join facebook page

Thursday, 27 November 2014

Aj 03-11-2014 Daily ittafaq-ar fun magazine thattay amar lakha
Aj 11-08-2014 daily somokal-ar fun magazine pachall-a amar idea
Aj 26-07-2014 daily kalar kantha-ar fun magazine gorar dim-a amar idea
Aj 01-11-2014 daily kalar kanta fun magazine gorardim-a amar lakha

সেরা সাপোর্টার প্রমাণ করবেন যেভাবে
চলছে বাংলাদেশ-জিম্বা
বুয়ে ক্রিকেট ম্যাচ। আর এই খেলা উপলক্ষে নিজেকে যেভাবে সেরা টাইগারদের সাপোর্টার প্রমাণ করবেন সেটাই জানাচ্ছেন সোহানুর রহমান অনন্ত এঁকেছেন মাসুম

পোস্টারিং করুন

নির্বাচন এলে আমাদের দেশের নেতারা যেমন পোস্টারিং করে, তেমনি আপনি বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়ের সঙ্গে নিজের ছবিযুক্ত পোস্টার দেয়ালে দেয়ালে টানিয়ে দিন। প্রয়োজনে ব্যানারও টানাতে পারেন রাস্তার মোড়ে মোড়ে। চাইলে বিশাল সাইজের বিলবোর্ড ভাড়া করেও পোস্টারিং করতে পারেন। প্রতিটি দেয়ালে আপনার ছবিযুক্ত পোস্টার যদি দেখা যায়, নিশ্চয়ই পাবলিক আপনাকে সেরা সাপোর্টার ভাবতে বাধ্য হবে।

ম্যাচিং করুন

বাইরে বের হওয়ার আগে নিজের পোশাক থেকে সব কিছু বাংলাদেশ দলের জার্সি কালারের সঙ্গে ম্যাচ করে ফেলুন। দরকার হলে গাড়ি-বাড়ি সব কিছু কালার করে ফেলুন। যাতে কেউ আপনার বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে বা ভেতরে ঢুকলে বুঝতেই না পারে এটা বাড়ি না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আমার মনে হয়, এমনটা করতে পারলে অবশ্যই নিজেকে সেরা সাপোর্টার হিসেবে প্রমাণ করতে পারবেন।

উপহার দিন

যারা আপনার সঙ্গে বাংলাদেশ দলকে সাপোর্ট করবে, তাদের একটা করে স্ক্র্যাচ কার্ড দিন। যাতে বিভিন্ন রকমের পুরস্কার পাওয়া যাবে। সঙ্গে এক কাপ করে চা ফ্রি তো আছেই। এমনটা করতে পারলে সবার মুখে মুখে সেরা সাপোর্টার হিসেবে আপনার নাম রটে যাবে।

নাম চেঞ্জ করে ফেলুন

সাময়িকভাবে আকিকা ছাড়াই নিজের পছন্দের সাকিব কিংবা মাশরাফির নাম নিজের নামের জায়গায় বসিয়ে দিন এবং সবাইকে বলুন এই এক মাস আপনাকে এই নামে ডাকতে। ফেসবুকেও একই কাজ করতে পারেন। রাস্তাঘাটে সবাই যখন আপনাকে সেই নামে ডাকবে, আশপাশের পাবলিক অবশ্যই আপনাকে গ্রেট সাপোর্টার মনে করবে।

আয়োজন করুন

ফুটবল খেলার মতো ক্রিকেট খেলা দেখার জন্যও বড় মাপের আয়োজন করুন। এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকিং করুন। জানিয়ে দিন, অমুক ভাইয়ের সৌজন্যে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর আয়োজন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসার ব্যবস্থা করা আছে। দেখবেন, আপনার আয়োজনে মানুষের ঢল নেমেছে। ভবিষ্যতে রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে খেলা শেষে একটু লেকচারও মেরে দিতে পারেন।

অনেকগুলো টিকিট কিনুন

খেলা দেখতে গিয়ে একসঙ্গে অনেকগুলো টিকিট কেটে ফেলুন এবং ফাঁকা সিটগুলোর মাঝের সিটে বসে আরাম করে খেলা দেখুন। পাবলিক যখন দেখবে আপনি একাই এতগুলো টিকিট কিনে খেলা দেখছেন, তখন আপনাকে সেরা সাপোর্টার ভাববেই।

গল্পের মধ্যে যে কতবার মরলাম, তার কোন হিসেব নেই, সংবাদ দিগনে@র নভেম্বর-2014 সংখ্যার সাহিত্য পাতায় প্রকাশিত Èকে' গল্পের মধ্যে আবারো মরলাম.....হা হা হা
মৌচাকে ঢিল চলতি সংখ্যায় nov-2014 আমার গল্প, পড়ার আমন্ত্রণ
আজ ০৯-১১-১৪ দৈনিক ইত্তেফাকের ফান ম্যাগাজিন ঠাট্টায় আমার লেখা রম্য, পড়–ন আর নিজ দায়িত্বে হাসুন
আজ ০৯-১১-১৪ দৈনিক নয়াদিগন্তের অবকাশে আমার লেখা

