Wednesday, 17 December 2014
aj 08-12-2014 daily chandpur kantha shahitto patay amar kobita<< tnx forid hasan k
অথবা তুমি জানতে
সোহানুর রহমান অনন্ত
হাসিটা ছন্দহীন তবু মূল্যহীন নয়
কত শতবার, হয়তো হাজার বার
দৃষ্টির মায়াতে কিংবা হৃদয় নকশী কাঁথাতে
গেঁথে ছিল এই হাসিটি
তোমার মুখের হাসিটি.....
কখনো কি ভেবেছিলে, কী তুমি! কী আমি
মাঝখানে দেয়ালটাই বা কতখানি স্পষ্ট
হাত বাড়ালেই তুমি পাও অন্য কারো হাত
আমি বাড়ালেই পাই সীমাহীন কষ্ট।
অভিমান সেতো শিশিরের শেষ বিন্দু
তুমি ছুঁয়ে দিলেই ঝরে পড়বে।
ভেবেছো কি কখনো তোমার শূন্যতায়
আমার হৃদয়মন্দির কতখানি পুড়বে?
আমার ক্যানভাস বর্ণহীন তবু সুখহীন নয়
সে কথা তুমি জেনেছিলে অথবা জানতে
হেমন্ত গেলো তবু পাইনি প্রেমের ফুল
পারিনি হৃদয়টাকে হৃদয় দিয়ে টানতে।
ভয় নেই তবু, হারিয়ে যাবো না
আমি বেঁচে আছি, তোমারি মাঝে
হয়তো বা পেয়ে কিংবা সবি হারিয়ে
সুখের মাঝে নয়তো দুঃখের ভাঁজে।
আমি হতে চাই শেষ দৃশ্যের হাসি
বেলা শেষে আবার তোমার মুখে
অসমাপ্ত থেকে যাক না হয় গল্পটা
কবিতাটা ভরে উঠুক অনাবিল সুখে।
অথবা তুমি জানতে
সোহানুর রহমান অনন্ত
হাসিটা ছন্দহীন তবু মূল্যহীন নয়
কত শতবার, হয়তো হাজার বার
দৃষ্টির মায়াতে কিংবা হৃদয় নকশী কাঁথাতে
গেঁথে ছিল এই হাসিটি
তোমার মুখের হাসিটি.....
কখনো কি ভেবেছিলে, কী তুমি! কী আমি
মাঝখানে দেয়ালটাই বা কতখানি স্পষ্ট
হাত বাড়ালেই তুমি পাও অন্য কারো হাত
আমি বাড়ালেই পাই সীমাহীন কষ্ট।
অভিমান সেতো শিশিরের শেষ বিন্দু
তুমি ছুঁয়ে দিলেই ঝরে পড়বে।
ভেবেছো কি কখনো তোমার শূন্যতায়
আমার হৃদয়মন্দির কতখানি পুড়বে?
