Tuesday, 31 March 2015
আজ ০৮-০৩-২০১৫ দৈনিক নয়াদিগন্তে অবকাশ পাতায় আমার লেখা বসন্ত নিয়ে
এখন বসন্ত
সোহানুর রহমান অনন্ত
প্রকৃতি এক ভিন্ন রূপ পায় বসন্ত এলে। শীতে মলিন হয়ে যাওয়া প্রকৃতি বসন্তের ছোঁয়ায় সেজে ওঠে অপরূপ সাজে। পাতা ঝরার দিন শেষে গাছের ডালে ডালে উঁকি দেয় নতুন কচি সবুজ পাতা। প্রকৃতির মাঝে রঙ মাখাতে ব্যস্ত থাকে পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত
বসন্ত মানেই শীতের আনুষ্ঠানিক বিদায়। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য অনুযায়ী নানা আয়োজনের মাঝে বরণ করে নেয় এর প্রথম দিনটিকে। পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে তরুণ, আর বাসন্তী রঙের শাড়ি, খোঁপায় ফুল এবং কপালে টিপ পরে তরুণীরা। হাতে থাকে বাহারি রঙের চুড়ি। আর সেই রঙের ছোঁয়ায় প্রতিটি পথ যেন ছন্দময় হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে প্রেমপাগল মন যেন বসন্তকে নিয়েই স্বপ্ন দেখেছে। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যায় না গ্রাম্যজীবনও। আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠাপুলির মিষ্টিঘ্রাণে গ্রামে বসন্তের আমেজ একটু বেশিই ধরা পড়ে। বসন্তকে তারা আরো নিবিড়ভাবে বরণ করে। বসন্তের প্রথম দিনটি আমার পয়লা ফাল্গুন উৎসব হিসেবে পালন করি। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। এর পর তিনি নতুন বছরকে কেন্দ্র করে সবার জন্য ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। বাঙালিদের প্রাণের উৎসব। এর সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালি সত্তা। ১৯৫২ সালের ৮ ফাগুন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পলাশরাঙা দিনে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলেন রফিক, বরকতসহ আরো অনেকে। আর এই বসন্তেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির প্রাণের অমর একুশে বইমেলা। তাই প্রত্যেক বাঙালির মনে গেঁথে আছে এই বসন্ত।প্রকৃতি এক ভিন্ন রূপ পায় বসন্ত এলে। শীতে মলিন হয়ে যাওয়া প্রকৃতি বসন্তের ছোঁয়ায় সেজে ওঠে অপরূপ সাজে। পাতা ঝরার দিন শেষে গাছের ডালে ডালে উঁকি দেয় নতুন কচি সবুজ পাতা। প্রকৃতির মাঝে রঙ মাখাতে ব্যস্ত থাকে পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া। প্রিয়ার মনের মতোই যেন সবুজে ভরে ওঠে অরণ্য। যত দূর চোখ যায়, কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্ত শুধু প্রকৃতিতেই নয়, মানুষের মনেও দোলা দেয়। বসন্ত মানে মনের পূর্ণতা, নিবির এক আকাক্সার মিলন। বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে বহুদূর হেঁটে যাওয়া। চোখে চোখ রেখে, কল্পলোকের ছবি আঁকা। বসন্তের রঙ মনকে আনমনা করে দেয়। কোকিলের কুহুকুহু সুর যেন বিষের বাঁশির মতো বেজে ওঠে বিরহী হৃদয়ে। কনকনে ঠাণ্ডা না থাকলেও মাঝে মাঝে শীতল হাওয়া শরীর জুড়িয়ে দিয়ে যায়। শহরে এর প্রভাব তেমন না দেখা গেলেও গ্রামে এর সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো। বসন্ত এলেই গ্রামের হাটে মেলা বসে। যাত্রাপালা অথবা সার্কাস পার্টি আসে দূর-দূরান্ত থেকে। বসন্ত প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে ভিন্ন অনুভূতি সৃষ্টি করে। তাই তাকে বলা হয় ঋতুরাজ। কত শত কবিতা, গান কবিরা লিখে গেছেন এই বসন্ত নিয়ে, তার কোনো হিসাব নেই। প্রেমিকার মিষ্টি হাসির মতোই বসন্ত আলোড়ন তোলে, ঢেউ তোলে মনের সমুদ্রে, শিহরণ জাগায়। সবুজ ঘাসের ক্যানভাসে শিশিরের অলঙ্করণ নজর কাড়ে। মেঘমুক্ত আকাশে ওড়ে রঙ-বেরঙের ঘুড়ি। শেষ রাতে শোনা যায় টিনের চালে টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া শিশিরের শব্দ। প্রকৃতির সাথে সাথে বসন্তে জেগে ওঠে প্রতিটি প্রাণ, আর হারিয়ে যেতে চায় অজানার মাঝে। া
sranontojugantor@gmail.com
এখন বসন্ত
সোহানুর রহমান অনন্ত
প্রকৃতি এক ভিন্ন রূপ পায় বসন্ত এলে। শীতে মলিন হয়ে যাওয়া প্রকৃতি বসন্তের ছোঁয়ায় সেজে ওঠে অপরূপ সাজে। পাতা ঝরার দিন শেষে গাছের ডালে ডালে উঁকি দেয় নতুন কচি সবুজ পাতা। প্রকৃতির মাঝে রঙ মাখাতে ব্যস্ত থাকে পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত
বসন্ত মানেই শীতের আনুষ্ঠানিক বিদায়। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য অনুযায়ী নানা আয়োজনের মাঝে বরণ করে নেয় এর প্রথম দিনটিকে। পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে তরুণ, আর বাসন্তী রঙের শাড়ি, খোঁপায় ফুল এবং কপালে টিপ পরে তরুণীরা। হাতে থাকে বাহারি রঙের চুড়ি। আর সেই রঙের ছোঁয়ায় প্রতিটি পথ যেন ছন্দময় হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে প্রেমপাগল মন যেন বসন্তকে নিয়েই স্বপ্ন দেখেছে। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যায় না গ্রাম্যজীবনও। আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠাপুলির মিষ্টিঘ্রাণে গ্রামে বসন্তের আমেজ একটু বেশিই ধরা পড়ে। বসন্তকে তারা আরো নিবিড়ভাবে বরণ করে। বসন্তের প্রথম দিনটি আমার পয়লা ফাল্গুন উৎসব হিসেবে পালন করি। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। এর পর তিনি নতুন বছরকে কেন্দ্র করে সবার জন্য ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। বাঙালিদের প্রাণের উৎসব। এর সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালি সত্তা। ১৯৫২ সালের ৮ ফাগুন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পলাশরাঙা দিনে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলেন রফিক, বরকতসহ আরো অনেকে। আর এই বসন্তেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির প্রাণের অমর একুশে বইমেলা। তাই প্রত্যেক বাঙালির মনে গেঁথে আছে এই বসন্ত।