শীতে কোথায় বেড়াবেন
সোহানুর রহমান অনন্ত

আমরা ভ্রমণ বলতেই কক্সবাজার বুঝি। কিন্তু আপনি হয়তো জানেনই না আপনার জেলাতেই আছে দেখার মতো অনেক কিছু। তাই অনেক কম খরচে কাছের জায়গাটাই ঘুরতে পারেন পরিবার-পরিজন নিয়ে।



লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত





শীত মানেই ঘুরে বেড়ানোর এক উপযুক্ত সময়। বিশেষ করে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এই সময়টা সবচেয়ে উপযুক্ত। ছেলেমেয়ের স্কুল-কলেজের পরীক্ষাও শেষ হয়ে যায়। তাই কিছুটা অবসরও পাওয়া যায়। সারা বছর বিভিন্ন কাজের চাপে জীবন যখন একঘেয়েমি হয়ে আসে। মন চায় একটু ভিন্নতা। তাই শীত এলেই বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণপিপাসুরা। ঘুরে বেড়ানো এক ধরনের শখ। আবার ডাক্তারি মতে, নির্দিষ্ট সময় পরপর সব মানুষেরই বেড়ানো উচিত। এতে শরীর-মন উভয়ই ভালো থাকে। এ ছাড়া এর মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন সহজ হয়ে যায়। অনেক কিছু জানা হয়ে যায়। এ কারণে বছর শেষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা
ন আয়োজন করে শিক্ষাসফরের। অনেকে ভ্রমণের জন্য স্থান নির্ধারণে বিপাকে পড়েন। কোথায় যাবেন? কেন যাবেন? কিভাবে যাবেন? এ প্রশ্নই যেন ঘুরপাক খায়। এ ছাড়া আমাদের দেশে কোথায় কোনো দর্শনীয় স্থান আছে তা-ও ভালোভাবে জানা হয়ে ওঠে না। তাই দেখা হয় না অনেক কিছুই। কিন্তু স্বল্প খরচে এই শীতে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন আপনার পছন্দের স্থানে। ঘুরে বেড়ানোর জন্য আগে যা প্রয়োজন তা হলো, মানসিক প্রস্তুতি। আবার নিজস্ব পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারটাও মুখ্য। কেউ সাগর পছন্দ করেন তো কেউ পছন্দ করেন পাহাড়। কেউ আবার প্রাচীন ইতিহাসের দিকে ঝুঁকে যান। আসলে বেড়ানোর আনন্দ হচ্ছে নিজের ওপর। সব কিছুই আপনাকে মুগ্ধ করবে যদি আপনি সেভাবেই প্রস্তুতি নেন। আমাদের দেশেই দেখার মতো অনেক কিছু আছে। যদিও আমরা ভ্রমণ বলতেই কক্সবাজার বুঝি। কিন্তু আপনি হয়তো জানেনই না আপনার জেলাতেই আছে দেখার মতো অনেক কিছু। তাই অনেক কম খরচে কাছের জায়গাটাই ঘুরতে পারেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। উন্নত বিশ্বে তো শিক্ষার্থীরা সামার ভ্যাকেশনে পার্টটাইম জব করে শুধু ভ্রমণের জন্য। যদিও আমাদের দেশে এই সংস্কৃতিটা এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। বই পড়ার ক্ষেত্রেও আমরা তাই অনেক পিছিয়ে। তাদের দেশে ভ্রমণ মানেই জ্ঞান আরোহণ। এ ছাড়া বেড়ানোর সময় তারা প্রচুর বই সাথে নিয়ে যায়। তবে আমাদের দেশেও এখন সংস্কৃতি বদলে যাচ্ছে। জ্ঞান আরোহণের জন্য আমরাও বদলে যাচ্ছি সময়ের সাথে।



বাংলার সব জেলাই সুন্দর। একেবারে ছবির মতো। কিন্তু নানান ব্যস্ততার মাঝে ঘুরে বেড়ানো আর হয়ে ওঠে না। যদিও বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ভ্রমণপিপাসুদের সংখ্যা বেড়েছে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা পেলে এই সংখ্যা আরো বাড়বে। তবে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে আমরা বিশ্বের কাছে আমাদের পর্যটন শিল্প সেভাবে তুলে ধরতে পারিনি। যদিও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার আমাদের দেশেই অবস্থিত। কিন্তু এই শীতে বেড়াবেন কোথায়? একেবারে পরিচিত বেশি ভ্রমণের স্থান কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি বা সিলেট। কিন্তু এ ছাড়া বাংলাদেশে দেখার মতো অনেক জায়গা আছে। এখানে তুলনামূলক কম পরিচিত বেড়ানোর স্পটের তালিকা দেয়া হলোÑ



নারায়ণগঞ্জের দর্শনীয় স্থান



বাংলার তাজমহল, সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর, রূপগঞ্জ রাজবাড়ী।



মুন্সীগঞ্জের দর্শনীয় স্থান



ইদ্রাকপুর দুর্গ, প্রাচীন বৌদ্ধবিহার।



মানিকগঞ্জের দর্শনীয় স্থান



বালিয়াটি জমিদারবাড়ী



নরসিংদীর দর্শনীয় স্থান



উয়ারী বটেশ্বর, লটকন বাগান।



গাজীপুরের দর্শনীয় স্থান



ভাওয়াল রাজবাড়ি, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, সফিপুর আনসার একাডেমি, জাগ্রত চৌরঙ্গী।