আমার ক্যানভাস বর্ণহীন তবু সুখহীন নয়
সে কথা তুমি জেনেছিলে অথবা জানতে
হেমন্ত গেলো তবু পাইনি প্রেমের ফুল
পারিনি হৃদয়টাকে হৃদয় দিয়ে টানতে।
ভয় নেই তবু, হারিয়ে যাবো না
আমি বেঁচে আছি, তোমারি মাঝে
হয়তো বা পেয়ে কিংবা সবি হারিয়ে
সুখের মাঝে নয়তো দুঃখের ভাঁজে।
আমি হতে চাই শেষ দৃশ্যের হাসি
বেলা শেষে আবার তোমার মুখে
অসমাপ্ত থেকে যাক না হয় গল্পটা
কবিতাটা ভরে উঠুক অনাবিল সুখে।
Aj 06-12-2014 Daily kalar kantha suvosonggo-ta amar অণুগল্প
এক সন্ধেবেলায়
সোহানুর রহমান অনন্ত
কপালের লাল টিপটি ছুঁয়ে এক ফোঁটা ঘাম এসে পড়ল চোখের সামনে। আজও মোহিনী ওর স্বামীকে দেখেছে আরেকটি মেয়ের সঙ্গে। যদিও এটা এখন আর নতুন কিছু নয়। মোহিনী নিজে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করে। তার স্বামী দেশের নামকরা ব্যবসায়ীদের একজন। অনেক টাকা। হয়তো টাকার কাছেই বিক্রি হয়ে গেছে মোহিনী। বিক্রি হয়ে গেছে ২৫টি বছর ধরে বিন্দু বিন্দু করে গড়ে ওঠা সব চাওয়া-পাওয়া। প্রতিদিন এই সময়টিতে মোহিনীর বাড়ি যাওয়ার তাড়া থাকে। কিন্তু আজ আর তাড়া নেই। এর আগেও ওর স্বামীকে অন্য মেয়ের সঙ্গে দেখেছে। শুধু দেখা নয়, আরো বেপরোয়া জীবনযাপনের ব্যাপারটিও সে জানে। কখনো এত খারাপ লাগেনি যতটা আজ লাগছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি গাছের নিচে এসে বসল মোহিনী। অনেক দিন পর আসা হলো এখানে। একটি শুকনো পাতার দিকে তাকিয়ে আবারও ভাবতে থাকে সে। ওর স্বামীর চরিত্রে যে সমস্যা আছে, সেটা টের পায় বিয়ের দেড় বছরের মাথায়। হয়তো কাজের মেয়েটি প্রেগন্যান্ট না হলে, তা-ও জানা হতো না তার। প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও এখন কেমন যেন বিষয়টি সয়ে গেছে। যে মনের বাঁধনে আটকায়নি, সে কী করে মুখের কথায় আটকাবে? তার স্বামী যখন পাশের রুমে অন্য মেয়েদের সঙ্গে মধুর হাসাহাসি করে, সে তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে একদৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার চোখ দিয়ে ঝরে পড়া অশ্রুতে চাঁদের ফিকে আলো ঝলসে ওঠে। সে একটি মোমের পুতুল-সবই জানে, তবুও কিছুই যেন জানে না। প্রতিবাদ যে কখনো করেনি এমনটি নয়, করেছিল; কিন্তু লাভ হয়নি। মানুষ অনেক সময় অভ্যাসের দাস হয়ে যায়। তার স্বামীর বেলায় তেমনটিই ঘটেছে। মাঝেমধ্যে ইচ্ছা হয় ছেড়ে চলে যাই। সে ভাবে, বিয়ে তো মানুষ জীবনে একবারই করে। তাই বাধ্য হয়েই একসময় নিশ্চুপ হয়ে গেছে। চোখটা কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসে মোহিনীর। একটি ছোট্ট মেয়ে এসে বেশ জোর গলায়ই বলছে, 'ফুল লাগব আফা ফুল, তাজা ফুল।' মোহিনী একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ফুলগুলোর দিকে। মোহিনীর মনে পড়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় সুজয়ের সঙ্গে কাটানো সময়গুলোর কথা। তখন প্রতিটি সকাল হতো নতুন একটি স্বপ্নের সূচনা দিয়ে। পাগলের মতো সুজয় তাকে ভালোবাসত। যখনই সুজয়ের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসত, একটি গোলাপ কিনে তার খোঁপায় গুঁজে দিত। কপালে টিপ না থাকলে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে টিপ বানিয়ে দিত। যতই অভিমান করুক না কেন, সুজয়ের ভালোবাসার কাছে তার অভিমান পরাজিত হতো। সুজয় মোহিনীকে আলতো করে ছুঁয়ে