২৩-০৯-২০১৫ দৈনিক
যুগান্তরে স্বজন-সমাবেশ পাতায়.....অাঁকার
কাজটা উত্তম
দাদাই করেছে....|
বৃষ্টির গন্ধ
সোহানুর রহমান অনন্ত |
কালভাটের নিচে মস্ত বড় জলের আয়না। মাথা নিচু করে তাকায় নন্দিনী। কালো জলে সুন্দর মুখটাও কালো দেখাচ্ছে, মাথার ওপর শরতের আকাশ। বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তায় জমে থাকা জলে বৃষ্টির সাদা ফুল ফুটে। বাসের জন্য অপেক্ষা করছে নন্দিনী, হাতের ভাঁজে হুমায়ূন আহমেদের গল্প সমগ্র। বৃষ্টির গন্ধ ক্লান্ত মনটাকে শীতল করে দিচ্ছে। পড়াশোনা-চাকরি সবমিলিয়ে বছরে অন্য সময় বেশ ব্যস্ত থাকতে হয় নন্দিনীকে। ঈদ এলেই কেবল বাড়িতে যায়। বিয়েটা করি করি করেও করা হল না, বয়স বাড়ছে খামোখা। হঠাৎ চোখ আটকে যায় সামনের দিকে। শোভন রিকশায় করে যাচ্ছে, পাশে একটা মেয়ে বসা। হলুদ ল্যাম্পের আলোয় শোভনের মুখটি চিনতে কষ্ট হয়নি নন্দিনীর। কিন্তু পাশে থাকা মেয়েটি কে? হতে পারে ওর গার্লফ্রেন্ড কিংবা স্ত্রী। শোভনের হাতে দুটো লাল গোলাপ।
কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে রিকশাটা চলে গেল দৃষ্টির আড়ালে। নন্দিনী কল্পনায় ডুবে যায়, কলেজে এক বছরের সিনিয়র ছিল শোভন, প্রায় ক্লাস করার সময় নন্দিনী জানালা দিয়ে বাইরে তাকাত। শোভন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিত, মেহগনি গাছটার নিচে। যেদিন শোভন কলেজে আসত না, সবকিছু শূন্য মনে হতো নন্দিনীর কাছে। ভালো লাগার দিনগুলো খুব দ্রুত চলে যায়, তেমনি চলে গেল শোভনও পাস করে অন্য কোথাও। আজ এতটা বছর পরও শোভনকে ভুলতে পারেনি নন্দিনী। কে জানে হয়তো খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেছিল শোভনকে।
তীব্র হর্ন বাজার শব্দে নিজেকে ফিরে পায় নন্দিনী, ওর সামনে বাস দাঁড়িয়ে আছে। চটপট বাসে ওঠে জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়, এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
কিছু দূর যেতেই জটলা দেখতে পায়। অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। মানুষের হৈচৈ কানে ভেসে এল, বিপরীতমুখী ট্রাক একটা রিকশাকে চাপা দিয়েছে, দুজন নিহত। নন্দিনী কৌতূহলী দৃষ্টি নিয়ে তাকায় বাইরের দিকে। রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে আছে ভাঙাচোরা রিকশাটা, তাজা রক্তের ক্যানভাসে দুটো ক্ষতবিক্ষত গোলাপ চোখে পড়ে ওর।
বৃষ্টির গন্ধ
সোহানুর রহমান অনন্ত |
কালভাটের নিচে মস্ত বড় জলের আয়না। মাথা নিচু করে তাকায় নন্দিনী। কালো জলে সুন্দর মুখটাও কালো দেখাচ্ছে, মাথার ওপর শরতের আকাশ। বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তায় জমে থাকা জলে বৃষ্টির সাদা ফুল ফুটে। বাসের জন্য অপেক্ষা করছে নন্দিনী, হাতের ভাঁজে হুমায়ূন আহমেদের গল্প সমগ্র। বৃষ্টির গন্ধ ক্লান্ত মনটাকে শীতল করে দিচ্ছে। পড়াশোনা-চাকরি সবমিলিয়ে বছরে অন্য সময় বেশ ব্যস্ত থাকতে হয় নন্দিনীকে। ঈদ এলেই কেবল বাড়িতে যায়। বিয়েটা করি করি করেও করা হল না, বয়স বাড়ছে খামোখা। হঠাৎ চোখ আটকে যায় সামনের দিকে। শোভন রিকশায় করে যাচ্ছে, পাশে একটা মেয়ে বসা। হলুদ ল্যাম্পের আলোয় শোভনের মুখটি চিনতে কষ্ট হয়নি নন্দিনীর। কিন্তু পাশে থাকা মেয়েটি কে? হতে পারে ওর গার্লফ্রেন্ড কিংবা স্ত্রী। শোভনের হাতে দুটো লাল গোলাপ।
কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে রিকশাটা চলে গেল দৃষ্টির আড়ালে। নন্দিনী কল্পনায় ডুবে যায়, কলেজে এক বছরের সিনিয়র ছিল শোভন, প্রায় ক্লাস করার সময় নন্দিনী জানালা দিয়ে বাইরে তাকাত। শোভন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিত, মেহগনি গাছটার নিচে। যেদিন শোভন কলেজে আসত না, সবকিছু শূন্য মনে হতো নন্দিনীর কাছে। ভালো লাগার দিনগুলো খুব দ্রুত চলে যায়, তেমনি চলে গেল শোভনও পাস করে অন্য কোথাও। আজ এতটা বছর পরও শোভনকে ভুলতে পারেনি নন্দিনী। কে জানে হয়তো খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেছিল শোভনকে।
তীব্র হর্ন বাজার শব্দে নিজেকে ফিরে পায় নন্দিনী, ওর সামনে বাস দাঁড়িয়ে আছে। চটপট বাসে ওঠে জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়, এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
কিছু দূর যেতেই জটলা দেখতে পায়। অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। মানুষের হৈচৈ কানে ভেসে এল, বিপরীতমুখী ট্রাক একটা রিকশাকে চাপা দিয়েছে, দুজন নিহত। নন্দিনী কৌতূহলী দৃষ্টি নিয়ে তাকায় বাইরের দিকে। রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে আছে ভাঙাচোরা রিকশাটা, তাজা রক্তের ক্যানভাসে দুটো ক্ষতবিক্ষত গোলাপ চোখে পড়ে ওর।
No comments:
Post a Comment