কিশোরগঞ্জ দর্শনীয় স্থান



ঐতিহাসিক জঙ্গলবাড়ী, দিল্লীর আখড়া, শোলাকিয়া ঈদগাহ ও হাওর অঞ্চল।



ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান



কাজী নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশাল, শিমলা দারোগাবাড়ি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, জাদুঘর, সোমেশ্বর বাবুর রাজবাড়ি, কিশোর রায় চৌধুরীর ভবন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আলেক জান্ডার ক্যাসেল, আনন্দমোহন কলেজ, দুর্গাবাড়ী, কেল্লা তাজপুর ইত্যাদি।



টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান



রসনাবিলাসীদের জন্য উপভোগ্য সুস্বাদু চমচম (পোড়াবাড়ি), আতিয়া মসজিদ, শাহ্ আদম কাশ্মিরির মাজার- দেলদুয়ার, পরীর দালান, খামার পাড়া মসজিদ ও মাজার- গোপালপুর, ঝরোকা, সাগরদিঘি, পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি, বঙ্গবন্ধু সেতু, এলেঙ্গা রিসোর্ট, যমুনা রিসোর্ট।



শেরপুরের দর্শনীয় স্থান



মধুটিলা ইকোপার্ক, গজনী ইকো পার্ক, ঘাগড়া লঙ্কার মসজিদ, রাজার পাহাড়, নাকুগাঁও স্থলবন্দর, বারোমারী ধর্মপল্লী, নকলার নারায়ণখোলা বেড়শিমুলগাছ, ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর ধর্মপল্লী, আড়াইআনি জমিদারদের শীষ মহল।



জামালপুরের দর্শনীয় স্থান



দেওয়ানগঞ্জ সুগার মিলস, লাউচাপড়া পিকনিক স্পট, গান্ধী আশ্রম, দারকি, যমুনা ফার্টিলাইজার।



নেত্রকোনার দর্শনীয় স্থান



এঁকেবেঁকে কংশ ও সোমেশ্বরী নদী, বিজয়পুর চিনামাটি পাহাড়, রানীখং মিশন, টংক শহীদ স্মৃতি সৌধ, কমলা রানী দীঘির ইতিহাস, সাত শহীদের মাজার, কলমাকান্দা, হজরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (র:)-এর মাজার শরীফ, সুসং দুর্গাপুরের জমিদারবাড়ি, টংক আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ, সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী, রাশমণি স্মৃতিসৌধ, কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কমপ্লেক্স, নলিয়া জোড়বাংলা মন্দির।



ফরিদপুরের দর্শনীয় স্থান



মথুরাপুরের দেউল, কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি।



গোপালগঞ্জ দর্শনীয় স্থান



বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ, কোর্ট মসজিদ, বিলরুট ক্যানেল, কোটাল দুর্গ, বহলতলী মসজিদ।



শরীয়তপুরের দর্শনীয় স্থান



ফতেহজংপুর দুর্গ, মুঘল আমলের বিলাসখান মসজিদ, মহিষের দীঘি, দণি বালুচর মসজিদ, হাটুরিয়া জমিদারবাড়ি, মানসিংহের বাড়ি।



রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান



পদ্মাতীরে নির্মিত শাহ মখদুমের মাজার, পুঠিয়া রাজবাড়ি, শিবমন্দির, বড়কুঠি, গোবিন্দ মন্দির, গোপাল মন্দির, দোলমঞ্চ, লালকুঠি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শিরোইল মন্দির, বরেন্দ্র জাদুঘর, বাঘমারা রাজবাড়ি, ভুবনেশ্বর মন্দির, রাধাকৃষ্ণের ঝুলন মন্দির ইত্যাদি।



চাঁপাইনবাবগঞ্জের দর্শনীয় স্থান



নুসরাত শাহ্ নির্মিত সোনা মসজিদ, ঐতিহাসিক কানসাট। এ ছাড়া মহানন্দা নদী পার হওয়ার পরই পথের দুই ধারে তরুণ বাহারি আমের বাগান।



পাবনার দর্শনীয় স্থান



কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়ি, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন সেতু, ঈশ্বরদী ইপিজেড, নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল এবং ডাল ও আখ গবেষণা কেকোর্ট বিল্ডিং, অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম, জোড়বাংলা, বিখ্যাত মানসিক হাসপাতাল, রায় বাহাদুরের গেটসহ অনেক পুরনো কীর্তি।



সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান



রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদচিহ্ন পড়েছে সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুরের কাচারি বাড়িতে। সিরাজগঞ্জের বড় আকর্ষণ যমুনা সেতু, বাণীকুঞ্জ, সিরাজীর মাজার, লোহারপুল, মক্কা আউলিয়া মসজিদ, নবরতœ মন্দির, শিবমন্দির জয়সাগর, মহাপুকুর আখড়া, এনায়েতপুর পীর সাহেবের মসজিদ। মিল্কভিটা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তের ইকোপার্ক, বাঘাবাড়ী বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, বাঘাবাড়ী নদীবন্দর।