বলত, 'মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় আমার প্রতিটি রক্তের বিন্দুজুড়ে মিশে গেছ তুমি। তুমি না থাকলে কেমন যেন রক্তবিন্দুগুলো চলতে চায় না। থেমে যায়। তখন খুব কষ্ট হয় আমার। প্রচণ্ড কষ্ট হয়।' সুজয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে লাজুক হাসি দিত মোহিনী। কিভাবে যে সময় চলে যেত! নিয়তির কাছে পরাজিত হয়ে, মা-বাবার পছন্দে সুজয়কে রিক্ত করে মোহিনী সংসার সাজায় ধনাট্য এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। সে তখনো বুঝতে পারেনি, জীবনের অঙ্কটা এভাবে ভুল হবে, যার ফল কেবল শূন্যই থেকে যাবে। এবার ঘাম নয়, চোখের কোণ থেকে অশ্রু ঝরে পড়ল মোহিনীর। ফুল হাতে মেয়েটি আবারও বলল, 'আফা নিবেন না?' 'হ্যাঁ নেব, দাম কত?' 'দুইটা ২০ টাকা।' ব্যাগ থেকে টাকা বের করে দেয়। নিজেই খোঁপায় ফুল গুঁজে দেয়। কপালে নতুন করে গোলাপের পাপড়ি ছিঁড়ে টিপ পরে।
আজ কেন যেন সুজয়কে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে মোহিনীর। আচ্ছা, সুজয় কি এখন দেখলে তাকে চিনতে পারবে? বড় একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে মোহিনী। সন্ধ্যার আঁধার নেমে এসেছে চারপাশে। মোহিনীর চোখে বৃষ্টি, নিজের প্রতি ঘৃণার বৃষ্টি। মনের আনাচে-কানাচে আজ সুজয়ের স্মৃতিগুলো ডুকরে কাঁদছে। অধিক সম্পত্তির চেয়েও যে ভালোবাসাটা বেশি জরুরি তা বোধ হয় বুঝতে পেরেছে মোহিনী। যদিও বড্ড দেরি হয়ে গেছে, নাগরিক জীবনে একটু ভালোবাসার বড্ড বেশি প্রয়োজন। অন্ধকারটা ভালো করেই নেমেছে এবার। হালকা আলোয় নিজেকে খুঁজে ফেরে মোহিনী। খুঁজে ফেরে হারানো অতীত। কপাল থেকে খসে পড়ে গোলাপের টিপ। বাতাসে এলোমেলো হয় চুলগুলো। অন্ধকারে সবুজ ঘাসের ওপর হেঁটে বেড়ায় একা একা। আকাশের তারাগুলো সাক্ষী হয়ে থাকে। আস্তে আস্তে নীরব হতে থাকে চারপাশ। নীরব হয়ে আসে মোহিনীর মনের উত্তাল সাগর। তবুও আজ অন্ধকারে হারাতে খুব ইচ্ছা করছে ওর। বাড়ি ফেরার তাড়া নেই আজ।
- See more at: http:// www.kalerkantho. com/feature/ shuvosongho/ 2014/12/06/ 159417#sthash.OH 28BKx5.dpuf
এক সন্ধেবেলায়
সোহানুর রহমান অনন্ত
কপালের লাল টিপটি ছুঁয়ে এক ফোঁটা ঘাম এসে পড়ল চোখের সামনে। আজও মোহিনী ওর স্বামীকে দেখেছে আরেকটি মেয়ের সঙ্গে। যদিও এটা এখন আর নতুন কিছু নয়। মোহিনী নিজে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করে। তার স্বামী দেশের নামকরা ব্যবসায়ীদের একজন। অনেক টাকা। হয়তো টাকার কাছেই বিক্রি হয়ে গেছে মোহিনী। বিক্রি হয়ে গেছে ২৫টি বছর ধরে বিন্দু বিন্দু করে গড়ে ওঠা সব চাওয়া-পাওয়া। প্রতিদিন এই সময়টিতে মোহিনীর বাড়ি যাওয়ার তাড়া থাকে। কিন্তু আজ আর তাড়া নেই। এর আগেও ওর স্বামীকে অন্য মেয়ের সঙ্গে দেখেছে। শুধু দেখা নয়, আরো বেপরোয়া জীবনযাপনের ব্যাপারটিও সে জানে। কখনো এত খারাপ লাগেনি যতটা আজ লাগছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি গাছের নিচে এসে বসল মোহিনী। অনেক দিন পর আসা হলো এখানে। একটি শুকনো পাতার দিকে তাকিয়ে আবারও ভাবতে থাকে সে। ওর স্বামীর চরিত্রে যে সমস্যা আছে, সেটা টের পায় বিয়ের দেড় বছরের মাথায়। হয়তো কাজের মেয়েটি প্রেগন্যান্ট না হলে, তা-ও জানা হতো না তার। প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও এখন কেমন যেন বিষয়টি