১১-০৮-২০১৫ দৈনিক কালের কণ্ঠেরে ঘোড়ার ডিম-এ আমার প্রেম পত্র থক্কু ক্রিকেটারের প্রেম পত্র
ক্রিকেটারের প্রেমপত্র
সোহানুর রহমান অনন্ত
প্রিয়া
শুরুতেই সবুজ ঘাসের শুভেচ্ছা নিও। ভাবছ তোমার ভাইয়ের গুগলি বলে আউট না হয়ে এখনো তোমার পেছনে ঘুরঘুর করছি কিভাবে? তুমি হয়তো জানো না, ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি সব সময় দায়িত্ববান। ফুল শট খেলতে কখনো পাওয়ার প্লের ওয়েট করি না। বিশ্বাস করো, আমি মোটেও উত্তেজিত খেলোয়াড় নই। প্রেমের পথে উত্তেজিত ব্যাটসম্যানরা খুব তাড়াতাড়ি বোল্ড হয়ে সাঝঘরে ফিরে যায়। আমি একজন নির্ভরযোগ্য প্রেমিক ব্যাটসম্যান। দেখে-শুনে ও বুঝে শট খেলি। তাই তো আমার ওপর তুমি ১০০ ভাগ আস্থা রাখতে পারো।
আমার গ্লাভস, প্যাড এমনকি হেলমেটজুড়ে শুধু তোমারই নাম। তোমাকে আমার কাছ থেকে আলাদা করে এমন সাধ্য আছে কার বলো? আমার চোখের সামনে পিচজুড়ে শুধু তোমারই ছবি প্রিয়তমা। তোমাকে ছাড়া আমার স্কোরবোর্ড একেবারেই শূন্য। তোমার মাস্তান মামাতো ভাই চাকা রাসেল নাকি আম্পায়ারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢিল ছোড়ে। সিরিয়াস গতিতেও নাকি বল করে। কিন্তু আমি ভয় পাই না। তোমার জন্য যেকোনো বল মোকাবিলা করতে আমি প্রস্তুত। প্রয়োজনে ফ্রি হিটে পরপর ছক্কার মার মেরে ওর থোঁতা মুখটা ভোঁতা করে দেব। তোমার জন্য টেস্ট ম্যাচেও আমি টি-টোয়েন্টি ঝড় তুলতে পারি। গ্যাপ শট মেরে তোমার কাছে প্রেমপত্র পাঠাতে পারি। তোমার বাড়ির পাগলা কুকুরের দৌড়ানি খেতে খেতে আমার দৌড়ের স্পিড এতটাই বেড়ে গেছে যে চাইলেও কেউ আমাকে রানআউট করতে পারবে না। তোমার জন্য ৫০ ওভার নয়; বরং ৫০ বছর উইকেটে থাকতে পারি। অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করে রানের পাহাড় গড়তে পারি। আশা করি তোমার মন থেকে আমায় এলবিডাব্লিউ করার চিন্তাটা গুম হয়ে গেছে। আমার ভয়ানক অলরাউন্ড পারফর্ম দেখিয়ে তোমায় বিয়ে করার পাত্রের সিরিয়াল রেংকিংয়ে প্রথম থাকতে চাই। আমার ক্রিকেট-জীবনের ওয়ার্ল্ডকাপ তুমি। তোমাকে আমার চাই-ই চাই। তোমার বাবা যতই রানআউট করতে চাক, থার্ড আম্পায়ার আমার বাবা তো আছেই। সুতরাং তুমি নিশ্চিন্তে আমার মনের গ্যালারিতে বসতে পারো।
ইতি তোমার
সোলেমান
ক্রিকেটারের প্রেমপত্র
সোহানুর রহমান অনন্ত
প্রিয়া
শুরুতেই সবুজ ঘাসের শুভেচ্ছা নিও। ভাবছ তোমার ভাইয়ের গুগলি বলে আউট না হয়ে এখনো তোমার পেছনে ঘুরঘুর করছি কিভাবে? তুমি হয়তো জানো না, ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি সব সময় দায়িত্ববান। ফুল শট খেলতে কখনো পাওয়ার প্লের ওয়েট করি না। বিশ্বাস করো, আমি মোটেও উত্তেজিত খেলোয়াড় নই। প্রেমের পথে উত্তেজিত ব্যাটসম্যানরা খুব তাড়াতাড়ি বোল্ড হয়ে সাঝঘরে ফিরে যায়। আমি একজন নির্ভরযোগ্য প্রেমিক ব্যাটসম্যান। দেখে-শুনে ও বুঝে শট খেলি। তাই তো আমার ওপর তুমি ১০০ ভাগ আস্থা রাখতে পারো।
আমার গ্লাভস, প্যাড এমনকি হেলমেটজুড়ে শুধু তোমারই নাম। তোমাকে আমার কাছ থেকে আলাদা করে এমন সাধ্য আছে কার বলো? আমার চোখের সামনে পিচজুড়ে শুধু তোমারই ছবি প্রিয়তমা। তোমাকে ছাড়া আমার স্কোরবোর্ড একেবারেই শূন্য। তোমার মাস্তান মামাতো ভাই চাকা রাসেল নাকি আম্পায়ারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢিল ছোড়ে। সিরিয়াস গতিতেও নাকি বল করে। কিন্তু আমি ভয় পাই না। তোমার জন্য যেকোনো বল মোকাবিলা করতে আমি প্রস্তুত। প্রয়োজনে ফ্রি হিটে পরপর ছক্কার মার মেরে ওর থোঁতা মুখটা ভোঁতা করে দেব। তোমার জন্য টেস্ট ম্যাচেও আমি টি-টোয়েন্টি ঝড় তুলতে পারি। গ্যাপ শট মেরে তোমার কাছে প্রেমপত্র পাঠাতে পারি। তোমার বাড়ির পাগলা কুকুরের দৌড়ানি খেতে খেতে আমার দৌড়ের স্পিড এতটাই বেড়ে গেছে যে চাইলেও কেউ আমাকে রানআউট করতে পারবে না। তোমার জন্য ৫০ ওভার নয়; বরং ৫০ বছর উইকেটে থাকতে পারি। অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করে রানের পাহাড় গড়তে পারি। আশা করি তোমার মন থেকে আমায় এলবিডাব্লিউ করার চিন্তাটা গুম হয়ে গেছে। আমার ভয়ানক অলরাউন্ড পারফর্ম দেখিয়ে তোমায় বিয়ে করার পাত্রের সিরিয়াল রেংকিংয়ে প্রথম থাকতে চাই। আমার ক্রিকেট-জীবনের ওয়ার্ল্ডকাপ তুমি। তোমাকে আমার চাই-ই চাই। তোমার বাবা যতই রানআউট করতে চাক, থার্ড আম্পায়ার আমার বাবা তো আছেই। সুতরাং তুমি নিশ্চিন্তে আমার মনের গ্যালারিতে বসতে পারো।
ইতি তোমার
সোলেমান
No comments:
Post a Comment