আজ ০৮-০৩-২০১৫ দৈনিক নয়াদিগন্তে অবকাশ পাতায় আমার লেখা বসন্ত নিয়ে
এখন বসন্ত
সোহানুর রহমান অনন্ত
প্রকৃতি এক ভিন্ন রূপ পায় বসন্ত এলে। শীতে মলিন হয়ে যাওয়া প্রকৃতি বসন্তের ছোঁয়ায় সেজে ওঠে অপরূপ সাজে। পাতা ঝরার দিন শেষে গাছের ডালে ডালে উঁকি দেয় নতুন কচি সবুজ পাতা। প্রকৃতির মাঝে রঙ মাখাতে ব্যস্ত থাকে পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত
বসন্ত মানেই শীতের আনুষ্ঠানিক বিদায়। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য অনুযায়ী নানা আয়োজনের মাঝে বরণ করে নেয় এর প্রথম দিনটিকে। পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে তরুণ, আর বাসন্তী রঙের শাড়ি, খোঁপায় ফুল এবং কপালে টিপ পরে তরুণীরা। হাতে থাকে বাহারি রঙের চুড়ি। আর সেই রঙের ছোঁয়ায় প্রতিটি পথ যেন ছন্দময় হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে প্রেমপাগল মন যেন বসন্তকে নিয়েই স্বপ্ন দেখেছে। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যায় না গ্রাম্যজীবনও। আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠাপুলির মিষ্টিঘ্রাণে গ্রামে বসন্তের আমেজ একটু বেশিই ধরা পড়ে। বসন্তকে তারা আরো নিবিড়ভাবে বরণ করে। বসন্তের প্রথম দিনটি আমার পয়লা ফাল্গুন উৎসব হিসেবে পালন করি। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। এর পর তিনি নতুন বছরকে কেন্দ্র করে সবার জন্য ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। বাঙালিদের প্রাণের উৎসব। এর সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালি সত্তা। ১৯৫২ সালের ৮ ফাগুন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পলাশরাঙা দিনে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলেন রফিক, বরকতসহ আরো অনেকে। আর এই বসন্তেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির প্রাণের অমর একুশে বইমেলা। তাই প্রত্যেক বাঙালির মনে গেঁথে আছে এই বসন্ত।প্রকৃতি এক ভিন্ন রূপ পায় বসন্ত এলে। শীতে মলিন হয়ে যাওয়া প্রকৃতি বসন্তের ছোঁয়ায় সেজে ওঠে অপরূপ সাজে। পাতা ঝরার দিন শেষে গাছের ডালে ডালে উঁকি দেয় নতুন কচি সবুজ পাতা। প্রকৃতির মাঝে রঙ মাখাতে ব্যস্ত থাকে পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া। প্রিয়ার মনের মতোই যেন সবুজে ভরে ওঠে অরণ্য। যত দূর চোখ যায়, কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্ত শুধু প্রকৃতিতেই নয়, মানুষের মনেও দোলা দেয়। বসন্ত মানে মনের পূর্ণতা, নিবির এক আকাক্সার মিলন। বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে বহুদূর হেঁটে যাওয়া। চোখে চোখ রেখে, কল্পলোকের ছবি আঁকা। বসন্তের রঙ মনকে আনমনা করে দেয়। কোকিলের কুহুকুহু সুর যেন বিষের বাঁশির মতো বেজে ওঠে বিরহী হৃদয়ে। কনকনে ঠাণ্ডা না থাকলেও মাঝে মাঝে শীতল হাওয়া শরীর জুড়িয়ে দিয়ে যায়। শহরে এর প্রভাব তেমন না দেখা গেলেও গ্রামে এর সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো। বসন্ত এলেই গ্রামের হাটে মেলা বসে। যাত্রাপালা অথবা সার্কাস পার্টি আসে দূর-দূরান্ত থেকে। বসন্ত প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে ভিন্ন অনুভূতি সৃষ্টি করে। তাই তাকে বলা হয় ঋতুরাজ। কত শত কবিতা, গান কবিরা লিখে গেছেন এই বসন্ত নিয়ে, তার কোনো হিসাব নেই। প্রেমিকার মিষ্টি হাসির মতোই বসন্ত আলোড়ন তোলে, ঢেউ তোলে মনের সমুদ্রে, শিহরণ জাগায়। সবুজ ঘাসের ক্যানভাসে শিশিরের অলঙ্করণ নজর কাড়ে। মেঘমুক্ত আকাশে ওড়ে রঙ-বেরঙের ঘুড়ি। শেষ রাতে শোনা যায় টিনের চালে টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া শিশিরের শব্দ। প্রকৃতির সাথে সাথে বসন্তে জেগে ওঠে প্রতিটি প্রাণ, আর হারিয়ে যেতে চায় অজানার মাঝে। া