প্রকৃতি এক ভিন্ন রূপ পায় বসন্ত এলে। শীতে মলিন হয়ে যাওয়া প্রকৃতি বসন্তের ছোঁয়ায় সেজে ওঠে অপরূপ সাজে। পাতা ঝরার দিন শেষে গাছের ডালে ডালে উঁকি দেয় নতুন কচি সবুজ পাতা। প্রকৃতির মাঝে রঙ মাখাতে ব্যস্ত থাকে পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া। প্রিয়ার মনের মতোই যেন সবুজে ভরে ওঠে অরণ্য। যত দূর চোখ যায়, কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্ত শুধু প্রকৃতিতেই নয়, মানুষের মনেও দোলা দেয়। বসন্ত মানে মনের পূর্ণতা, নিবির এক আকাক্সার মিলন। বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে বহুদূর হেঁটে যাওয়া। চোখে চোখ রেখে, কল্পলোকের ছবি আঁকা। বসন্তের রঙ মনকে আনমনা করে দেয়। কোকিলের কুহুকুহু সুর যেন বিষের বাঁশির মতো বেজে ওঠে বিরহী হৃদয়ে। কনকনে ঠাণ্ডা না থাকলেও মাঝে মাঝে শীতল হাওয়া শরীর জুড়িয়ে দিয়ে যায়। শহরে এর প্রভাব তেমন না দেখা গেলেও গ্রামে এর সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো। বসন্ত এলেই গ্রামের হাটে মেলা বসে। যাত্রাপালা অথবা সার্কাস পার্টি আসে দূর-দূরান্ত থেকে। বসন্ত প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে ভিন্ন অনুভূতি সৃষ্টি করে। তাই তাকে বলা হয় ঋতুরাজ। কত শত কবিতা, গান কবিরা লিখে গেছেন এই বসন্ত নিয়ে, তার কোনো হিসাব নেই। প্রেমিকার মিষ্টি হাসির মতোই বসন্ত আলোড়ন তোলে, ঢেউ তোলে মনের সমুদ্রে, শিহরণ জাগায়। সবুজ ঘাসের ক্যানভাসে শিশিরের অলঙ্করণ নজর কাড়ে। মেঘমুক্ত আকাশে ওড়ে রঙ-বেরঙের ঘুড়ি। শেষ রাতে শোনা যায় টিনের চালে টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া শিশিরের শব্দ। প্রকৃতির সাথে সাথে বসন্তে জেগে ওঠে প্রতিটি প্রাণ, আর হারিয়ে যেতে চায় অজানার মাঝে। া
sranontojugantor@gmail.com
Aj 16-2-2015 Daily bangladesh potidine-a amar lakha
খেলা দেখার কৌশল
বিশ্বকাপ খেলা দেখা নিয়ে আপনি হয়তো ব্যাপক টেনশনে আছেন। ভাবছেন কীভাবে টেনশনমুক্ত খেলা দেখা যায়? আপনার জন্যই আমাদের এই টিপস্গুলো লিখেছেন- সোহানুর রহমান অনন্ত
আলগা খাতির জমান-
যেহেতু খেলাগুলো দিনের বেলাতে পড়েছে তাই আপনার বাড়তি টেনশন থাকতেই পারে। সেই কারণেই আপনার উচিত নিয়মিত বসের সঙ্গে আলগা খাতির জমানো। তাকে বলুন, তাকে বিখ্যাত অমুক খেলোয়াড়ের মতো তমুক খেলোয়াড়ের মতো লাগে ইত্যাদি। আর এতে বস খুশি হয়ে শুধু আপনাকে খেলা দেখার সুযোগ করেই দেবে না নিজেও খেলা দেখতে বসে যাবে।
প্রেমে কৌশলী হোন-
খেলা দেখার সময় প্রেমিকা দুষ্টুমি করতেই পারে। যেহেতু আপনি সুপারম্যান নন, আর প্রেমিকার কথা লাইলীর কথার মতোই মূল্যবান, তাই আপনাকে ভিন্ন কৌশলে এগোতে হবে। অর্থাৎ প্রেমিকা যদি ডেটিংয়ে যেতে বলে আপনি যাবেন। কোনো রেস্টুরেন্টে যেতে বললেও যাবেন। ব্যস খাওয়া-দাওয়া করে মানিব্যাগ ফেলে এসেছেন এই টাইপের কথা বলে প্রেমিকার কাঁধে বিল ধরিয়ে দিলেই দেখবেন আপনার সাথে ডেটিংয়ে যাবে না। আর তাই আপনিও আরামে খেলা দেখতে পারবেন।
বউকে এমনি এমনি উপহার দিন-
বিবাহিত ভাইয়েরা খুব ভালোভাবেই জানেন, খেলা দেখা কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু বউ বিদেশি সিরিয়াল দেখতে পছন্দ করে তাই আপনার উচিত বউকে নতুন নতুন ড্রেস উপহার দেওয়া, আর এগুলো নিজে কিনতে যদি সাহস না পান তাহলে বউকে কিছু টাকা দিয়ে দিন। দেখবেন খেলা দেখার সময়, কেউ আর বিরক্ত করবে না।
নিরীহ গুজব রটিয়ে দিন-
যেহেতু খেলাটা আপনাকে ঠাণ্ডা মাথায় দেখতে হবে তাই আপনার উচিত নিরীহ গুজব রটিয়ে দেওয়া। যাতে আত্মীয়-স্বজন এসে বিরক্ত করতে না পারে। গুজব রটিয়ে দিন আপনার বাড়ির অবস্থা নড়বড়ে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। ব্যস কেউ আর আপনার বাড়িতে ভুলেও আসবে না।
বিকল্প কিছু ভাবুন- আর এর কোনোটাই যদি কার্যকরী না হয়, তাহলে মাস দুয়েকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে চলে যান। জানেন তো জামাইদের আবার শ্বশুরবাড়িতে ব্যাপক কদর। পায়ের ওপর পা তুলে খেলা দেখুন, কোনো সমস্যা নেই। খাওয়া-দাওয়াও ফ্রি। তবে শালাশালী থেকে সাবধান।
আর যারা বিয়ে করেননি তাদের জন্য আমাদের গবেষণা অব্যাহত রয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো টিপস্ পেলেই জানিয়ে দেওয়া হবে।
খেলা দেখার কৌশল
বিশ্বকাপ খেলা দেখা নিয়ে আপনি হয়তো ব্যাপক টেনশনে আছেন। ভাবছেন কীভাবে টেনশনমুক্ত খেলা দেখা যায়? আপনার জন্যই আমাদের এই টিপস্গুলো লিখেছেন- সোহানুর রহমান অনন্ত
আলগা খাতির জমান-
যেহেতু খেলাগুলো দিনের বেলাতে পড়েছে তাই আপনার বাড়তি টেনশন থাকতেই পারে। সেই কারণেই আপনার উচিত নিয়মিত বসের সঙ্গে আলগা খাতির জমানো। তাকে বলুন, তাকে বিখ্যাত অমুক খেলোয়াড়ের মতো তমুক খেলোয়াড়ের মতো লাগে ইত্যাদি। আর এতে বস খুশি হয়ে শুধু আপনাকে খেলা দেখার সুযোগ করেই দেবে না নিজেও খেলা দেখতে বসে যাবে।
প্রেমে কৌশলী হোন-
খেলা দেখার সময় প্রেমিকা দুষ্টুমি করতেই পারে। যেহেতু আপনি সুপারম্যান নন, আর প্রেমিকার কথা লাইলীর কথার মতোই মূল্যবান, তাই আপনাকে ভিন্ন কৌশলে এগোতে হবে। অর্থাৎ প্রেমিকা যদি ডেটিংয়ে যেতে বলে আপনি যাবেন। কোনো রেস্টুরেন্টে যেতে বললেও যাবেন। ব্যস খাওয়া-দাওয়া করে মানিব্যাগ ফেলে এসেছেন এই টাইপের কথা বলে প্রেমিকার কাঁধে বিল ধরিয়ে দিলেই দেখবেন আপনার সাথে ডেটিংয়ে যাবে না। আর তাই আপনিও আরামে খেলা দেখতে পারবেন।
বউকে এমনি এমনি উপহার দিন-
বিবাহিত ভাইয়েরা খুব ভালোভাবেই জানেন, খেলা দেখা কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু বউ বিদেশি সিরিয়াল দেখতে পছন্দ করে তাই আপনার উচিত বউকে নতুন নতুন ড্রেস উপহার দেওয়া, আর এগুলো নিজে কিনতে যদি সাহস না পান তাহলে বউকে কিছু টাকা দিয়ে দিন। দেখবেন খেলা দেখার সময়, কেউ আর বিরক্ত করবে না।
নিরীহ গুজব রটিয়ে দিন-
যেহেতু খেলাটা আপনাকে ঠাণ্ডা মাথায় দেখতে হবে তাই আপনার উচিত নিরীহ গুজব রটিয়ে দেওয়া। যাতে আত্মীয়-স্বজন এসে বিরক্ত করতে না পারে। গুজব রটিয়ে দিন আপনার বাড়ির অবস্থা নড়বড়ে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। ব্যস কেউ আর আপনার বাড়িতে ভুলেও আসবে না।
বিকল্প কিছু ভাবুন- আর এর কোনোটাই যদি কার্যকরী না হয়, তাহলে মাস দুয়েকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে চলে যান। জানেন তো জামাইদের আবার শ্বশুরবাড়িতে ব্যাপক কদর। পায়ের ওপর পা তুলে খেলা দেখুন, কোনো সমস্যা নেই। খাওয়া-দাওয়াও ফ্রি। তবে শালাশালী থেকে সাবধান।
আর যারা বিয়ে করেননি তাদের জন্য আমাদের গবেষণা অব্যাহত রয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো টিপস্ পেলেই জানিয়ে দেওয়া হবে।
aj somokal-ar pachall a amar lakha 16-2-2015
যা করবেন না
মিছিল করবেন না : দল জয়ী হলে ভুলেও মিছিল করতে যাবেন না। শেষে দেখা যাবে রাজনৈতিক মিছিল ভেবে সে মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বসেছে। দেশের যা অবস্থা, বলা তো যায় না...!
