27-08-2015 Daily somokal-ar Shinibar-ar chiti-ta amar lekha special thanks- jobayer raju<<>>>>
মোনালিসার হাসি
-সোহানুর রহমান অনন্ত
ফার্মগেট থেকে মেয়েটি উঠল, চোখে কালো সানগ্গ্নাস। আমার পাশের সিটটা খালি দেখে বসে পড়ল। দামি একটা পারফিউমের ঘ্রাণ থেমে থেমে আমার নাকে আসছিল। সুন্দরী মেয়েদের পাশে বসে জার্নি করার অভ্যাস নেই তাই বেশ অস্বস্তি লাগছিল। কিছুদূর আসতেই মেয়েটি মিষ্টি রিনরিনে গলায় বলল, 'আমি কি জানালার পাশের সিটে বসতে পারি?'
সেকেন্ড কয়েক চিন্তা করলাম। কী চিন্তা করলাম নিজেও জানি না। উঠে সিটটা দিয়ে দিলাম। মেয়েটি ব্যাগ থেকে একটা বই বের করল। হুমায়ূন স্যারের বই, 'আজ হিমুর বিয়ে'। কয়েক পৃষ্ঠা নাড়াচাড়া করে বন্ধ করে দিল। সুন্দর মুখটিতে ক্লান্তির ছাপ। কথা বলার একটা ইচ্ছা আমার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে। সাহস করে বলেই ফেললাম, 'বইটা দেখতে পারি?' মেয়েটি পাল্টা প্রশ্ন না করে এগিয়ে দিল। পড়ার এক ফাঁকে লক্ষ্য করলাম, মেয়েটি সিটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। চশমাটা চুলের রাজ্যে আটকা পড়ে আছে। বইটা পড়তে পড়তে কখন যে পল্টন চলে এলাম টের পাইনি। হেলপার পল্টন বলতেই লাফিয়ে বাস থেকে নেমে পড়লাম। কিছুদূর আসতেই মনে হলো, আরে বইটা তো আমার না! বাসটা তখন জিপিও সিগন্যালে আটকে ছিল। দৌড়ে গিয়ে দেখি মেয়েটি তখনও ঘুমাচ্ছে। জানালা দিয়ে আমি ডাক দিলাম, 'এই যে, শুনতে পাচ্ছেন, আপনার বইটা।' মেয়েটি চমকে উঠল। বইটা আমার হাত থেকে নিয়ে ব্যাগে রাখল। আমি সরি বলার আগেই মেয়েটি বলল, 'ধন্যবাদ।' আরও কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল। তখনই সিগন্যাল ছেড়ে দিল। মেয়েটি তাকিয়ে ছিল ...। অদ্ভুত সুন্দর একটা হাসি দেখছিলাম ওর ঠোঁটের কোণে। ঠিক যেন মোনালিসার হাসি
মোনালিসার হাসি
-সোহানুর রহমান অনন্ত
ফার্মগেট থেকে মেয়েটি উঠল, চোখে কালো সানগ্গ্নাস। আমার পাশের সিটটা খালি দেখে বসে পড়ল। দামি একটা পারফিউমের ঘ্রাণ থেমে থেমে আমার নাকে আসছিল। সুন্দরী মেয়েদের পাশে বসে জার্নি করার অভ্যাস নেই তাই বেশ অস্বস্তি লাগছিল। কিছুদূর আসতেই মেয়েটি মিষ্টি রিনরিনে গলায় বলল, 'আমি কি জানালার পাশের সিটে বসতে পারি?'
সেকেন্ড কয়েক চিন্তা করলাম। কী চিন্তা করলাম নিজেও জানি না। উঠে সিটটা দিয়ে দিলাম। মেয়েটি ব্যাগ থেকে একটা বই বের করল। হুমায়ূন স্যারের বই, 'আজ হিমুর বিয়ে'। কয়েক পৃষ্ঠা নাড়াচাড়া করে বন্ধ করে দিল। সুন্দর মুখটিতে ক্লান্তির ছাপ। কথা বলার একটা ইচ্ছা আমার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে। সাহস করে বলেই ফেললাম, 'বইটা দেখতে পারি?' মেয়েটি পাল্টা প্রশ্ন না করে এগিয়ে দিল। পড়ার এক ফাঁকে লক্ষ্য করলাম, মেয়েটি সিটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। চশমাটা চুলের রাজ্যে আটকা পড়ে আছে। বইটা পড়তে পড়তে কখন যে পল্টন চলে এলাম টের পাইনি। হেলপার পল্টন বলতেই লাফিয়ে বাস থেকে নেমে পড়লাম। কিছুদূর আসতেই মনে হলো, আরে বইটা তো আমার না! বাসটা তখন জিপিও সিগন্যালে আটকে ছিল। দৌড়ে গিয়ে দেখি মেয়েটি তখনও ঘুমাচ্ছে। জানালা দিয়ে আমি ডাক দিলাম, 'এই যে, শুনতে পাচ্ছেন, আপনার বইটা।' মেয়েটি চমকে উঠল। বইটা আমার হাত থেকে নিয়ে ব্যাগে রাখল। আমি সরি বলার আগেই মেয়েটি বলল, 'ধন্যবাদ।' আরও কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল। তখনই সিগন্যাল ছেড়ে দিল। মেয়েটি তাকিয়ে ছিল ...। অদ্ভুত সুন্দর একটা হাসি দেখছিলাম ওর ঠোঁটের কোণে। ঠিক যেন মোনালিসার হাসি
No comments:
Post a Comment