সয়ে গেছে। যে মনের বাঁধনে আটকায়নি, সে কী করে মুখের কথায় আটকাবে? তার স্বামী যখন পাশের রুমে অন্য মেয়েদের সঙ্গে মধুর হাসাহাসি করে, সে তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে একদৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার চোখ দিয়ে ঝরে পড়া অশ্রুতে চাঁদের ফিকে আলো ঝলসে ওঠে। সে একটি মোমের পুতুল-সবই জানে, তবুও কিছুই যেন জানে না। প্রতিবাদ যে কখনো করেনি এমনটি নয়, করেছিল; কিন্তু লাভ হয়নি। মানুষ অনেক সময় অভ্যাসের দাস হয়ে যায়। তার স্বামীর বেলায় তেমনটিই ঘটেছে। মাঝেমধ্যে ইচ্ছা হয় ছেড়ে চলে যাই। সে ভাবে, বিয়ে তো মানুষ জীবনে একবারই করে। তাই বাধ্য হয়েই একসময় নিশ্চুপ হয়ে গেছে। চোখটা কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসে মোহিনীর। একটি ছোট্ট মেয়ে এসে বেশ জোর গলায়ই বলছে, 'ফুল লাগব আফা ফুল, তাজা ফুল।' মোহিনী একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ফুলগুলোর দিকে। মোহিনীর মনে পড়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় সুজয়ের সঙ্গে কাটানো সময়গুলোর কথা। তখন প্রতিটি সকাল হতো নতুন একটি স্বপ্নের সূচনা দিয়ে। পাগলের মতো সুজয় তাকে ভালোবাসত। যখনই সুজয়ের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসত, একটি গোলাপ কিনে তার খোঁপায় গুঁজে দিত। কপালে টিপ না থাকলে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে টিপ বানিয়ে দিত। যতই অভিমান করুক না কেন, সুজয়ের ভালোবাসার কাছে তার অভিমান পরাজিত হতো। সুজয় মোহিনীকে আলতো করে ছুঁয়ে বলত, 'মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় আমার প্রতিটি রক্তের বিন্দুজুড়ে মিশে গেছ তুমি। তুমি না থাকলে কেমন যেন রক্তবিন্দুগুলো চলতে চায় না। থেমে যায়। তখন খুব কষ্ট হয় আমার। প্রচণ্ড কষ্ট হয়।' সুজয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে লাজুক হাসি দিত মোহিনী। কিভাবে যে সময় চলে যেত! নিয়তির কাছে পরাজিত হয়ে, মা-বাবার পছন্দে সুজয়কে রিক্ত করে মোহিনী সংসার সাজায় ধনাট্য এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। সে তখনো বুঝতে পারেনি, জীবনের অঙ্কটা এভাবে ভুল হবে, যার ফল কেবল শূন্যই থেকে যাবে। এবার ঘাম নয়, চোখের কোণ থেকে অশ্রু ঝরে পড়ল মোহিনীর। ফুল হাতে মেয়েটি আবারও বলল, 'আফা নিবেন না?' 'হ্যাঁ নেব, দাম কত?' 'দুইটা ২০ টাকা।' ব্যাগ থেকে টাকা বের করে দেয়। নিজেই খোঁপায় ফুল গুঁজে দেয়। কপালে নতুন করে গোলাপের পাপড়ি ছিঁড়ে টিপ পরে।
আজ কেন যেন সুজয়কে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে মোহিনীর। আচ্ছা, সুজয় কি এখন দেখলে তাকে চিনতে পারবে? বড় একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে মোহিনী। সন্ধ্যার আঁধার নেমে এসেছে চারপাশে। মোহিনীর চোখে বৃষ্টি, নিজের প্রতি ঘৃণার বৃষ্টি। মনের আনাচে-কানাচে আজ সুজয়ের স্মৃতিগুলো ডুকরে কাঁদছে। অধিক সম্পত্তির চেয়েও যে ভালোবাসাটা বেশি জরুরি তা বোধ হয় বুঝতে পেরেছে মোহিনী। যদিও বড্ড দেরি হয়ে গেছে, নাগরিক জীবনে একটু ভালোবাসার বড্ড বেশি প্রয়োজন। অন্ধকারটা ভালো করেই নেমেছে এবার। হালকা আলোয় নিজেকে খুঁজে ফেরে মোহিনী। খুঁজে ফেরে হারানো অতীত। কপাল থেকে খসে পড়ে গোলাপের টিপ। বাতাসে এলোমেলো হয় চুলগুলো। অন্ধকারে সবুজ ঘাসের ওপর হেঁটে বেড়ায় একা একা। আকাশের তারাগুলো সাক্ষী হয়ে থাকে। আস্তে আস্তে নীরব হতে থাকে চারপাশ। নীরব হয়ে আসে মোহিনীর মনের উত্তাল সাগর। তবুও আজ অন্ধকারে হারাতে খুব ইচ্ছা করছে ওর। বাড়ি ফেরার তাড়া নেই আজ।