কাউকে দাওয়াত করবেন না : এই সময়ে মেহমান আসা মানে বাড়তি ঝামেলা। শুধু ঝামেলাই নয়, আপনার খেলা দেখার বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। তাই আত্মীয়স্বজন কাউকে দাওয়াত করবেন না। দরকার হলে গুজব রটিয়ে দিন, আপনার বাড়ি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে! দেখবেন কেউ আর ভুলেও আপনার বাড়ির দিকে পা বাড়াচ্ছে না।
ফেসবুকে সাবধানে স্ট্যাটাস : আগেভাগে নিজ দলকে নিয়ে চাপা মারতে যাবেন না। পরে দেখা যাবে আপনার দল হেরে বসে আছে। অবস্থা তেমন হলে পাবলিকের ননস্টপ গালিবর্ষণে আপনার আইডি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।
যা করবেন না
মিছিল করবেন না : দল জয়ী হলে ভুলেও মিছিল করতে যাবেন না। শেষে দেখা যাবে রাজনৈতিক মিছিল ভেবে সে মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বসেছে। দেশের যা অবস্থা, বলা তো যায় না...!
কাউকে দাওয়াত করবেন না : এই সময়ে মেহমান আসা মানে বাড়তি ঝামেলা। শুধু ঝামেলাই নয়, আপনার খেলা দেখার বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। তাই আত্মীয়স্বজন কাউকে দাওয়াত করবেন না। দরকার হলে গুজব রটিয়ে দিন, আপনার বাড়ি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে! দেখবেন কেউ আর ভুলেও আপনার বাড়ির দিকে পা বাড়াচ্ছে না।
ফেসবুকে সাবধানে স্ট্যাটাস : আগেভাগে নিজ দলকে নিয়ে চাপা মারতে যাবেন না। পরে দেখা যাবে আপনার দল হেরে বসে আছে। অবস্থা তেমন হলে পাবলিকের ননস্টপ গালিবর্ষণে আপনার আইডি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।
aj somokal-ar pachall a amar lakha 16-2-2015
বিশ্বকাপ চলাকালে যা করবেন এবং যা করবেন না
সোহানুর রহমান অনন্ত
হেলমেট ব্যবহার করুন : ভাবছেন বিশ্বকাপের সঙ্গে হেলমেট পরার কী সম্পর্ক? একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করলেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন। বিশ্বকাপ মানেই টান টান উত্তেজনা। আর এই উত্তেজনার মাঝে কেউ কেউ আবার বেজায় রেগে যান। দেখা যাবে টিভি, চেয়ার, ফুলদানি, খুন্তি_ হাতের কাছে যা পাচ্ছেন তাই ছুড়ে মারছেন। আপনি যদি হেলমেট না পরেন, তবে এ ধরনের ক্রিকেট ভক্তের কবলে পড়ে গুরুতর আহত হতে পারেন।
বউকে ঘুষ দিন : আপনি যতই কাজ পাগল হোন না কেন, এই এক মাস অন্তত আপনি সব কিছু রেখে খেলাটাই দেখতে চাইবেন। তবে খেলা দেখতে গেলে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হবে। বিশেষ করে ঘরে বসে খেলা দেখতে হলে আগে বউকে খুশি করতে হবে। খেলা যেহেতু আপনাকে দেখতেই হবে সেহেতু বউকে আগে পটানোর ব্যবস্থা করুন। নইলে তার হাত থেকে রিমোট উদ্ধার করতে পারবেন না। দরকার হলে ঘুষ দিন। আজকাল ঘুষে সব কিছু হয়। বউকে ঘুষ দিয়ে সাইলেন্ট করে ফেলুন। তারপর আরামে বসে খেলা দেখুন।
গার্লফ্রেন্ডকে খেলা দেখতে উৎসাহিত করুন : যেহেতু খেলাগুলো দিনে পড়েছে, তাই খেলা রেখে বাইরে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিশেষ করে ডেটিংয়ে যাওয়ার তো চিন্তাই করা যায় না। তাই প্রেমিকার হাত থেকে বাঁচতে তাকে খেলা দেখতে উৎসাহিত করুন। খেলা যেহেতু দিনে, তাই আপনার গার্লফ্রেন্ডকে বেশি বেশি খেলা দেখতে উৎসাহী করুন। আর তাতেও কাজ না হলে, এই এক মাসের জন্য কোনো বাচাল বন্ধুর কাছে আপনার প্রেমিকার ফোন নম্বরটি হস্তান্তর করুন। দেখবেন সে কথা বলার ফাঁদে ফেলে আপনার গার্লফ্রেন্ডকে বিজি রাখছে।
বসকে তেল মারার কৌশল জানুন : যেহেতু প্রতিটি খেলাই দিনে পড়েছে, তাই বসকে তেল মারার কৌশলটা আপনাকে জানতে হবে। দরকার হলে বাসা থেকে বসের জন্য কয়েক পদের রান্না করা খাবার নিয়ে যান। বসের চেহারার প্রশংসা করে অমুক-তমুক নায়কের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। নইলে লেট করে অফিসে আসার কারণে চাকরিটা নিহত হতে পারে।
বিশ্বকাপ চলাকালে যা করবেন এবং যা করবেন না
সোহানুর রহমান অনন্ত
হেলমেট ব্যবহার করুন : ভাবছেন বিশ্বকাপের সঙ্গে হেলমেট পরার কী সম্পর্ক? একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করলেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন। বিশ্বকাপ মানেই টান টান উত্তেজনা। আর এই উত্তেজনার মাঝে কেউ কেউ আবার বেজায় রেগে যান। দেখা যাবে টিভি, চেয়ার, ফুলদানি, খুন্তি_ হাতের কাছে যা পাচ্ছেন তাই ছুড়ে মারছেন। আপনি যদি হেলমেট না পরেন, তবে এ ধরনের ক্রিকেট ভক্তের কবলে পড়ে গুরুতর আহত হতে পারেন।
বউকে ঘুষ দিন : আপনি যতই কাজ পাগল হোন না কেন, এই এক মাস অন্তত আপনি সব কিছু রেখে খেলাটাই দেখতে চাইবেন। তবে খেলা দেখতে গেলে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হবে। বিশেষ করে ঘরে বসে খেলা দেখতে হলে আগে বউকে খুশি করতে হবে। খেলা যেহেতু আপনাকে দেখতেই হবে সেহেতু বউকে আগে পটানোর ব্যবস্থা করুন। নইলে তার হাত থেকে রিমোট উদ্ধার করতে পারবেন না। দরকার হলে ঘুষ দিন। আজকাল ঘুষে সব কিছু হয়। বউকে ঘুষ দিয়ে সাইলেন্ট করে ফেলুন। তারপর আরামে বসে খেলা দেখুন।
গার্লফ্রেন্ডকে খেলা দেখতে উৎসাহিত করুন : যেহেতু খেলাগুলো দিনে পড়েছে, তাই খেলা রেখে বাইরে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিশেষ করে ডেটিংয়ে যাওয়ার তো চিন্তাই করা যায় না। তাই প্রেমিকার হাত থেকে বাঁচতে তাকে খেলা দেখতে উৎসাহিত করুন। খেলা যেহেতু দিনে, তাই আপনার গার্লফ্রেন্ডকে বেশি বেশি খেলা দেখতে উৎসাহী করুন। আর তাতেও কাজ না হলে, এই এক মাসের জন্য কোনো বাচাল বন্ধুর কাছে আপনার প্রেমিকার ফোন নম্বরটি হস্তান্তর করুন। দেখবেন সে কথা বলার ফাঁদে ফেলে আপনার গার্লফ্রেন্ডকে বিজি রাখছে।
বসকে তেল মারার কৌশল জানুন : যেহেতু প্রতিটি খেলাই দিনে পড়েছে, তাই বসকে তেল মারার কৌশলটা আপনাকে জানতে হবে। দরকার হলে বাসা থেকে বসের জন্য কয়েক পদের রান্না করা খাবার নিয়ে যান। বসের চেহারার প্রশংসা করে অমুক-তমুক নায়কের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। নইলে লেট করে অফিসে আসার কারণে চাকরিটা নিহত হতে পারে।
Aj 09-02-2015 Daily bangladesh potidine-ar rokomari rommota amar lakha<<>>> tongue emoticon
বইমেলায় যা করতে পারেন
