Post a Comment