- See more at: http://
Aj 14-12-14 daily nayadiganta Abokash
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
সোহানুর রহমান অনন্ত
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশ যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে মেধা ও মননে, সে জন্য বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আসন্ন পরাজয়ের প্রতিহিংসা আগাম চরিতার্থ করতে তারা বেছে নিয়েছিল ঘৃণ্য এই কৌশল। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত আজ ১৪ ডিসেম্বর। গভীর বেদনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক দুই দিন আগে আসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আমরা স্মরণ করি জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, স্বাধীনতাসংগ্রা
মের
সূচনা থেকে শুরু করে চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক আগমুহূর্ত পর্যন্ত যাদের আমরা
হারিয়েছি। এই হারানোর তালিকা একেবারে ছোট নয়। আবার সে রাতে আমরা যাদেও
হারিয়েছি তাদের অনেকেই নিখোঁজ। পরে তাদের লাশও পাওয়া যায়নি। বহু বছর তারা
বেঁচে আছেন না মরে গেছেনÑ তা-ও জানা ছিল না। আমরা এই দিনে হারিয়েছি জাতির
শ্রেষ্ঠ সন্তান অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, জহির রায়হান, ড. মোফাজ্জল হায়দার
চৌধুরী, রাশেদুল হাসান, ড. আনোয়ার পাশা, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন,
শহীদুল্লাহ কায়সার, নিজামুদ্দীন আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী,
ডা. আলীম চৌধুরী, নাজমুল হক, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, সুরকার আলতাফ মাহমুদ,
সাহিত্যিক সেলিনা পারভীন, দানবীর শিানুরাগী রণদাপ্রসাদ সাহা, গোবিন্দচন্দ্র
দেব প্রমুখ। পাকিস্তান বিজয়ের ঠিক দুই দিন আগে আমাদের জাতিকে চিরতরে পঙ্গু
করে দিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক,
সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতিকর্মীসহ
বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে নিদারুণ
যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করে। এই দু’টি স্থান এখন
বধ্যভূমি হিসেবে সংরতি। মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে, ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের
মধ্যে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং
ইনস্টিটিউটে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে
হত্যা করে। কিন্তু কেন এই নির্মম হত্যাকাণ্ড? কারণ তারা জানত তাদের চরম
বিপর্যয় আসন্ন, তারা দাঁড়িয়ে আছে পরাজয়ের কিনারে, তখনই তারা সেই পরিকল্পনা
কার্যকর করে। তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে যায় চোখ বেঁধে, সবাইকে হত্যা
করে তারা স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে হত্যা করার পাশবিক আনন্দ লাভ করে।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ঘটনাটির এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, দেশেরই কিছু মানুষ তা