ভাবছেন বইমেলায় আপনি আবার কি করতে পারেন? জি, আপনার জন্যই আমাদের মাথাব্যথা। বইমেলায় আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন। তারই কিছু নমুনা তুলে ধরেছে- সোহানুর রহমান অনন্ত
নাম বদলান-
অনেকেই বই বের করে চিন্তায় থাকেন তার বইটা হিট হবে কিনা। বা সেটা সেল কেমন হবে ইত্যাদি। আপনিও যদি এমন চিন্তা করে থাকেন তাহলে নিজের বইয়ের নামই বদলে ফেলুন। মানে বইয়ের নাম রাখুন বেস্ট সেলার। ব্যস সেল হোক আর না হোক, মেলায় আপনার বই অবশ্যই বেস্ট সেলার, পুরো জাতি একসঙ্গে সেটা স্বীকার করতে বাধ্য।
সুপার স্টার হয়ে যান-
নিয়মিত বইমেলায় যেতে পারেন। একদিকে যেমন ফ্রি লিফলেট, কার্ড পাবেন অন্যদিকে দেখতে পারবেন, সুন্দরীদের। ব্যস চোখাচেখি হয়ে গেলে, প্রেমও হয়ে যেতে পারে। আর প্রেম হওয়া মানে বন্ধুদের কাছে আপনার সুপার স্টার। তবে সাবধান চোখাচোখি করতে গিয়ে চোখ মারবেন না যেন, তাহলে বিপদ আসলেও আসতে পারে। সে জন্য আমরা কিন্তু দায়ী নই।
টিভিতে নিজেকে দেখান-
বইমেলা মানে ডজনে ডজনে ক্যামেরা। আর ক্যামেরা মানে, লাইভ কিছুর মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন আপনি। এই সুযোগে নিজের হিরোসুলভ চেহারাটা টিভিতে বিনামূল্যে দেখিয়ে ফেলুন। অন্তত গার্লফ্রেন্ডের কাছে তো বুক ফুলিয়ে বলতে পারবেন যে, আপনাকে টিভিতে একদা দেখিয়েছিল।
বেশি বই কিনুন-
বই পড়ুন কিংবা না পড়ুন, মেলা থেকে বেশি বেশি বই কিনুন। তারপর সেগুলো ঘরে এনে বউয়ের হাতের কাছে রাখুন। অন্তত ঝগড়া লাগলে রিমোট ছোড়ার বদলে বই ছুড়বে। তাও ভালো, রোজ রোজ রিমোট কিনতে হবে না।
অটো অটোগ্রাফ বিলান-
আপনি যদি স্বঘোষিত কবি, লেখক হয়ে থাকেন তবে যাই হোক না কেন, মেলায় গেলে আপনার ভক্তরা আপনার কাছে অটোগ্রাফ চাইবে এটাই স্বাভাবিক। আর বেশি অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে আপনি বিরক্ত হতেই পারেন। তাই আপনার জন্য আসল টিপসটা হলো, অনেগুলো অটোগ্রাফ দেওয়া কাগজ নিয়ে বইমেলায় প্রবেশ করা। তারপর সেগুলো উড়িয়ে মারুন আর হাঁটুন। ব্যস যার অটোগ্রাফ দরকার সে নিয়ে নেবে।
বইমেলায় যা করতে পারেন
ভাবছেন বইমেলায় আপনি আবার কি করতে পারেন? জি, আপনার জন্যই আমাদের মাথাব্যথা। বইমেলায় আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন। তারই কিছু নমুনা তুলে ধরেছে- সোহানুর রহমান অনন্ত
নাম বদলান-
অনেকেই বই বের করে চিন্তায় থাকেন তার বইটা হিট হবে কিনা। বা সেটা সেল কেমন হবে ইত্যাদি। আপনিও যদি এমন চিন্তা করে থাকেন তাহলে নিজের বইয়ের নামই বদলে ফেলুন। মানে বইয়ের নাম রাখুন বেস্ট সেলার। ব্যস সেল হোক আর না হোক, মেলায় আপনার বই অবশ্যই বেস্ট সেলার, পুরো জাতি একসঙ্গে সেটা স্বীকার করতে বাধ্য।
সুপার স্টার হয়ে যান-
নিয়মিত বইমেলায় যেতে পারেন। একদিকে যেমন ফ্রি লিফলেট, কার্ড পাবেন অন্যদিকে দেখতে পারবেন, সুন্দরীদের। ব্যস চোখাচেখি হয়ে গেলে, প্রেমও হয়ে যেতে পারে। আর প্রেম হওয়া মানে বন্ধুদের কাছে আপনার সুপার স্টার। তবে সাবধান চোখাচোখি করতে গিয়ে চোখ মারবেন না যেন, তাহলে বিপদ আসলেও আসতে পারে। সে জন্য আমরা কিন্তু দায়ী নই।
টিভিতে নিজেকে দেখান-
বইমেলা মানে ডজনে ডজনে ক্যামেরা। আর ক্যামেরা মানে, লাইভ কিছুর মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন আপনি। এই সুযোগে নিজের হিরোসুলভ চেহারাটা টিভিতে বিনামূল্যে দেখিয়ে ফেলুন। অন্তত গার্লফ্রেন্ডের কাছে তো বুক ফুলিয়ে বলতে পারবেন যে, আপনাকে টিভিতে একদা দেখিয়েছিল।
বেশি বই কিনুন-
বই পড়ুন কিংবা না পড়ুন, মেলা থেকে বেশি বেশি বই কিনুন। তারপর সেগুলো ঘরে এনে বউয়ের হাতের কাছে রাখুন। অন্তত ঝগড়া লাগলে রিমোট ছোড়ার বদলে বই ছুড়বে। তাও ভালো, রোজ রোজ রিমোট কিনতে হবে না।
অটো অটোগ্রাফ বিলান-
আপনি যদি স্বঘোষিত কবি, লেখক হয়ে থাকেন তবে যাই হোক না কেন, মেলায় গেলে আপনার ভক্তরা আপনার কাছে অটোগ্রাফ চাইবে এটাই স্বাভাবিক। আর বেশি অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে আপনি বিরক্ত হতেই পারেন। তাই আপনার জন্য আসল টিপসটা হলো, অনেগুলো অটোগ্রাফ দেওয়া কাগজ নিয়ে বইমেলায় প্রবেশ করা। তারপর সেগুলো উড়িয়ে মারুন আর হাঁটুন। ব্যস যার অটোগ্রাফ দরকার সে নিয়ে নেবে।
আজ ০৮-২-২০১৫ দৈনিক নয়াদিগন্তের অবকাশে আমার লেখা
ঘুরে আসুন কুয়াকাটা
সোহানুর রহমান অনন্ত
ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করে না, এমন মানুষ পাওয়া যাবে না একটিও। সবাই কম-বেশি ঘুরতে পছন্দ করে। বিভিন্ন জায়গায়, কাছে কিংবা দূরে, মানুষ হারিয়ে যেতে চায় অজানার মাঝে। শীত এমনই একটি ঋতু, যে ঋতুতে ঘুরেফিরে মানুষ বেশ স্বাছন্দ্য বোধ করে। আর তাই আপনি চাইলে চলে যেতে পারেন বাংলাদেশের দণি প্রান্তে সাগরকন্যা খ্যাত অপরূপ এক জায়গা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। সুন্দর পরিবেশ এবং সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য দেখে মনটাকেও চাঙ্গা করতে পারেন প্রতি মুহূর্তে। শীতে আপনার প্রতিটি সময়ই কাটবে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশের মাঝে। জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে কিছুণের জন্য হলেও প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে পারবেন। একই সৈকত থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার মতো জায়গা দ্বিতীয়টি আর নেই। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। শীতে তাই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ে কুয়াকাটাতে।
১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকতে বেশির ভাগ জায়গায় নারকেলগাছের সারি, যার অপরূপ দৃশ্য আপনার দৃষ্টি কারবে সহজে। শীতল বাতাস, আর জলের কলতান আপনার মনোজগতে ভিন্ন অনুভূতি সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য ভিন্নমাত্রা তৈরি করে। এ ছাড়া সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম দিকে আছে জেলেপল্লী। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা বসবাস করে এই পল্লী। তাদের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম এই মাছ ধরা। শুঁটকি পল্লী নামেও জায়গাটি বেশ খ্যাত। বিভিন্ন সময় ধরে সাগর থেকে ধরে আনা মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। তারপর সেগুলো বিক্রি করা হয় খদ্দেরের কাছে। শুঁটকিপল্লীর কাছাকাছি গেলেই বাতাসে ভেসে আসা শুঁটকির গন্ধই জায়গাটির পরিচয় করিয়ে দেয়। ভালো মানের শুঁটকি তাই সব সময় কিনতে পাওয়া যায় এখানে। এ ছাড়া গঙ্গামতির জঙ্গল