নওগাঁর দর্শনীয় স্থান



বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য পতিসর, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, গদ্দল মহাবিহার, পতœীতলায় অবস্থিত দিব্যক স্মৃতিস্তম্ভ, নসরত শাহ নির্মিত কুশুম্বা মসজিদ, করোনেশন থিয়েটার, অনিমেষ লাহিড়ীর বাড়ি, পালবংশের স্মৃতি বহনকারী সাঁওতালপাড়া।



নাটোরের দর্শনীয় স্থান



চলনবিল, চলনবিল জাদুঘর, হাইতি বিল, নাটোর রাজবাড়ি, উত্তরা গণভবন, দয়ারামপুর রাজবাড়ি, লালপুরের বুধপাড়া কালীমন্দির।



বগুড়ার দর্শনীয় স্থান



ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়, শীলাদেবীর ঘাট, গোবিন্দভিটা, বেহুলা লখিন্দরের বাসরঘর। জয়পুরহাটের দর্শনীয় স্থান



আছরাঙ্গা দিঘি, লাকমা রাজবাড়ি, হিন্দা কসবা শাহী মসজিদ, শামুকখোল গ্রামতেলাল।



রংপুরের দর্শনীয় স্থান



কারমাইকেল কলেজ, তাজহাট জমিদারবাড়ি, মীরগঞ্জের দীঘি, লালবিবির সমাধিসৌধ, ফকিরনেতা মদিনীর কবর ও মোগল আমলের মসজিদ, মহীয়সী বেগম রোকেয়ার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, শানবাঁধানো দীঘি, পীরগঞ্জের নীল দরিয়ার বিল, তারাবিবির মসজিদ, গঙ্গাচরার কুঠিপাড়ায় নীলকুঠি, পীরগাছায় দেবী চৌধুরানীর রাজবাড়ি, ইটাকুমরার শিবেন্দ্র রায়ের রাজবাড়ি।



লালমনিরহাটের দর্শনীয় স্থান



তিস্তা ব্যারাজ, তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম-আংগরপোতা ছিটমহল, বুড়িমারী স্থলবন্দর, তিস্তা রেল সেতু।



ঠাকুরগাঁওয়ের দর্শনীয় স্থান



জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ, রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি, হরিণমারীর আমগাছ, রাউতনগর সাঁওতাল পল্লী, গোরকুই কূপ।



পঞ্চগড়ের দর্শনীয় স্থান



বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, তেঁতুলিয়া, রকস মিউজিয়াম, মির্জাপুর শাহী মসজিদ আটোয়ারী, ভিতরগড় মহারাজার দীঘি, সমতল চা বাগান, দেবীগঞ্জের মহারাজার দীঘি ও ভিতরগড় দুর্গানগরী, আটোয়ারীর মির্জাপুরের ইমামবাড়া এবং তেঁতুলিয়ার জেলা পরিষদ ডাকবাংলো।



নীলফামারীর দর্শনীয় স্থান



সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ, দুন্দিবাড়ী স্লুইস গেট, নীলফামারী জাদুঘর, নীলসাগর, হরিশচন্দ্রের পাঠ, ধর্মপালের গড়, কুন্দপুকুর মাজার, ময়নামতির দুর্গ, ভীমের মায়ের চুলা ইত্যাদি।



কুড়িগ্রামের দর্শনীয় স্থান



চিলমারীর বন্দর, সাতভিটায় পাখির ভিটারাজারহাট, উলিপুরের মুন্সীবাড়ি, চান্দামারী মসজিদ, বঙ্গসোনাহাট ব্রিজ। া

আজ ০৯-১১-১৪ দৈনিক নয়াদিগন্তের অবকাশে আমার লেখা

হেমন্তে নবান্ন উৎসব
সোহানুর রহমান

হেমন্তকে হচ্ছে শীতের পূর্বাভাস। ছয় ঋতুর এই দেশে প্রত্যেকটি ঋতুই আলাদা আলাদা রূপ বহন করে। এর মধ্যে হেমন্ত একেবারেই ভিন্ন একটি ঋতু। এর মাঝে যেমন বর্ষার লাবণ্যতা নেই, তেমনি নেই বসন্তের মতো বাহারি রূপ। হেমন্তের রঙ ধূসর। সাধারণত হেমন্তে দেখা যায় অখণ্ড নীল আকাশ। ভোরের নরম আলোয় টুপটাপ শিশির ঝরার শব্দ। মিষ্টি সোনালি রোদে মাঠজুড়ে আলো আঁধারের লুকোচুরি। দুপুরের রোদের স্নিগ্ধতা, সন্ধ্যায় বাঁশঝাড়ে পাখির কলকাকলি ভিন্নমাত্রার সৃষ্টি করে। কবির ভাষায় বলতে গেলে, হেমন্ত প্রিয়ার বাধনহারা চুলের মতোই উদাসীন। তাই একে বলা হয় অনুভবের ঋতু।