ঘটানোর েেত্র মূল ভূমিকা পালন করে। বলার অপেক্ষা রাখে না দেশদ্রোহীদের
সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া পাকিস্তানি হানাদারদের পে এতটা ব্যাপক এবং ল্যভেদী
হত্যাযজ্ঞ চালানো সম্ভব ছিল না। শহীদুল্লাহ কায়সারের মতো সাংবাদিক-সাহিত্ যিক আমরা আর কোথায় পাবো? কে আর আমাদের উপহার দিতে পারবেন সারেং বউ বা সংশপ্তক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বাংলার অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী সাহিত্যভারতী খেতাব পেয়েছিলেন
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একই বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার পাশার কবিতা
ছাপা হয়েছিল বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায়। রাইফেল রোটি আওরাত নামে
যে উপন্যাস তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলার সময়ই লিখেছেন, তার কি কোনো তুলনা হয়?
এরাই ছিলেন আমাদের জাতির গৌরব, মেধাবী মানুষ, সবচেয়ে যোগ্য পেশাজীবী। কেউ
চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ লেখক, কেউ সাংবাদিক। আলতাফ মাহমুদের মতো
সুরকার, গণসঙ্গীতশিল্পী,
যিনি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের সুর দিয়েছিলেন,
তার বিকল্প কোথায়? কোথায় বিকল্প পাবো দানবীর শিানুরাগী রণদাপ্রসাদ সাহার?
জহির রায়হানের জীবন থেকে নেয়া ছবিটিই বলে দেয় কতটা মেধাবী ছিলেন তিনি। তাই
১৪ ডিসেম্বর মানেই বিশাল এক শূন্যতা। যে শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। এ
ছাড়া আছে গোবিন্দচন্দ্র দেব, ডা. আলীম চৌধুরী, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন,
মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ডা. আজহারুল হক, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক
সেলিনা পারভীন, হাজারও নাম। একাত্তরে যারা শহীদ হয়েছেন, আর তাদের মধ্যে
অনেককেই ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তালিকা ধরে। সবচেয়ে বড় কথা তারা জাতির
শ্রেষ্ঠসন্তানদে র শুধু মেরেই
শান্ত হয়নি। বরং তাদের মেরে ফেলার আগে যে নির্যাতন করা হয় তা গা শিউরে ওঠার
মতো। এসব নির্যাতনের অনেক গল্পই হয়তো আমাদের অজানা। তাদের পরিবার আজো সেই
নির্যাতনের মর্মব্যথার কথা ভুলতে পারে না। ভুলতে পারার কথাও না। আমাদের
হাজারও বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী হারানোর তি আমরা আজো অনুভব করি, সে অভাব পূরণ
হওয়ার নয় জানি। আমাদের যে এতটা বছর লেগে যাচ্ছে উন্নতির সিঁড়িতে পা রাখতে,
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড তার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। জাতির এই শ্রেষ্ঠ
সন্তানদের আত্মত্যাগ আজ আমাদেরও জেগে ওঠার হাতিয়ার। তরুণ প্রজন্ম শ্রদ্ধার
সাথে তাদের স্মরণ করে সামনে এগিয়ে যাবে, এটাই হোক আজকের অঙ্গীকার। া - See
more at: http:// www.dailynayadig anta.com/ details.php?naya diganta=OTM3MjE %3D&s=MjI%3D&c= NzY%3D#sthash.z agZg2FH.dpuf
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
সোহানুর রহমান অনন্ত
