daily prothom alo chutirdin-ar ghor mon janalay 21-6-2014 amar mini golpo
ঘর-মন জানালা
এটিএম ম্যান
গরমটা যেন একটু বেশিই পড়েছে। শান্তিনগর দিয়ে হেঁটে মালিবাগের দিকে যাচ্ছি। জ্যামের কারণে রিকশা নিতে সাহস পাইনি। সামনে একটা এটিএম বুথ নজরে পড়ল। ঢোকার সময় একটা মেয়েকে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। হালকা গড়নের মেয়েটি প্রথম দৃষ্টিতে নজর কাড়ে। তবে সেদিকে তাকানোর সময় আপাতত নেই। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বুথে ঢুকে যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। টাকা তোলার সঙ্গে এসির ঠান্ডা হাওয়াও গায়ে লাগিয়ে নিলাম। বের হওয়ার সময় হঠাৎ পেছন থেকে সেই মেয়েটি ডাকল।
‘আমাকে ডাকছেন?’
‘জি।’
‘কিছু বলবেন?’
‘আসলে আমি বুথে টাকা তুলতে এসেছি। প্রথমবার তো, তাই কীভাবে তুলব ঠিক বুঝতে পারছি না। যদি একটু হেল্প করতেন, অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি।’
আমার চুপ করে থাকা দেখে মেয়েটি আবার বলল, বুথে কোনো নিরাপত্তাকর্মীও চোখে পড়ছে না, নইলে ওদের থেকেই জেনে নিতাম। যদিও আমার হাতে একদমই সময় ছিল না, মেয়েটিকে টাকা তুলে দিলাম। একটা ধন্যবাদ পাওয়া গেল সমাপ্তির মুহূর্তে।
এর প্রায় ১০ দিন পর কোনো একটা কাজে শান্তিনগর এসেছি। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে গরমটা একটু কম। খানিক আগেই বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার পাশ ধরে হেঁটে যাচ্ছি। হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন ডাকল, ‘এই যে এটিএম ম্যান।’ আমি চমকে পেছনে ফিরে তাকালাম। সেদিনের সেই মেয়েটি রিকশায় বসে আছে। সঙ্গে আরও দুটি মেয়ে, সম্ভবত বান্ধবী। আমি তাকাতেই মুচকি হেসে বলল, ‘নাম জানি না তো, তাই এটিএম ম্যান বলে ডাকলাম।’ আমি বললাম, আজও কি টাকা তুলে দিতে হবে? মেয়েটি হেসে বলল, ‘এখন আমি নিজেই টাকা তুলতে পারি। সেদিনের উপকারের জন্য আবারও থ্যাংকস।’ এটা বলতে বলতে সিগন্যাল ছেড়ে দিল। আর মেয়েটির রিকশা রাস্তার হাজারো রিকশার মধ্যে মিলিয়ে গেল।
সোহানুর রহমান
ঢাকা
—ঘর-মন জানালা
এটিএম ম্যান
গরমটা যেন একটু বেশিই পড়েছে। শান্তিনগর দিয়ে হেঁটে মালিবাগের দিকে যাচ্ছি। জ্যামের কারণে রিকশা নিতে সাহস পাইনি। সামনে একটা এটিএম বুথ নজরে পড়ল। ঢোকার সময় একটা মেয়েকে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। হালকা গড়নের মেয়েটি প্রথম দৃষ্টিতে নজর কাড়ে। তবে সেদিকে তাকানোর সময় আপাতত নেই। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বুথে ঢুকে যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। টাকা তোলার সঙ্গে এসির ঠান্ডা হাওয়াও গায়ে লাগিয়ে নিলাম। বের হওয়ার সময় হঠাৎ পেছন থেকে সেই মেয়েটি ডাকল।
‘আমাকে ডাকছেন?’
‘জি।’
‘কিছু বলবেন?’
‘আসলে আমি বুথে টাকা তুলতে এসেছি। প্রথমবার তো, তাই কীভাবে তুলব ঠিক বুঝতে পারছি না। যদি একটু হেল্প করতেন, অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি।’
আমার চুপ করে থাকা দেখে মেয়েটি আবার বলল, বুথে কোনো নিরাপত্তাকর্মীও চোখে পড়ছে না, নইলে ওদের থেকেই জেনে নিতাম। যদিও আমার হাতে একদমই সময় ছিল না, মেয়েটিকে টাকা তুলে দিলাম। একটা ধন্যবাদ পাওয়া গেল সমাপ্তির মুহূর্তে।
এর প্রায় ১০ দিন পর কোনো একটা কাজে শান্তিনগর এসেছি। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে গরমটা একটু কম। খানিক আগেই বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার পাশ ধরে হেঁটে যাচ্ছি। হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন ডাকল, ‘এই যে এটিএম ম্যান।’ আমি চমকে পেছনে ফিরে তাকালাম। সেদিনের সেই মেয়েটি রিকশায় বসে আছে। সঙ্গে আরও দুটি মেয়ে, সম্ভবত বান্ধবী। আমি তাকাতেই মুচকি হেসে বলল, ‘নাম জানি না তো, তাই এটিএম ম্যান বলে ডাকলাম।’ আমি বললাম, আজও কি টাকা তুলে দিতে হবে? মেয়েটি হেসে বলল, ‘এখন আমি নিজেই টাকা তুলতে পারি। সেদিনের উপকারের জন্য আবারও থ্যাংকস।’ এটা বলতে বলতে সিগন্যাল ছেড়ে দিল। আর মেয়েটির রিকশা রাস্তার হাজারো রিকশার মধ্যে মিলিয়ে গেল।
সোহানুর রহমান
ঢাকা
No comments:
Post a Comment