হেমন্তের আকাশ মেঘমুক্ত থাকে, তাই রাতের বেলা জ্যোৎস্নামাখা আকাশটা একেবারেই অন্য রকম পরিবেশ সৃষ্টি করে। গরমের তীব্রতা কমে গিয়ে শীত পড়তে শুরু করে। সকালবেলা দূরের গ্রামগুলো কুয়াশায় ঢেকে যায়। গাছিরা খেজুরগাছের মাথায় নরম অংশ কেটে প্রস্তুত রাখে রস সংগ্রহ করার জন্য। এ ছাড়া পাখিদের মিষ্টি সুর মন জুড়িয়ে দেয়। এক সময় বাংলা বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। কারণ ধান কাটার হিসেব ঠিকমতো রাখতেই বাংলা মাসের সূচনা হয়েছিল। হেমন্তের ফসল কাটাকে কেন্দ্র করেই নবান্ন উৎসবের সূচনা হয়। কৃষাণীরা নিজ আঙিনা লেপেপুঁছে পরিষ্কার করে নতুন ধান তোলার জন্য। কৃষকের চোখে নতুন ধানের রঙিন স্বপ্ন। কার্তিকের পর আসে সার্বজনীন লৌকিক উৎসব নবান্ন। বাড়িতে বাড়িতে রাতজেগে ধান নেয় কৃষক ও কৃষাণীরা। গোলা ভরে ওঠে নতুন ধানে। এ সময় তারা স্থানীয় বিভিন্ন গান করে থাকে। গান আর ধান নেয়ার শব্দ, দূর-দূরান্ত থেকে শোনা যায়। নতুন চালের ফিরনি-পায়েশ অথবা ীর তৈরি করে পাড়া-প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়স্বজনকে খাওয়ানো হয়। বাড়িতে বাড়িতে তখন নতুন চালের মিষ্টি গন্ধ। নবান্নে জামাতাকে নিমন্ত্রণ করা হয়। মেয়েকেও ‘নাইওর’ আনা হয়। গ্রাম্যজনপদে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় নবান্নের ধান তোলার মাধ্যমে। এ সময় গ্রামের পথে-প্রান্তরে অনেক রকম মেলা বসে, দূর-দূরান্ত থেকে সার্কাস পার্টি আসে, হয় যাত্রাপালা। দেশীয় নৃত্য, গানবাজনাসহ আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এ ছাড়া লাঠিখেলা, বাউলগান, নাগরদোলা, বাঁশি, শখের চুড়ি ইত্যাদি চোখে পড়ে। এ ঋতুতে ফোটে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি, দেবকাঞ্চন, রাজ অশোকসহ নানা জাতের ফুল। হেমন্ত বাংলা সাহিত্যের বিরাট একটি জায়গা দখল করে রেখেছে। যুগে যুগে কবিরা হেমন্ত ঋতু নিয়ে অনেক গান-কবিতা রচনা করে গেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সুফিয়া কামাল, জসীমউদ্দীন, জীবনানন্দ দাশ, গোলাম মোহাম্মদ এবং আরো অনেকে। এর মধ্যে কবি সুফিয়া কামালের ছড়া-কবিতা (হেমন্ত) প্রায় সবার মুখে মুখে শোনা যায়। সবুজ পাতার খামের ভেতর, হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে কোন্ পাথারের ওপার থেকে, আনল ডেকে হেমন্তকে? হেমন্ত আমাদের গ্রামবাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। হেমন্ত এলে প্রকৃতি ভিন্ন ধরনের সৌন্দর্যে সাজে। া
Aj 22-11-2014 daily nayadiganter priojon-a amar golpo