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশ যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে মেধা ও মননে, সে জন্য বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আসন্ন পরাজয়ের প্রতিহিংসা আগাম চরিতার্থ করতে তারা বেছে নিয়েছিল ঘৃণ্য এই কৌশল। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত আজ ১৪ ডিসেম্বর। গভীর বেদনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক দুই দিন আগে আসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আমরা স্মরণ করি জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, স্বাধীনতাসংগ্রা
Monday, 1 December 2014
Aj 30-11-2014 daily nayadiganta Abokash_a amar lakha
বিশ্বের সেরা বিষধর সাপ
সোহানুর রহমান অনন্ত
সাপ নিয়ে আমাদের যতটা না কৌতূহল, তার চেয়ে বেশি ভয়। পৃথিবীতে বছরে প্রায় এক লাখ মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। প্রায় ৬০০ প্রজাতির বিষধর সাপ রয়েছে বিশ্বে। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত
বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ পৃথিবীময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বিশেষ করে এন্টার্কটিকা ছাড়া বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই জলে-স্থলে কম-বেশি সাপের বসবাস রয়েছে। অন্যান্য প্রাণী থেকে সাপ কিছুটা ভিন্ন স্থান দখল করে আছে তাদের বিষের কারণে। ছোট থেকে শুরু করে বড় যে রকম সাপই হোক না কেন, প্রচণ্ড সাহসী মানুষকে ভয় পাইয়ে দিতে পারে এক মুহূর্তে। সাপ নিয়ে আমাদের যতটা না কৌতূহল, তার চেয়ে বেশি ভয়। বিভিন্ন রকম সাপ আমাদের চোখে পড়ে। তার মধ্যে এমনও কিছু সাপ আছে যেগুলোর দৈর্ঘ্য, রঙ ও বিষের কারণে অন্যতম। পৃথিবীতে বছরে প্রায় এক লাখ মানুষ সাপের দংশনে মারা যায়। প্রায় ৬০০ প্রজাতির বিষধর সাপ রয়েছে বিশ্বে। আজ তেমনই কিছু বিষধর সাপের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো।
১. স্থল তাইপেন (Inland Taipan)
বিশ্বের বিষধর সাপ হিসেবে স্থল তাইপেন শীর্ষে রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম : Oxyuranus microlepidotus. এ সাপটি দেখতে হালকা বাদামি রঙের। গোখরো সাপের চেয়েও এর বিষ ৫০ গুণ বেশি বিষাক্ত। এই সাপ অস্ট্রেলিয়ায় বেশি চোখে পড়ে। হিংস্র সাপটি এক ছোবলে প্রায় ১১০ মিলিগ্রাম বিষ নির্গত করতে পারে। এই সাপের কামড়ে একটি মানুষের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে ৪০-৪৫ মিনিটই যথেষ্ট।
২. টাইগার সাপ (Tiger Snake)
টাইগার সাপ লম্বায় ৭ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এটি বিষধর সাপের মধ্যে অন্যতম স্থান দখল করে আছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম : Notechis scutatus। নদী, সমুদ্র, বিশেষ করে উপকূলীয় স্থান এরা পছন্দ করে। এর গায়ের রঙ হালকা কালচে বাদামি ও ডোরাকাটা। এর বিষ রক্ত ও মস্তিষ্ক অকার্য করে দেয়ার মতা রাখে।
৩. ডেথ অ্যাডার (Death Adder)
আপনি যদি বনজঙ্গলে শিকার করতে পছন্দ করেন, তাহলে ডেথ অ্যাডার সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকতে হবে। কেননা, সাপটি গাছের আড়ালে শিকারের আশায় লুকিয়ে থাকে। হুট করে আপনি যদি ওর সামনে পড়েন তাহলেই হয়েছে। মুহূর্তেই আপনার ওপর আক্রমণ করে বসবে। সাপটি দেখতে যতটা শান্ত, মূলত এটি ততটা শান্ত নয়। এর গায়ের রঙ লাল ও হুলুদ মিশ্রিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম : Acanthophis antarcticus.
