আজ ১৩-০৯-২০১৫
দৈনিক প্রথম
আলো'র
বন্ধুর সভায়
আমার গল্প
ভুল ভালোবাসা
সোহানুর রহমান
আড়চোখে তাকায় রূপা, আজও বাসার সামনে দঁাড়িয়ে আছে ছেলেটা। মোটা ফ্রেমের চশমার আড়ালে শান্ত দুটো চোখ তাকিয়ে থাকে। রূপা রিকশা নিয়ে চলে যায়। পেছন ফিরে তাকায় একবার। ছেলেটি ঠিক তেমনি দঁাড়িয়ে আছে। বেশ কয়েক দিন হলো ছেলেটি ফলো করছে রূপাকে, কিন্তু কেন? ছেলেটি কি তাহলে ভালোবাসে রূপাকে? যদি বেসে থাকে তাহলে সাহস করে বলে ফেললেই তো পারে। ভিতুর ডিম একটা, ফোন নম্বর চাইতে সাহস না থাকুক, ফেসবুক আইডিটা তো চাইতে পারে। অদ্ভুত।
ছেলেটিকে নিয়ে কি বান্ধবীদের সঙ্গে আলাপ করা যায়? নাহ, পচাবে। বলবে এমন একটা ছেলের প্রেমে পড়েছিস। তাহলে একটা স্ট্যাটাস...নাহ, সেখানেও সমস্যা আছে, সবাই জেনে যেতে পারে। তাহলে কী করবে এখন, বিষয়টা তো হজম করতেও পারছে না। ছেলেটির চোখ তো নয় যেন ঘায়েল করার যন্ত্র। মুখ টিপে হাসে রূপা। পরদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি, কয়েক দিন আগে হলেও ভার্সিটিতে যেত না।
মেঘলা দিন খুব ভালো লাগে ওর। কিন্তু আজকের বিষয়টা ভিন্ন, বাইরে যে বেরোতেই হবে। রূপা আজ শাড়ি পরেছে, হুমায়ূন স্যারের রূপার মতো নীল শাড়ি। আচ্ছা ছেলেটি কি হলুদ পাঞ্জাবি পরবে আজ? কী জানি। বাইরে বেরোতেই চোখে পড়ল, দুটো কদম ফুল হাতে ছেলেটি দঁাড়িয়ে। রূপা ছেলেটির দিকে এগিয়ে গেল।
রূপাকে এভাবে আসতে দেখে ছেলেটি অপ্রস্তুত হয়ে গেল। কাছে গিয়ে বলল, ‘আপনি একটা ভিতুর ডিম।’ ‘মানে?’
‘একটা সহজ বাংলা উচ্চারণ মুখ ফুটে বলতে পারেন না।’ ছেলেটি বলল, ‘ইয়ে মানে আপনি যা ভাবছেন তা নয়।’ ঠিক সেই মুহূর্তে আরেকটা রিকশা এসে দঁাড়ায় সেখানে। ছেলেটি সে দিকে হেঁটে চলে যায়।
রূপা তাকিয়ে দেখে, রিকশায় একটি মেয়ে বসে আছে। ছেলেটি, মেয়েটির হাতে ফুলগুলো দিয়ে রিকশায় উঠে বসল। মানে এত দিন যা ভেবেছে তা সবই ভুল।
ছেলেটি অন্য কারও জন্য এখানে অপেক্ষা করে। আর ও কি না...। বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা রিক্ত মনটাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। চোখের জল আর বৃষ্টির জল দুটো একই সঙ্গে ঝরে পড়ছে মাটিতে।
ভুল ভালোবাসা
সোহানুর রহমান
আড়চোখে তাকায় রূপা, আজও বাসার সামনে দঁাড়িয়ে আছে ছেলেটা। মোটা ফ্রেমের চশমার আড়ালে শান্ত দুটো চোখ তাকিয়ে থাকে। রূপা রিকশা নিয়ে চলে যায়। পেছন ফিরে তাকায় একবার। ছেলেটি ঠিক তেমনি দঁাড়িয়ে আছে। বেশ কয়েক দিন হলো ছেলেটি ফলো করছে রূপাকে, কিন্তু কেন? ছেলেটি কি তাহলে ভালোবাসে রূপাকে? যদি বেসে থাকে তাহলে সাহস করে বলে ফেললেই তো পারে। ভিতুর ডিম একটা, ফোন নম্বর চাইতে সাহস না থাকুক, ফেসবুক আইডিটা তো চাইতে পারে। অদ্ভুত।
ছেলেটিকে নিয়ে কি বান্ধবীদের সঙ্গে আলাপ করা যায়? নাহ, পচাবে। বলবে এমন একটা ছেলের প্রেমে পড়েছিস। তাহলে একটা স্ট্যাটাস...নাহ, সেখানেও সমস্যা আছে, সবাই জেনে যেতে পারে। তাহলে কী করবে এখন, বিষয়টা তো হজম করতেও পারছে না। ছেলেটির চোখ তো নয় যেন ঘায়েল করার যন্ত্র। মুখ টিপে হাসে রূপা। পরদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি, কয়েক দিন আগে হলেও ভার্সিটিতে যেত না।
মেঘলা দিন খুব ভালো লাগে ওর। কিন্তু আজকের বিষয়টা ভিন্ন, বাইরে যে বেরোতেই হবে। রূপা আজ শাড়ি পরেছে, হুমায়ূন স্যারের রূপার মতো নীল শাড়ি। আচ্ছা ছেলেটি কি হলুদ পাঞ্জাবি পরবে আজ? কী জানি। বাইরে বেরোতেই চোখে পড়ল, দুটো কদম ফুল হাতে ছেলেটি দঁাড়িয়ে। রূপা ছেলেটির দিকে এগিয়ে গেল।
রূপাকে এভাবে আসতে দেখে ছেলেটি অপ্রস্তুত হয়ে গেল। কাছে গিয়ে বলল, ‘আপনি একটা ভিতুর ডিম।’ ‘মানে?’
‘একটা সহজ বাংলা উচ্চারণ মুখ ফুটে বলতে পারেন না।’ ছেলেটি বলল, ‘ইয়ে মানে আপনি যা ভাবছেন তা নয়।’ ঠিক সেই মুহূর্তে আরেকটা রিকশা এসে দঁাড়ায় সেখানে। ছেলেটি সে দিকে হেঁটে চলে যায়।
রূপা তাকিয়ে দেখে, রিকশায় একটি মেয়ে বসে আছে। ছেলেটি, মেয়েটির হাতে ফুলগুলো দিয়ে রিকশায় উঠে বসল। মানে এত দিন যা ভেবেছে তা সবই ভুল।
ছেলেটি অন্য কারও জন্য এখানে অপেক্ষা করে। আর ও কি না...। বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা রিক্ত মনটাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। চোখের জল আর বৃষ্টির জল দুটো একই সঙ্গে ঝরে পড়ছে মাটিতে।
No comments:
Post a Comment