Aj 03-11-2014 daily nayadiganter Abokash-a
প্লানচেট
সোহানুর রহমান অনন্ত
আপনি জানেন এ ব্যক্তিটি মারা গেছে, যদি কোনো কিছুর মাধ্যমে মারা যাওয়া সেই ব্যক্তিটি আবার আপনার সামনে এসে দাঁড়ায় তখন আপনার মনের অবস্থা কেমন হবে? হয়তো আপনি ভাবছেন এটি কেবলই কল্পনায় বা ছবিতে সম্ভব। আপনার ধারণা ভুল, কেননা এটি বাস্তবেও সম্ভব। প্লানচেটের মাধ্যমে মানুষের আত্মাকে হাজির করা কি যায়! কথা বলা যায় মৃত ব্যক্তির সাথে। যুগ যুগ অনেক জায়গা, অনেকেই প্লানচেটের মাধ্যমে আত্মার সাথে যোগাযোগ করেছে। বিজ্ঞান যদিও প্লানচেটকে বিশ্বাস করে না, তবুও এমনটিই বিশ্বের অনেক জায়গা ঘটে চলেছে। মৃত মানুষের সাথে কথা বলা, মৃত মানুষের সাথে যোগাযোগ।
ধারণা করা হয়, ১৮৮৩ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোতে সর্বপ্রথম প্লানচেটের গবেষণা ও ব্যবহার শুরু হয়। তারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করত একজন ব্যক্তি মারা গেলেও তাকে কিছু নিয়মকানুন ব্যবহার করে ডেকে আনা সম্ভব। আত্মার সাথে কথা বলা সম্ভব। প্লানচেট করার বেশ কিছু নিয়মকানুন আছে। বিশেষ করে একলা ঘরে, (রাত হলে ভালো হয়) দরজা বন্ধ করে নিতে হবে। প্লানচেট করতে হলে প্রথমে একটি বোর্ডের দরকার হয়। দুই দিকে ছোট ছোট ক্যাস্টরদানা থাকায় বোর্ডটি সুবিধামতো চক্রাকারে ঘুরতে পারে। ঠিক ঘরের মাঝখানে বোর্ডটিকে রাখতে হবে। বোর্ডের মাঝখানে ছোট্ট একটি ছিদ্র থাকে, সেই ছিদ্রে কল বা পেনসিল ঢোকানো থাকে। অবশ্যই সেই কলম বা পেনসিলকে কাগজের ওপর স্পর্শ করতে হবে। ভালোভাবে যাতে নাড়ানো যায় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। এটিকে মূলত বলা হয় প্রেতচক্র। প্লানচেট করতে হলে বেজোড় সংখ্যা থাকা জরুরি। চোখ বন্ধ অবস্থায় হাতের আঙুল ছুঁয়ে ধ্যানে যেভাবে বসে সেভাবে বসতে হবে। পরে মনে মনে আত্মাকে স্মরণ করতে হবে। এর ফলে পৃথিবীতে আসা বিদেহী আত্মাগুলো এসে উপস্থিত হয়।
এবং নিজেদের মধ্যে একের পর এক প্রশ্ন এবং উত্তর চলতে থাকে।
প্লানচেট বা প্রেতচক্র নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে বা হচ্ছে। এটি নিয়ে বিজ্ঞানীদেরও রয়েছে ভিন্ন মত। কেউ বলেন এর যুক্তিসঙ্গত কোনো প্রমাণ নেই, এটি নিছক একটি খেলা মাত্র। আবার অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, প্রেতচক্র কিছু কৌশল, যার মাধ্যমে আত্মারা উপস্থিত হতে পারে। একটি মানুষ মারা গেলে সে আবার কিভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটা আমাদের কাছে রহস্য। তবে বিদেহি আত্মাকে কাজে লাগিয়ে অনেক ওঝা, সন্ন্যাসীরা কাজ হাসিল করে থাকে, যা মানুষের কাছে কালুজাদু নামে বেশ পরিচিত। া