বুকপকেট
সোহানুর রহমান অনন্ত

ভাঁজ করা চিঠিটা সব সময় বুক পকেটে রাখে মুকুল। বেশ কয়েকবার ভেবেছে এটা চৈতিকে দিয়ে দেবে। কিন্তু সেই সুসময়টা যেন আসি আসি করেও আর আসে না। মুকুল চৈতির ছোট বোনকে পড়ায়। পড়ার ফাঁকে যতটুকু সম্ভব আড়চোখে তাকায় দরজার দিকে। পর্দার ফাঁকে মাঝে মাঝে চৈতির এপাশ-ওপাশ আসা যাওয়া চোখে পড়ে। কানটা খাড়া করে রাখে, চৈতির কণ্ঠ শোনার জন্য। মাঝে মাঝে চা হাতে চৈতি রুমে প্রবেশ করে। আসে কিন্তু দাঁড়ায় না এক মুহূর্তের জন্য। এ যেন উড়ে আসা এক টুকরো মেঘ। আজো মুকুল বুকপকেটে চিঠিটা সযতেœ নিয়ে প্রবেশ করেছে চৈতিদের বাসায়।
বুক পকেটে হাত রাখে মুকুল। রিকশাটা যেন খুব দ্রুত চলছে। আড়চোখে আবারো চৈতিকে দেখা, লাল টিপটার পাশ ঘেঁষে এক ফোঁটা ঘাম এসেছে জমেছে। যেন চাঁদের পাশে এক টুকুরো মেঘ। আমি জানি না আমার এই তাকানোটা চৈতি বুঝতে পেরেছে কি না। হঠাৎ চৈতি বলে ওঠে, স্যার, একটা কথা বলি?
মুকুল সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত হয়ে যায়। কাঁপাকাঁপা গলায় বলে কী কথা? একটা কথা জানেন তো, মেয়েরা ছেলেদের মনের কথা খুব সহজে বুঝতে পারে। আপনি বোধহয় আমাকে কিছু বলতে চাইছেন।
মুকুলের বুকটা ধপাস করে ওঠে। বুকপকেটে আবার ডান হাতটা রাখে। চৈতি আবার বলে ওঠে, কিছু বলছেন না যে?
ইয়ে মানে... তোমাকে একটা জিনিস দেবো, তবে কথা দাও এই বিষয়ে তুমি কাউকে কিছু বলবে না। চৈতি মুকুলের দিকে তাকাল। ওর কাজল কালো চোখে অমৃতের সুখ। হালকা মাথাটা নাড়িয়ে বলল, ওকে, বলব না।
মুকুল বুকপকেট থেকে চিঠিটা বের করে চৈতির হাতে দিয়ে দেয়। তারপর আর একটিবারের জন্যও লজ্জায় তাকাতে পারে না চৈতির দিকে। চৈতি মিটিমিটি হেসে বলে, পুরুষ মানুষের এতটা লজ্জা পাওয়া কি ঠিক? মুকুল কিছুই বলতে পারে না উত্তরে। চিঠিটা চৈতির হাতে সাহস করে দিতে পেরেছে, এটাই তার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। শেষবারের মতো মুকুল আড়চোখে চৈতির দিকে তাকায়। দেখে চৈতি মিটিমিটি হাসছে।
এখন রোজ একটি করে চিঠি বুকপকেটে করে নিয়ে আসে মুকুল। চৈতি চা দেয়ার নাম করে এসে চিঠিটা নিয়ে যায়। আবার সেগুলোর উত্তর দেয়। চমৎকার করে গুছিয়ে লেখে প্রতিটি লাইন। যেন একটি লাইনই একটি ভালোবাসার গল্প। চৈতির জীবনানন্দ দাশের কবিতা পছন্দ। মুকুল তাই জীবনানন্দের কবিতার লাইন কেটে চিঠিটা আরো বড় করে দেয়। এভাবেই জীবনের কিছুটা বেলা কেটে গেছে মুকুলের। বুকপকেটটা যেন ভালোবাসার ডাকবাক্স। প্রতিটি চিঠি জমা থাকে তার ভেতর। সেদিন বিকেলে বাসায় ঢুকতেই দেখে। কী একটা বিষয় নিয়ে চৈতির মা চৈতিকে খুব বকাঝকা করছে। মুকুলকে দেখে অবশ্য তাড়া ভেতরের রুমে চলে যায়। নূপুরের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনতে পায় মুকুল।
চৈতিকে এলাকার একটি ছেলে বেশ কিছু দিন ধরে বিরক্ত করছে। কিন্তু চৈতির মায়ের ধারণা, এতে চৈতিও যোগ আছে। সে কারণেই বকাঝকা করছে। কথাটা শুনে কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে যায় মুকুল। সে দিনের পর থেকেই চৈতির মা চৈতির বিয়ে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে। ঘটনাচক্রে মুকুল নিজেই সাহস করে প্রস্তাব দেয়। চৈতির মা এতে আর আপত্তি করে না। সব কিছুই চলছিল সাজানো গোছানো। হঠাৎ বিয়ের দুই দিন আগে চৈতি নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়, কিন্তু কোথাও নেই। মুকুল মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। বুকের বাম পাশটায় চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে। ১০ দিন পর চৈতিকে পাওয়া যায় ঢাকার উত্তরায়। চৈতি ধর্ষিত হয়েছে।
সে দিন কলেজ থেকে ফেরার পথে চৈতিকে তুলে নিয়ে যায়, এলাকার বখাটে সেই ছেলেটি। তারপর উত্তরায় একটি নির্জন ফ্যাটে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সেখান থেকে চৈতি পালিয়ে যায় এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় লোকজন ওকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
জ্ঞান ফেরার পর এসবই বলেছে চৈতি। কিছুই লুকায়নি। চৈতির মা, আড়ালে ঢেকে নিয়ে সব কথাই বলে মুকুলকে। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো মুকুল শোনার পরে বিয়েটা ভেঙে দেবে। এটা ভাবার যুক্তিগত কারণও আছে।
কোনো পুরুষ জেনেশুনে চায় না একজন ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে। কথাগুলো শুনে মুকুল কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। চৈতির মায়ের চোখে পানি, এমন দুর্দিন দেখতে হবে, তিনি কল্পনাও করেননি। মুকুল চৈতির মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে, আমাদের দেশে বেশির ভাগ নারী এমন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিছু প্রকাশ হচ্ছে কিছু হচ্ছে না। এর জন্য অবশ্য সমাজের উঠতি বয়সের যুবকদের অবক্ষয়কই দায়ী।
একজন ধর্ষিতা সমাজের বাইরের কেউ নন। তাকে পুনরায় ভালোবেসে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব। চৈতিকে আমি ভালোবেসেছি, যেমনটা প্রথমে বেসেছিলাম তেমনটি এখনো বাসি এবং ভবিষ্যতেও বেসে যাবো।
মানুষের জীবনে অনেক রকম দুর্ঘটনা ঘটে। এসব মেনে নিয়েই মানুষকে এগিয়ে যেতে হয়। চৈতিকে ছেড়ে চলে গেলে আমার মন আমাকে কখনো সুখী হতে দেবে না। এই বলে মুকুল চৈতির বেডের দিকে পা বাড়াল। ঝাপসা চোখে চৈতির মা তাকিয়ে রইলেন মুকুলের দিকে। চৈতির মাথার কাছে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল মুকুল। চৈতি ঘুমিয়ে আছে। বুকপকেটে আজো একটা চিঠি রয়েছে। চৈতি বলেছে বিয়ের পরও রোজ একটি করে চিঠি দিতে হবে।
সাথে জীবনানন্দের কবিতা। মুকুল বুকপকেট থেকে চিঠিটা বের করে চৈতির বালিশের নিচে রাখে। তারপর নিঃশব্দে বেরিয়ে যায়। বুকের শূন্যতাটা মিটে গেছে চৈতির মুখ দেখে।
বারান্দায় দাঁড়াতেই মেঘলা আকাশটা চোখে পড়ল। মুকুল এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আকাশের দিকে।
Aj 16-11-2014 daily nayadiganter Abokash-a amar lakha