পূর্ব দিকে গেলেই চোখে পড়ে। দূর থেকেই চোখে পড়ে নানা রকম গাছে ভরা জঙ্গল। এই জঙ্গলেই পাখি, বানরসহ বিভিন্ন প্রাণী বসবাস করে। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য আর পাখির কলতান আপনাকে মুগ্ধ করবে। স্থানীয় লোকজন গজমতির জঙ্গল বলেও এই বনকে ডেকে থাকে। আরো আছে ফাতরার বন, পশ্চিম পাশের নদীর পার হলেই ফাতরার বন শুরু, তেমন কোনো হিংস্র প্রাণীর বসবাস নেই, চাইলেই আপনি তাই যেতে পারেন সেখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকার মাধ্যমে। এ ছাড়া কাঁকড়ার দ্বীপ, ক্রাব আইল্যান্ডে স্পিডবোটে করে যেতে পারেন। আরো আছে কেরানিপাড়া, যেখানে গেলে আপনি রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুনন দেখতে পারবেন। মনোরম ও সুন্দর কারুকার্যের কাপড় আপনার দৃষ্টি কারতে সম। তাদের বানানো চাদরও অনেক বিখ্যাত। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো কুয়াকাটার কুয়া। কথিত আছে, এই কুয়ার নাম অনুসারেই এই জায়গার নাম রাখা হয় কুয়াকাটা। ১৯৭৮ সালে বর্মি রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করেন।
কোনো পথ না পেয়ে রাখাইনরা নতুন জায়গার সন্ধান করতে থাকে এবং চলার পথে এ জায়গাটির খোঁজ পায় এবং এখানে বসতি শুরু করে। আস্তে আস্তে তারা জায়গাটি বাসযোগ্য
করে গড়ে তোলে। মিষ্টিপানির প্রয়োজনে একটি কুয়া খনন করেন এবং এরপর থেকেই আস্তে আস্তে জায়গাটির নাম কুয়াকাটা হয়ে যায়। প্রাচীন এই কুয়াটি
রাখাইনদের বাসস্থল কেরানিপাড়ার শুরুতেই অবস্থিত। অনেকেই সেখানে ভিড় করেন কুয়াটিকে এক নজর দেখার জন্য।
অপরূপ সুন্দরের লীলাভূমি এই সাগরকন্যা কুয়াকাটা, যার সৌন্দর্য শুধু দেশের মানুষই না, বিদেশীদেরও মুগ্ধ করে। বিভিন্নভাবে নদীপথ কিংবা
সড়কপথ হয়ে আপনি কুয়াকাটায় যেতে পারবেন। সেখানে থাকা-খাওয়ার মনোরম পরিবেশের হোটেলও রয়েছে। তাই হাতে কিছু সময় নিয়ে
রিয়ে যেতে পারেন সৌন্দর্যের মাঝে।
বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারেন সব ব্যস্ততাকে ঝেড়ে ফেলে। সাগরকন্যার প্রকৃতির মাঝে
আপনার প্রতিটি মূহূর্তই কাটবে আনন্দের মাঝে
ঘুরে আসুন কুয়াকাটা
সোহানুর রহমান অনন্ত
ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করে না, এমন মানুষ পাওয়া যাবে না একটিও। সবাই কম-বেশি ঘুরতে পছন্দ করে। বিভিন্ন জায়গায়, কাছে কিংবা দূরে, মানুষ হারিয়ে যেতে চায় অজানার মাঝে। শীত এমনই একটি ঋতু, যে ঋতুতে ঘুরেফিরে মানুষ বেশ স্বাছন্দ্য বোধ করে। আর তাই আপনি চাইলে চলে যেতে পারেন বাংলাদেশের দণি প্রান্তে সাগরকন্যা খ্যাত অপরূপ এক জায়গা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। সুন্দর পরিবেশ এবং সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য দেখে মনটাকেও চাঙ্গা করতে পারেন প্রতি মুহূর্তে। শীতে আপনার প্রতিটি সময়ই কাটবে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশের মাঝে। জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে কিছুণের জন্য হলেও প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে পারবেন। একই সৈকত থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার মতো জায়গা দ্বিতীয়টি আর নেই। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। শীতে তাই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ে কুয়াকাটাতে।
১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকতে বেশির ভাগ জায়গায় নারকেলগাছের সারি, যার অপরূপ দৃশ্য আপনার দৃষ্টি কারবে সহজে। শীতল বাতাস, আর জলের কলতান আপনার মনোজগতে ভিন্ন অনুভূতি সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য ভিন্নমাত্রা তৈরি করে। এ ছাড়া সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম দিকে আছে জেলেপল্লী। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা বসবাস করে এই পল্লী। তাদের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম এই মাছ ধরা। শুঁটকি পল্লী নামেও জায়গাটি বেশ খ্যাত। বিভিন্ন সময় ধরে সাগর থেকে ধরে আনা মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। তারপর সেগুলো বিক্রি করা হয় খদ্দেরের কাছে। শুঁটকিপল্লীর কাছাকাছি গেলেই বাতাসে ভেসে আসা শুঁটকির গন্ধই জায়গাটির পরিচয় করিয়ে দেয়। ভালো মানের শুঁটকি তাই সব সময় কিনতে পাওয়া যায় এখানে। এ ছাড়া গঙ্গামতির জঙ্গল
পূর্ব দিকে গেলেই চোখে পড়ে। দূর থেকেই চোখে পড়ে নানা রকম গাছে ভরা জঙ্গল। এই জঙ্গলেই পাখি, বানরসহ বিভিন্ন প্রাণী বসবাস করে। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য আর পাখির কলতান আপনাকে মুগ্ধ করবে। স্থানীয় লোকজন গজমতির জঙ্গল বলেও এই বনকে ডেকে থাকে। আরো আছে ফাতরার বন, পশ্চিম পাশের নদীর পার হলেই ফাতরার বন শুরু, তেমন কোনো হিংস্র প্রাণীর বসবাস নেই, চাইলেই আপনি তাই যেতে পারেন সেখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকার মাধ্যমে। এ ছাড়া কাঁকড়ার দ্বীপ, ক্রাব আইল্যান্ডে স্পিডবোটে করে যেতে পারেন। আরো আছে কেরানিপাড়া, যেখানে গেলে আপনি রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুনন দেখতে পারবেন। মনোরম ও সুন্দর কারুকার্যের কাপড় আপনার দৃষ্টি কারতে সম। তাদের বানানো চাদরও অনেক বিখ্যাত। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো কুয়াকাটার কুয়া। কথিত আছে, এই কুয়ার নাম অনুসারেই এই জায়গার নাম রাখা হয় কুয়াকাটা। ১৯৭৮ সালে বর্মি রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করেন।
কোনো পথ না পেয়ে রাখাইনরা নতুন জায়গার সন্ধান করতে থাকে এবং চলার পথে এ জায়গাটির খোঁজ পায় এবং এখানে বসতি শুরু করে। আস্তে আস্তে তারা জায়গাটি বাসযোগ্য