প্লানচেট
সোহানুর রহমান অনন্ত
আপনি জানেন এ ব্যক্তিটি মারা গেছে, যদি কোনো কিছুর মাধ্যমে মারা যাওয়া সেই ব্যক্তিটি আবার আপনার সামনে এসে দাঁড়ায় তখন আপনার মনের অবস্থা কেমন হবে? হয়তো আপনি ভাবছেন এটি কেবলই কল্পনায় বা ছবিতে সম্ভব। আপনার ধারণা ভুল, কেননা এটি বাস্তবেও সম্ভব। প্লানচেটের মাধ্যমে মানুষের আত্মাকে হাজির করা কি যায়! কথা বলা যায় মৃত ব্যক্তির সাথে। যুগ যুগ অনেক জায়গা, অনেকেই প্লানচেটের মাধ্যমে আত্মার সাথে যোগাযোগ করেছে। বিজ্ঞান যদিও প্লানচেটকে বিশ্বাস করে না, তবুও এমনটিই বিশ্বের অনেক জায়গা ঘটে চলেছে। মৃত মানুষের সাথে কথা বলা, মৃত মানুষের সাথে যোগাযোগ।
ধারণা করা হয়, ১৮৮৩ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোতে সর্বপ্রথম প্লানচেটের গবেষণা ও ব্যবহার শুরু হয়। তারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করত একজন ব্যক্তি মারা গেলেও তাকে কিছু নিয়মকানুন ব্যবহার করে ডেকে আনা সম্ভব। আত্মার সাথে কথা বলা সম্ভব। প্লানচেট করার বেশ কিছু নিয়মকানুন আছে। বিশেষ করে একলা ঘরে, (রাত হলে ভালো হয়) দরজা বন্ধ করে নিতে হবে। প্লানচেট করতে হলে প্রথমে একটি বোর্ডের দরকার হয়। দুই দিকে ছোট ছোট ক্যাস্টরদানা থাকায় বোর্ডটি সুবিধামতো চক্রাকারে ঘুরতে পারে। ঠিক ঘরের মাঝখানে বোর্ডটিকে রাখতে হবে। বোর্ডের মাঝখানে ছোট্ট একটি ছিদ্র থাকে, সেই ছিদ্রে কল বা পেনসিল ঢোকানো থাকে। অবশ্যই সেই কলম বা পেনসিলকে কাগজের ওপর স্পর্শ করতে হবে। ভালোভাবে যাতে নাড়ানো যায় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। এটিকে মূলত বলা হয় প্রেতচক্র। প্লানচেট করতে হলে বেজোড় সংখ্যা থাকা জরুরি। চোখ বন্ধ অবস্থায় হাতের আঙুল ছুঁয়ে ধ্যানে যেভাবে বসে সেভাবে বসতে হবে। পরে মনে মনে আত্মাকে স্মরণ করতে হবে। এর ফলে পৃথিবীতে আসা বিদেহী আত্মাগুলো এসে উপস্থিত হয়।
এবং নিজেদের মধ্যে একের পর এক প্রশ্ন এবং উত্তর চলতে থাকে।
প্লানচেট বা প্রেতচক্র নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে বা হচ্ছে। এটি নিয়ে বিজ্ঞানীদেরও রয়েছে ভিন্ন মত। কেউ বলেন এর যুক্তিসঙ্গত কোনো প্রমাণ নেই, এটি নিছক একটি খেলা মাত্র। আবার অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, প্রেতচক্র কিছু কৌশল, যার মাধ্যমে আত্মারা উপস্থিত হতে পারে। একটি মানুষ মারা গেলে সে আবার কিভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটা আমাদের কাছে রহস্য। তবে বিদেহি আত্মাকে কাজে লাগিয়ে অনেক ওঝা, সন্ন্যাসীরা কাজ হাসিল করে থাকে, যা মানুষের কাছে কালুজাদু নামে বেশ পরিচিত। া
No comments:
Post a Comment