তারুণ্যের ক্যারিয়ার কলসেন্টার
সোহানুর রহমান অনন্ত

বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়া অনেকটা প্রতিযোগিতার মতো। এখানে যে যত বেশি নিজের যোগ্যতা ও মেধাকে কাজে লাগাতে পারবে, চাকরির দৌড়ে সে তত এগিয়ে থাকবে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, কোন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করব সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে
ভুগি। আর এ কারণেই অনেক সময় আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না বা দেরি করে ফেলি। আপনার ল্য ঠিক রাখতে পারলে চাকরি পাওয়া তেমন কঠিন ব্যাপার নয়। নিজেকে মেলে ধরতে পারলে চাকরিই আপনাকে খুঁজে নেবে। বর্তমান তরুণ-তরুণীদের মাঝে স্মার্ট ও চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে কল সেন্টারে ক্যারিযার গড়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে আপনি নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন খুব সহজেই। পেশা হিসেবে কলসেন্টারের জবকে দারুণভাবে উপভোগ করতে পারবেন। এখানে চাকরি করতে হলে যে আপনাকে অনেক সুন্দরী হতে হবে এমন কিন্তু নয়। সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারা, ভালো ইংরেজি জানা, নিজেকে সব সময় পরিপাটি রাখা এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করতে পারলেই আপনার জন্য এ পেশা মোটেও কষ্টের নয়। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে কল সেন্টার ক্যারিয়ার গড়ার জন্য সুন্দর একটি মাধ্যম। পড়াশোনার পাশাপাশি খুব সহজেই আপনি এ কাজটি করতে পারেন। তাই ছাত্রছাত্রীরা কলসেন্টারে জব করে এগিয়ে যেতে পারেন স্বাচ্ছন্দ্যে। বাংলাদেশে কলসেন্টারের ক্যারিয়ার সম্ভাবনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এর মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক বেকার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কলসেন্টার সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে অনেকেই পিছিয়ে যাচ্ছেন এই পেশা থেকে। তবে এটা মনে রাখা উচিত, কলসেন্টার সত্যিকার অর্থেই অনেক বড় কাজের সুযোগ সৃষ্টি করছে এবং সব েেত্রই। আর তাই আস্তে আস্তে কলসেন্টারের প্রয়োজনীয়তা সবাই বুঝতে পারছেন। উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এর ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে ভালো। কলসেন্টার সাধারণত ২৪ ঘণ্টাই সার্ভিস দিয়ে থাকে। কায়েন্টদের বিভিন্ন তথ্য দেয়াই হচ্ছে এই কলসেন্টারের ল্য। এখানে সব শ্রেণীর শিতি জনগোষ্ঠীই যুক্ত হতে পারবে। কলসেন্টারে আবার পার্টটাইম চাকরি করারও ব্যবস্থা রয়েছে। পার্টটাইম এবং ফুল টাইম দুটোর জন্য আলাদা আলাদা সেলারি স্কেল রয়েছে। ফুলটাইম ডিউটির জন্য ন্যূনতম ১২ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা আর পার্টটাইম ডিউটির জন্য ন্যূনতম ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। তবে আপনি কাজ ভালো করলে সেলারি অনেক সময় এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এই পেশায় আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে বিদেশী কোম্পানিগুলোতেও ভালো বেতনে চলে যেতে পারেন। তবে সব কথার মূলকথা হলো, কাজটাকে ভালোবেসে করতে হবে। কলসেন্টার হতে পারে শিতি তারুণ্যের স্মার্ট ও চ্যালেঞ্জিং পেশা। তাই এখানে ভবিষ্যৎ গড়ার সম্ভাবনাও অনেকটা বেশি। বিভিন্ন জায়গায় কলসেন্টারের



ট্রেনিং দিয়ে থাকে। ট্রেনিং শেষ করে আপনিও চলে আসতে পারেন কলসেন্টারের চ্যালেঞ্জিং পেশায়। া

Aj 10-11-2014 daily somokal-ar fun magazine pachall amar idea
aj 17-11-2014 daily bangladesh potidine-ar rokomari tommo-ta amar lakha idea<< nij dayetta porun<<>>><

লোকাল বাসে যেভাবে সিট পাবেন

লোকাল বাসে সিট পাওয়াটা হাতে আকাশের চাঁদ পাওয়ার মতো। পাবলিকের গুঁতাগুঁতি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা এছাড়া পকেটমার তো সদা জাগ্রত আছেই। তো কী করলে সিট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, জানাচ্ছেন- সোহানুর রহমান অনন্ত