করে গড়ে তোলে। মিষ্টিপানির প্রয়োজনে একটি কুয়া খনন করেন এবং এরপর থেকেই আস্তে আস্তে জায়গাটির নাম কুয়াকাটা হয়ে যায়। প্রাচীন এই কুয়াটি
রাখাইনদের বাসস্থল কেরানিপাড়ার শুরুতেই অবস্থিত। অনেকেই সেখানে ভিড় করেন কুয়াটিকে এক নজর দেখার জন্য।
অপরূপ সুন্দরের লীলাভূমি এই সাগরকন্যা কুয়াকাটা, যার সৌন্দর্য শুধু দেশের মানুষই না, বিদেশীদেরও মুগ্ধ করে। বিভিন্নভাবে নদীপথ কিংবা
সড়কপথ হয়ে আপনি কুয়াকাটায় যেতে পারবেন। সেখানে থাকা-খাওয়ার মনোরম পরিবেশের হোটেলও রয়েছে। তাই হাতে কিছু সময় নিয়ে
রিয়ে যেতে পারেন সৌন্দর্যের মাঝে।
বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারেন সব ব্যস্ততাকে ঝেড়ে ফেলে। সাগরকন্যার প্রকৃতির মাঝে
আপনার প্রতিটি মূহূর্তই কাটবে আনন্দের মাঝে
আজ ০৮-২-২০১৫ দৈনিক নয়াদিগন্তের অবকাশে জীবনের বাঁকে বাঁকেতে আমার লেখা> যদিও অনাকাঙ্খিতভাবে লেখকের নামটা ভুল দিয়ে ফেলেছে।
জীবনের বাঁকে বাঁকে
রিক্ত জীবন
এসএসসির আগের কথা। আমরা তখন জাকির স্যারের কাছে কোচিং করতাম। আমাদের একই ব্যাচে ছিল মোনালিসা। মোনালিসা এত বেশি সেজে আসত যে আমরা ওকে মেকাপ সুন্দরী বলতাম। মাঝে মাঝে খুব রেগে যেত, যদিও রাগটা বেশিক্ষণের নয়। বারটা ঠিক মনে নেই, একদিন বৃষ্টিমুখর দিনে নোমানের সাইকেলের পেছনে বসে কোচিংয়ে যাচ্ছিলাম। আমার হাতে ছাতা, নোমান চালাচ্ছিল। হঠাৎ দেখলাম মোনালিসা একা একা ভিজে কোচিংয়ে যাচ্ছে। আমি নোমানকে সাইকেল থামাতে বললাম। নোমান সাইকেল থামাতেই আমি ছাতা নিয়ে মোনালিসার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠল মোনালিসা। আমি নীরব কণ্ঠে বললাম, তুই এমন করে বৃষ্টিতে ভিজলে ঠাণ্ডা লাগবে তো। মোনালিসা আমার দিকে তাকিয়ে এক টুকরো হাসি দিলো। বৃষ্টির জলে কাজল ধুয়ে গেছে, সাদামাটা চোখ দু’টি আমার দিকে তাকিয়ে। দু’জন পাশাপাশি হাঁটছি, সামনে একটি কসমেটিকের দোকানে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ালাম। বৃষ্টি আরো বেড়ে গেছে। মোনালিসা কিছু চুড়ি নেড়ে চেড়ে দেখছিল।
আমার দিকে তাকিয়ে বলল, তোর কাছে বিশ টাকা হবে?। হবে, কেন? চুড়ি কিনব। আমি পছন্দ করে দিই?। হেসে বলল দে। সেই দিনটার কথা আমি কখনোই ভুলতে পারব না। এর পর থেকে মোনালিসা কেমন যেন হয়ে গেল। আগের মতো সেজে কোচিংয়ে আসে না। আড়চোখে দেখি ও আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখে চোখ পড়লে মিটি মিটি হাসে। কোচিংয়ের শেষ দিন আমাকে বলল, তোকে কিছু কথার বলার ছিল। কিন্তু আমি ব্যস্ততা দেখিয়ে আর শুনিনি। পরীক্ষা শেষ হলো, আবার একদিন দেখা হলো মোনালিসার সাথে। আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আমরা এই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছি। কেন? বাবার ট্রান্সফার হয়েছে। তোকে একটা কথা বলার ছিল। কেন যেন সেদিনও শুনতে পারিনি ওর কথাটা। তারপর আর ওর সাথে দেখা হয়নি। একদিন বিকেলে মোনালিসার বান্ধবী মৌ এসে একটা খাম দিয়ে যায় আমায়। মোনালিসা দিয়েছে। খুলে দেখি বিশ টাকার একটা নোট, তার মধ্যে লেখা, ‘এই লেখাটা যখন তুমি পড়বে, তখন তোমার থেকে আমি অনেক দূরে। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসতাম, বাসি, এবং বেসে যাবো।
তুমি সবই বুঝতে কেবল আমার মনের ভাষাটুকু বুঝলে না। ভালো থেকো, তোমার ভালো থাকাটা অনেক জরুরি’, ইতি মোনালিসা। এরপর আর কখনো মোনালিসার সাথে আমার দেখা হয়নি। তবে সেই বিশ টাকার নোটের চিঠিটা আজো রয়ে গেছে স্মৃতি হয়ে। রয়ে গেছে অবেলার রিক্ত অনুভূতিটা। মাঝে মাঝে নিজেকেই প্রশ্ন করি, কেন মোনালিসার কথাগুলো বুঝতে পারলাম না। উত্তর মেলে না, জানি এর উত্তর কোনো দিনও মিলবে না। া
জীবনের বাঁকে বাঁকে
রিক্ত জীবন
এসএসসির আগের কথা। আমরা তখন জাকির স্যারের কাছে কোচিং করতাম। আমাদের একই ব্যাচে ছিল মোনালিসা। মোনালিসা এত বেশি সেজে আসত যে আমরা ওকে মেকাপ সুন্দরী বলতাম। মাঝে মাঝে খুব রেগে যেত, যদিও রাগটা বেশিক্ষণের নয়। বারটা ঠিক মনে নেই, একদিন বৃষ্টিমুখর দিনে নোমানের সাইকেলের পেছনে বসে কোচিংয়ে যাচ্ছিলাম। আমার হাতে ছাতা, নোমান চালাচ্ছিল। হঠাৎ দেখলাম মোনালিসা একা একা ভিজে কোচিংয়ে যাচ্ছে। আমি নোমানকে সাইকেল থামাতে বললাম। নোমান সাইকেল থামাতেই আমি ছাতা নিয়ে মোনালিসার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠল মোনালিসা। আমি নীরব কণ্ঠে বললাম, তুই এমন করে বৃষ্টিতে ভিজলে ঠাণ্ডা লাগবে তো। মোনালিসা আমার দিকে তাকিয়ে এক টুকরো হাসি দিলো। বৃষ্টির জলে কাজল ধুয়ে গেছে, সাদামাটা চোখ দু’টি আমার দিকে তাকিয়ে। দু’জন পাশাপাশি হাঁটছি, সামনে একটি কসমেটিকের দোকানে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ালাম। বৃষ্টি আরো বেড়ে গেছে। মোনালিসা কিছু চুড়ি নেড়ে চেড়ে দেখছিল।
আমার দিকে তাকিয়ে বলল, তোর কাছে বিশ টাকা হবে?। হবে, কেন? চুড়ি কিনব। আমি পছন্দ করে দিই?। হেসে বলল দে। সেই দিনটার কথা আমি কখনোই ভুলতে পারব না। এর পর থেকে মোনালিসা কেমন যেন হয়ে গেল। আগের মতো সেজে কোচিংয়ে আসে না। আড়চোখে দেখি ও আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখে চোখ পড়লে মিটি মিটি হাসে। কোচিংয়ের শেষ দিন আমাকে বলল, তোকে কিছু কথার বলার ছিল। কিন্তু আমি ব্যস্ততা দেখিয়ে আর শুনিনি। পরীক্ষা শেষ হলো, আবার একদিন দেখা হলো মোনালিসার সাথে। আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আমরা এই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছি। কেন? বাবার ট্রান্সফার হয়েছে। তোকে একটা কথা বলার ছিল। কেন যেন সেদিনও শুনতে পারিনি ওর কথাটা। তারপর আর ওর সাথে দেখা হয়নি। একদিন বিকেলে মোনালিসার বান্ধবী মৌ এসে একটা খাম দিয়ে যায় আমায়। মোনালিসা দিয়েছে। খুলে দেখি বিশ টাকার একটা নোট, তার মধ্যে লেখা, ‘এই লেখাটা যখন তুমি পড়বে, তখন তোমার থেকে আমি অনেক দূরে। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসতাম, বাসি, এবং বেসে যাবো।