sranontojugantor@gmail.com
এখন বসন্ত
সোহানুর রহমান অনন্ত
প্রকৃতি এক ভিন্ন রূপ পায় বসন্ত এলে। শীতে মলিন হয়ে যাওয়া প্রকৃতি বসন্তের ছোঁয়ায় সেজে ওঠে অপরূপ সাজে। পাতা ঝরার দিন শেষে গাছের ডালে ডালে উঁকি দেয় নতুন কচি সবুজ পাতা। প্রকৃতির মাঝে রঙ মাখাতে ব্যস্ত থাকে পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত
বসন্ত মানেই শীতের আনুষ্ঠানিক বিদায়। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য অনুযায়ী নানা আয়োজনের মাঝে বরণ করে নেয় এর প্রথম দিনটিকে। পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে তরুণ, আর বাসন্তী রঙের শাড়ি, খোঁপায় ফুল এবং কপালে টিপ পরে তরুণীরা। হাতে থাকে বাহারি রঙের চুড়ি। আর সেই রঙের ছোঁয়ায় প্রতিটি পথ যেন ছন্দময় হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে প্রেমপাগল মন যেন বসন্তকে নিয়েই স্বপ্ন দেখেছে। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যায় না গ্রাম্যজীবনও। আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠাপুলির মিষ্টিঘ্রাণে গ্রামে বসন্তের আমেজ একটু বেশিই ধরা পড়ে। বসন্তকে তারা আরো নিবিড়ভাবে বরণ করে। বসন্তের প্রথম দিনটি আমার পয়লা ফাল্গুন উৎসব হিসেবে পালন করি। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। এর পর তিনি নতুন বছরকে কেন্দ্র করে সবার জন্য ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। বাঙালিদের প্রাণের উৎসব। এর সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালি সত্তা। ১৯৫২ সালের ৮ ফাগুন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পলাশরাঙা দিনে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলেন রফিক, বরকতসহ আরো অনেকে। আর এই বসন্তেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির প্রাণের অমর একুশে বইমেলা। তাই প্রত্যেক বাঙালির মনে গেঁথে আছে এই বসন্ত।প্রকৃতি এক ভিন্ন রূপ পায় বসন্ত এলে। শীতে মলিন হয়ে যাওয়া প্রকৃতি বসন্তের ছোঁয়ায় সেজে ওঠে অপরূপ সাজে। পাতা ঝরার দিন শেষে গাছের ডালে ডালে উঁকি দেয় নতুন কচি সবুজ পাতা। প্রকৃতির মাঝে রঙ মাখাতে ব্যস্ত থাকে পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া। প্রিয়ার মনের মতোই যেন সবুজে ভরে ওঠে অরণ্য। যত দূর চোখ যায়, কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্ত শুধু প্রকৃতিতেই নয়, মানুষের মনেও দোলা দেয়। বসন্ত মানে মনের পূর্ণতা, নিবির এক আকাক্সার মিলন। বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে বহুদূর হেঁটে যাওয়া। চোখে চোখ রেখে, কল্পলোকের ছবি আঁকা। বসন্তের রঙ মনকে আনমনা করে দেয়। কোকিলের কুহুকুহু সুর যেন বিষের বাঁশির মতো বেজে ওঠে বিরহী হৃদয়ে। কনকনে ঠাণ্ডা না থাকলেও মাঝে মাঝে শীতল হাওয়া শরীর জুড়িয়ে দিয়ে যায়। শহরে এর প্রভাব তেমন না দেখা গেলেও গ্রামে এর সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো। বসন্ত এলেই গ্রামের হাটে মেলা বসে। যাত্রাপালা অথবা সার্কাস পার্টি আসে দূর-দূরান্ত থেকে। বসন্ত প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে ভিন্ন অনুভূতি সৃষ্টি করে। তাই তাকে বলা হয় ঋতুরাজ। কত শত কবিতা, গান কবিরা লিখে গেছেন এই বসন্ত নিয়ে, তার কোনো হিসাব নেই। প্রেমিকার মিষ্টি হাসির মতোই বসন্ত আলোড়ন তোলে, ঢেউ তোলে মনের সমুদ্রে, শিহরণ জাগায়। সবুজ ঘাসের ক্যানভাসে শিশিরের অলঙ্করণ নজর কাড়ে। মেঘমুক্ত আকাশে ওড়ে রঙ-বেরঙের ঘুড়ি। শেষ রাতে শোনা যায় টিনের চালে টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া শিশিরের শব্দ। প্রকৃতির সাথে সাথে বসন্তে জেগে ওঠে প্রতিটি প্রাণ, আর হারিয়ে যেতে চায় অজানার মাঝে। া
sranontojugantor@gmail.com
No comments:
Post a Comment