পিঁপড়া নিয়ে উঠুন : গাড়িতে উঠার সময় কিছু পিঁপড়া নিয়ে উঠুন, তারপর সবার অগোচরে দুই একটা সিটে বসা আদমির উপর ছেড়ে দিন। দেখবেন কামড় খেয়ে ব্যাটা শুধু সিট-ই ছাড়বে না, চিল্লাপাল্লা করে বাসও ত্যাগ করবে। আর আপনি সেই সুযোগে সিটে বসে পড়বেন।



চেয়ার সঙ্গে রাখুন : সিট পাওয়াটা এত মুশকিল হলে নিজেই একটি চেয়ার সঙ্গে রাখুন। তারপর বাসে উঠে দাঁড়িয়ে না থেকে চেয়ারে বসে পড়ুন ব্যস মামলা ফিনিস।



হেলপারকে আত্মীয় বানিয়ে ফেলুন : হেলপারকে বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে দুঃসম্পর্কের আত্মীয় হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিন। ঠিকমতো গুছিয়ে কথা বলতে পারলে। সিটও পাবেন ভাড়াটাও বেচে যাবে।
Aj daily kalar kantha fun magazinge gorardim-a amar idea
Aj 03-11-2014 Daily somokal-ar fun magazine pachall-a amr lakha idea
Aj 03-11-2014 daily nayadiganter Abokash-a

প্লানচেট
সোহানুর রহমান অনন্ত

আপনি জানেন এ ব্যক্তিটি মারা গেছে, যদি কোনো কিছুর মাধ্যমে মারা যাওয়া সেই ব্যক্তিটি আবার আপনার সামনে এসে দাঁড়ায় তখন আপনার মনের অবস্থা কেমন হবে? হয়তো আপনি ভাবছেন এটি কেবলই কল্পনায় বা ছবিতে সম্ভব। আপনার ধারণা ভুল, কেননা এটি বাস্তবেও সম্ভব। প্লানচেটের মাধ্যমে মানুষের আত্মাকে হাজির করা কি যায়! কথা বলা যায় মৃত ব্যক্তির সাথে। যুগ যুগ অনেক জায়গা, অনেকেই প্লানচেটের মাধ্যমে আত্মার সাথে যোগাযোগ করেছে। বিজ্ঞান যদিও প্লানচেটকে বিশ্বাস করে না, তবুও এমনটিই বিশ্বের অনেক জায়গা ঘটে চলেছে। মৃত মানুষের সাথে কথা বলা, মৃত মানুষের সাথে যোগাযোগ।
ধারণা করা হয়, ১৮৮৩ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোতে সর্বপ্রথম প্লানচেটের গবেষণা ও ব্যবহার শুরু হয়। তারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করত একজন ব্যক্তি মারা গেলেও তাকে কিছু নিয়মকানুন ব্যবহার করে ডেকে আনা সম্ভব। আত্মার সাথে কথা বলা সম্ভব। প্লানচেট করার বেশ কিছু নিয়মকানুন আছে। বিশেষ করে একলা ঘরে, (রাত হলে ভালো হয়) দরজা বন্ধ করে নিতে হবে। প্লানচেট করতে হলে প্রথমে একটি বোর্ডের দরকার হয়। দুই দিকে ছোট ছোট ক্যাস্টরদানা থাকায় বোর্ডটি সুবিধামতো চক্রাকারে ঘুরতে পারে। ঠিক ঘরের মাঝখানে বোর্ডটিকে রাখতে হবে। বোর্ডের মাঝখানে ছোট্ট একটি ছিদ্র থাকে, সেই ছিদ্রে কল বা পেনসিল ঢোকানো থাকে। অবশ্যই সেই কলম বা পেনসিলকে কাগজের ওপর স্পর্শ করতে হবে। ভালোভাবে যাতে নাড়ানো যায় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। এটিকে মূলত বলা হয় প্রেতচক্র। প্লানচেট করতে হলে বেজোড় সংখ্যা থাকা জরুরি। চোখ বন্ধ অবস্থায় হাতের আঙুল ছুঁয়ে ধ্যানে যেভাবে বসে সেভাবে বসতে হবে। পরে মনে মনে আত্মাকে স্মরণ করতে হবে। এর ফলে পৃথিবীতে আসা বিদেহী আত্মাগুলো এসে উপস্থিত হয়।
এবং নিজেদের মধ্যে একের পর এক প্রশ্ন এবং উত্তর চলতে থাকে।
প্লানচেট বা প্রেতচক্র নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে বা হচ্ছে। এটি নিয়ে বিজ্ঞানীদেরও রয়েছে ভিন্ন মত। কেউ বলেন এর যুক্তিসঙ্গত কোনো প্রমাণ নেই, এটি নিছক একটি খেলা মাত্র। আবার অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, প্রেতচক্র কিছু কৌশল, যার মাধ্যমে আত্মারা উপস্থিত হতে পারে। একটি মানুষ মারা গেলে সে আবার কিভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটা আমাদের কাছে রহস্য। তবে বিদেহি আত্মাকে কাজে লাগিয়ে অনেক ওঝা, সন্ন্যাসীরা কাজ হাসিল করে থাকে, যা মানুষের কাছে কালুজাদু নামে বেশ পরিচিত। া