তুমি সবই বুঝতে কেবল আমার মনের ভাষাটুকু বুঝলে না। ভালো থেকো, তোমার ভালো থাকাটা অনেক জরুরি’, ইতি মোনালিসা। এরপর আর কখনো মোনালিসার সাথে আমার দেখা হয়নি। তবে সেই বিশ টাকার নোটের চিঠিটা আজো রয়ে গেছে স্মৃতি হয়ে। রয়ে গেছে অবেলার রিক্ত অনুভূতিটা। মাঝে মাঝে নিজেকেই প্রশ্ন করি, কেন মোনালিসার কথাগুলো বুঝতে পারলাম না। উত্তর মেলে না, জানি এর উত্তর কোনো দিনও মিলবে না। া
আজ ০৮-২-২০১৫ দৈনিক নয়াদিগন্তের অবকাশে আমার লেখা
বন্ধুত্ব চিরদিন
সোহানুর রহমান অনন্ত
‘বন্ধ’ু, খুব ছোট একটি শব্দ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার মাঝে কখনো না কখনো, এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত হই। আমাদের ভালো মন্দের অনেকটা জুড়ে রয়েছে এই বন্ধু। একজন ভালো বন্ধু শুধু বন্ধুই না ভালো একজন অভিভাবকও বটে। বন্ধু হলো সে যে চোখ দেখেই মনের কথা বলে দেয়। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত
‘পুরো পৃথিবী এক দিকে আর আমি অন্য দিক, সবাই বলে করছি ভুল আর তোরা বলিস ঠিক...বন্ধু বোঝে আমাকে’। এমন শত শত গান রয়েছে বন্ধু নিয়ে। ‘বন্ধ’ু খুব ছোট একটি শব্দ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার মাঝে কখনো না কখনো, এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত হই। বন্ধুর সাথে এমন অনেক কিছুই শেয়ার করা যায়, যা বাবা মায়ের সাথে কিংবা স্বামী স্ত্রীর সাথে শেয়ার করা যায় না। আমাদের ভালো মন্দের অনেকটা জুড়ে রয়েছে এই বন্ধু নামের মানুষটি। একজন ভালো বন্ধু শুধু বন্ধুই না ভালো একজন অভিভাবকও বটে। বন্ধু হলো সে যে চোখ দেখেই মনের কথা বলে দেয়। বিপদের দিনে হেসে বলে, এত চিন্তা করিস না, আমি তো আছি। যখন খুব আপনজনরা পাশ থেকে হারিয়ে যায়, এক টুকরো মেঘের মতো তখন যে মানুষটি পাশে এসে দাঁড়ায় সেই বন্ধু। দুষ্টুমি এবং নানা রকম কথা বলে যে হাসিয়ে দেয়, সেই তো বন্ধু। বন্ধুত্বের কোনো পরিসীমা নেই। বন্ধুত্বের বৈশিষ্ট্য এত বেশি যে লিখে শেষ করা যাবে না। শুধুই যে পরিচিত মানুষই বন্ধু হয়, এমন কিন্তু নয়। অনেক অচেনা মানুষও ভালো বন্ধু হতে পারে। প্রতিটি মানুষ একজন ভালো বন্ধু আশা করে, হোক সে মেয়ে কিংবা ছেলে। আর সৃষ্টি চক্রের অসীম রহস্যের জন্যই মানুষ হয়তো এক সময় সেই বন্ধুকে খুঁজেও পায়। ভালোবাসা আর বন্ধুত্ব সম্পূর্ণ আলাদা একটা জিনিস। প্রকৃত বন্ধুরা, কখনো হারিয়ে যায় না। তবে ব্যস্ততার কারণে অনেক বন্ধুই হয়তো যোগাযোগ রাখতে পারে না। তার মানে এই নয় যে, বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে গেছে। বন্ধুত্ব অদৃশ্য এক বন্ধন, যা সহজে ছিন্ন করা যায় না। ভালোবাসার মানুষ একজন হলেও ভালো বন্ধু একাধিক হতে পারে। স্কুলজীবন থেকেই মূলত বন্ধুত্বে প্রবণতা আমদের মাঝে দেখা যায়। হোক সে ছেলে বন্ধু কিংবা মেয়ে বন্ধু (যদিও অনেকের আবার এই বিষয়টা নিয়ে মতপাথ্যর্ক রয়েছে)। একজন ছেলে আরেকজন মেয়ে ভালো বন্ধু হতেই পারে। বন্ধুত্ব যেমন বয়স বিচার করে হয় না। তেমনি মেয়ে কিংবা ছেলে এটা বিচার করেও হয় না। একজন ভালো বন্ধু যে-কেউ হতে পারে। যে অভিমান করলে হাসাবে আবার সারাটা জীবন বন্ধু হয়ে পাশে থাকবে। বন্ধুর সাথে যতই ভুল বোঝাবুঝি হোক না কেন, এক নিমিষেই ঠিক হয়ে যায়। রাগ হয়ে অনেক সময় বলে ফেলি, তুই আর আমার সাথে কথা বলবি না, কিন্তু বাস্তব চিত্রে দেখা যায়, কথা না বলে থাকাই যায় না। বন্ধুত্বের টান অনেক বেশি। যা হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও অনুভব করা যায়। কারো হয়তো বাল্যবন্ধু কারো আবার ভার্সিটি কিংবা কর্মজীবনের বন্ধু। সৃষ্টির অদ্ভুত নিয়মে যা আজো একইভাবে হয়ে এসেছে। একজন মানুষ আরেকজন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করবে। মাঝে মাঝে বন্ধুদের খুব মিস করি আমরা। চলতি পথে অনেক পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হলে স্বস্তি পাই, অনেক বেশিই ভালো লাগে। সত্যিকার বন্ধুত্ব সব কিছুর ঊর্ধ্বে, অমূল্য সম্পদের মতো। যা হারাতে দেয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যে ভুলটা আমরা সচরাচর করি তা হলো, বন্ধু থাকতে অনেক সময় তার মূল্য বুঝি না, হারিয়ে গেলে ঠিকই বুঝতে পাই। তাই বন্ধুত্বের সম্পর্ক কখনো নষ্ট করা ঠিক নয়।
বন্ধুত্ব চিরদিন
সোহানুর রহমান অনন্ত
‘বন্ধ’ু, খুব ছোট একটি শব্দ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার মাঝে কখনো না কখনো, এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত হই। আমাদের ভালো মন্দের অনেকটা জুড়ে রয়েছে এই বন্ধু। একজন ভালো বন্ধু শুধু বন্ধুই না ভালো একজন অভিভাবকও বটে। বন্ধু হলো সে যে চোখ দেখেই মনের কথা বলে দেয়। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত
‘পুরো পৃথিবী এক দিকে আর আমি অন্য দিক, সবাই বলে করছি ভুল আর তোরা বলিস ঠিক...বন্ধু বোঝে আমাকে’। এমন শত শত গান রয়েছে বন্ধু নিয়ে। ‘বন্ধ’ু খুব ছোট একটি শব্দ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার মাঝে কখনো না কখনো, এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত হই। বন্ধুর সাথে এমন অনেক কিছুই শেয়ার করা যায়, যা বাবা মায়ের সাথে কিংবা স্বামী স্ত্রীর সাথে শেয়ার করা যায় না। আমাদের ভালো মন্দের অনেকটা জুড়ে রয়েছে এই বন্ধু নামের মানুষটি। একজন ভালো বন্ধু শুধু বন্ধুই না ভালো একজন অভিভাবকও বটে। বন্ধু হলো সে যে চোখ দেখেই মনের কথা বলে দেয়। বিপদের দিনে হেসে বলে, এত চিন্তা করিস না, আমি তো আছি। যখন খুব আপনজনরা পাশ থেকে হারিয়ে যায়, এক টুকরো মেঘের মতো তখন যে মানুষটি পাশে এসে দাঁড়ায় সেই বন্ধু। দুষ্টুমি এবং নানা রকম কথা বলে যে হাসিয়ে দেয়, সেই তো বন্ধু। বন্ধুত্বের কোনো পরিসীমা নেই। বন্ধুত্বের বৈশিষ্ট্য এত বেশি যে লিখে শেষ করা যাবে না। শুধুই যে পরিচিত মানুষই বন্ধু হয়, এমন কিন্তু নয়। অনেক অচেনা মানুষও ভালো বন্ধু হতে পারে। প্রতিটি মানুষ একজন ভালো বন্ধু আশা করে, হোক সে মেয়ে কিংবা ছেলে। আর সৃষ্টি চক্রের অসীম রহস্যের জন্যই মানুষ হয়তো এক সময় সেই বন্ধুকে খুঁজেও পায়। ভালোবাসা আর বন্ধুত্ব সম্পূর্ণ আলাদা একটা জিনিস। প্রকৃত বন্ধুরা, কখনো হারিয়ে যায় না। তবে ব্যস্ততার কারণে অনেক বন্ধুই হয়তো যোগাযোগ রাখতে পারে না। তার মানে এই নয় যে, বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে গেছে। বন্ধুত্ব অদৃশ্য এক বন্ধন, যা সহজে ছিন্ন করা যায় না। ভালোবাসার মানুষ একজন হলেও ভালো বন্ধু একাধিক হতে পারে। স্কুলজীবন থেকেই মূলত বন্ধুত্বে প্রবণতা আমদের মাঝে দেখা যায়। হোক সে ছেলে বন্ধু কিংবা মেয়ে বন্ধু (যদিও অনেকের আবার এই বিষয়টা নিয়ে মতপাথ্যর্ক রয়েছে)। একজন ছেলে আরেকজন মেয়ে ভালো বন্ধু হতেই পারে। বন্ধুত্ব যেমন বয়স বিচার করে হয় না। তেমনি মেয়ে কিংবা ছেলে এটা বিচার করেও হয় না। একজন ভালো বন্ধু যে-কেউ হতে পারে। যে অভিমান করলে হাসাবে আবার সারাটা জীবন বন্ধু হয়ে পাশে থাকবে। বন্ধুর সাথে যতই ভুল বোঝাবুঝি হোক না কেন, এক নিমিষেই ঠিক হয়ে যায়। রাগ হয়ে অনেক সময় বলে ফেলি, তুই আর আমার সাথে কথা বলবি না, কিন্তু বাস্তব চিত্রে দেখা যায়, কথা না বলে থাকাই যায় না। বন্ধুত্বের টান অনেক বেশি। যা হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও অনুভব করা যায়। কারো হয়তো বাল্যবন্ধু কারো আবার ভার্সিটি কিংবা কর্মজীবনের বন্ধু। সৃষ্টির অদ্ভুত নিয়মে যা আজো একইভাবে হয়ে এসেছে। একজন মানুষ আরেকজন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করবে। মাঝে মাঝে বন্ধুদের খুব মিস করি আমরা। চলতি পথে অনেক পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হলে স্বস্তি পাই, অনেক বেশিই ভালো লাগে। সত্যিকার বন্ধুত্ব সব কিছুর ঊর্ধ্বে, অমূল্য সম্পদের মতো। যা হারাতে দেয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যে ভুলটা আমরা সচরাচর করি তা হলো, বন্ধু থাকতে অনেক সময় তার মূল্য বুঝি না, হারিয়ে গেলে ঠিকই বুঝতে পাই। তাই বন্ধুত্বের সম্পর্ক কখনো নষ্ট করা ঠিক নয়।
Daily chandpur kanther shishu kanta patay 13-2-2015 amra lakha golpo
বই পড়া ভূত
সোহানুর রহমান অনন্ত
গতকাল রাতেই বইটা এখানে রেখেছিলো কিন্তু সকালে খুঁজে পাচ্ছে না বিল্টু। ওদিকে মা তাড়া দিচ্ছে স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছে। এদিক ওদিক খুঁজে দৌড়ে বের হয়ে যায়। স্কুল থেকে ফিরে তবেই খুঁজবে, এখন সময় নেই। মা রোজ বিল্টুকে স্কুল পর্যন্ত দিয়ে যায়। যদিও বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব মাত্র পনেরো মিনিটের; তাই বিল্টু একাই যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো মনিকাদের কুকুরটা। কারণে অকারণে কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে উঠে আর তখনি বিল্টুর ভয় লাগে। তাই মাকে ছাড়া স্কুলে আসতে চায় না। স্কুল যেতে যেতে ভাবলো সায়েমকে এই বিষয়ে বলবে। বিল্টুকে চিন্তা করতে দেখে মা বলল, কি হয়েছে তোমার?। কই কিছু না তো, কৌশলে বিষয়টা এড়িয়ে যায় বিল্টু। স্কুলের গেইট পর্যন্ত এসে মা আবার চলে যায়। বলবে বলবে ভেবে সায়েমকে আর কথাটা বলা হয় না। অংক টিচারের ধমক খেয়ে সব ভুলে যায়। বিল্টু অংকে এমনিতেই কাচা। ক্লাস শেষ হতেই স্কুলের বাইরে এসে দাঁড়ালো। মা এখনো আসে নি। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নিজেই রওনা হলো বাড়ির দিকে। সামনে মানুষের জটলা দেখে এগিয়ে গেল। এক লোককে কুকুরে কাঁমড়েছে। কী ভয়ানক ব্যাপার, মনিকাদের কুকুরটা সত্যি অনেক পাজি। বাসায় আসতেই দেখে মা সবে মাত্র বেরুচ্ছে। বিল্টুকে দেখে বলল, রান্নার কাজে আজ একটু দেরি হয়ে গেছে বাবা, তুমি রাগ করোনি তো? বিল্টু মাথা ঝাকিয়ে না বললো, তারপর নিজের রুমে চলে গেল।
একি
আরেকটা বই খুঁজে পাচ্ছে না। মাকে বলবে নাকি একবার? নাহ্ নিজেই দেখবে
বইগুলো কোথায় যায়। রাতে ঘুমানোর ভান করে শুয়ে রইলো বিল্টু, আড়চোখে দেখছে
কিন্তু কোথায় কী, কেউ তো নেই। এক সময় চোখ লেগে এলো, হঠাৎ একটা শব্দ শুনে
ঘুম ভেঙে গেলো। বিল্টু দেখলো কী যেন একটা জানালা দিয়ে বের হয়ে গেলো। চোর
চোর...বলে বিল্টু জানলার কাছে গিযে দাঁড়াল কিন্তু কিছুই নেই ওপাশে।
এইদিকটায় ছোট একটা জঙ্গল। বিল্টু ভাবলো চোর বেটায় নিশ্চয় জঙ্গলে থাকে।
ব্যাপারটা দেখতে হবে ভালো করে। খুব সকালে উঠে বিল্টু জঙ্গলে ঢুকলো। এদিক
ওদিক খুঁজলো, নেই কিছু। হতাশ হয়ে যখন ফিরতে যাবে ঠিক তখনি চোখ পড়লো ছোট্ট
তেতুঁল গাছটার দিকে। একি সর্বনাশ, বইগুলো গাছের ডালের উপর, একটি দুটি নয়,
ছয় সাতটা বই। কিন্তু বইগুলো এত উপরে যে, বিল্টুর পক্ষে পেড়ে আনা সম্ভব নয়।
তাই বাসায় চলে এলো। যেভাবেই হোক চোরটাকে ধরতে হবে। আজ আকাশে চাঁদ আছে,
জানালা দিয়ে চাঁদের আলো এসে পড়েছে। বিল্টু আজ জেগে থাকবে, দেখবে কে আসে।
মাঝ রাতের দিকে জানালা দিয়ে বাতাসের মতো একটা ছায়া এসে ঘরে ঢুকলো।
মুহূর্তেই সেটা কালো কুচকুচে বাচ্চার আকৃতি নিল। যেই নাকি বিল্টুর একটা বই
ধরতে যাবে, অমনি বিল্টু পেছন থেকে গিয়ে ঝাপটে ধরলো। কিন্তু একি! কিছুই তো
হাতে লাগে নি। ওদিকে ছায়া মূর্তিটাও ভয় পেয়ে কাঁপতে লাগলো। বিল্টু এবার
সাহস নিয়ে বলল, কে তুমি?। আমি বাচ্চা ভূত। ভূতি?হু। আমার বই চুরি কর কেন?।
আমার বই পড়তে ভাল লাগে। তাই, বই পড়তে আমারও ভাল লাগে, আচ্ছা তোমার আর কি
ভাল লাগে?। জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে, আর মগডালে ঘুমাতে। তুমি বুঝি মগডালে ঘুমাও।
হু। তোমার নাম কী?। কেটুল ভূত। কী নাম রে বাবা, তোমরা মানুষের মতো নাম
রাখতে পারো না। না । কেন?। কারণ আমরা মানুষ না তাই। আচ্ছা তুমি কি আমার
বন্ধু হবে?। হু, হতে পারি, তবে আমাকে বই পড়তে দিতে হবে। দেব, আমার অনেক বই
আছে। সেই রাতে কেটুল ভূতের সাথে বিল্টুর বন্ধুত্ব হলো। এরপর থেকে কেটুল ভূত
রোজ আসে বিল্টুর কাছে। অংক শেখায়, ইংরেজি শেখায়, বেটুল ভূত সব জানে। এ কথা
বিল্টু কাউকে বলে না, সে বছর স্কুলে পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেল
বিল্টু। বাবা মা তো অবাক, এমন রেজাল্ট বিল্টু আগে করেনি কখনো। এখন আর
বিল্টুর মনিকাদের বাড়ির সামনে দিয়ে আসতেও ভয় করে না। একা একা স্কুলে যায়,
কুকুরটা বিল্টুকে দেখলেই ভয়ে পালায়। হাসি পায় বিল্টুর। আগে ওর সাথে সায়েম
ছাড়া আর কেউ বসতে চাইতো না, এখন ক্লাসের সব ছেলে মেয়ে ওর সাথে বন্ধুত্ব
করতে চায়। রাত যত গভীর হয় বল্টু আর কেটুল ভূতের বই পড়া জমে উঠে।
Subscribe to:
Posts (Atom)