৪. ডেজার্ট হর্ন
ভাইপার ডেজার্ট হর্ন ভাইপার মূলত ছদ্মবেশী সাপের মধ্যে অন্যতম। এ সাপের দুই চোখের ওপর দুটো ছোট ছোট শিং থাকে। এরা কোনাকুনিভাবে লাফিয়ে উঠে কামড়ে ধরতে পারে। শিকার করার জন্য এরা ছদ্মবেশ ধরে। কিন্তু তার মধ্যে যদি কোনো মানুষ সামনে পড়ে যায়, তাহলে ভয় না পেয়ে উল্টো আক্রমণ করে বসে। মধ্যপাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় এই সাপ বেশি চোখে পড়ে।
৫. ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক
অত্যন্ত বিষধর এই সাপ বাড়ির আনাচে-কানাচে বা মাঠঘাটে থাকে। ইঁদুরের লোভে প্রায়ই এরা বের হয় এবং শিকার করার জন্য ওঁৎ পেতে থাকে। এদের কামড় অত্যন্ত ভয়াবহ।
৬. চাপুল আইল্যান্ডের কালো টাইগার সাপ (Chappell Island Black tiger snake)-এর নাম কালো টাইগার হলেও মূলত এর রঙটিই শুধু কালো। এর শরীরে বাঘের মতো কোনো ডোরাকাটা দাগ নেই। বিষধর এ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম : Notechis serventyi. সাপটি খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে এবং উপকূলীয় স্থানে বেশি বসবাস করে। এরা লম্বায় ছয় ফুটের মতো হয়।
৭. গোয়ার্ডার (Gwardar)
দুর্ধর্ষ ও আক্রমণাত্মক সাপ হলো গোয়ার্ডার। এর গায়ের রঙ বাদামি বর্ণের। এর বসবাস অস্ট্রেলিয়ায়। বিষধর সাপের মধ্যে গোয়ার্ডার অন্যতম। একটি গোয়ার্ডার এক ছোবলে প্রায় ৩ মিলিগ্রাম বিষ ছাড়তে পারে, যা রক্ত ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়ার মতা রাখে। বৈজ্ঞানিক নাম : Pseudonaja nuchalis।
৮. জংলি গোখরা (Forest Cobra)
গোখরা সাপ বনজঙ্গলে থাকতে পছন্দ করে। এরা লম্বায় অনেক বড় হয় এবং বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এরা সহজেই এক গাছ থেকে অন্য গাছে চলাফেরা করতে পারে। এদের ফণা সব সাপের চেয়ে বড়। এরা খুব বড় শিকার করতে পারে। গোখরা সাপ একবার কামড়ে ধরলে সহজে ছাড়ে না। এটি তেমন দ্রুতগামী সাপ নয়। বনজঙ্গলেই এদের বেশি চলাফেরা। তবে ভালো খবর হলো, গোখরা সাপের বিষ স্নায়ুরোগ আলঝেইমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারত এবং বিশ্বের অনেক দেশে গোখরা সাপ চোখে পড়ে। া
বিশ্বের সেরা বিষধর সাপ
সোহানুর রহমান অনন্ত
সাপ নিয়ে আমাদের যতটা না কৌতূহল, তার চেয়ে বেশি ভয়। পৃথিবীতে বছরে প্রায় এক লাখ মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। প্রায় ৬০০ প্রজাতির বিষধর সাপ রয়েছে বিশ্বে। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত
বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ পৃথিবীময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বিশেষ করে এন্টার্কটিকা ছাড়া বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই জলে-স্থলে কম-বেশি সাপের বসবাস রয়েছে। অন্যান্য প্রাণী থেকে সাপ কিছুটা ভিন্ন স্থান দখল করে আছে তাদের বিষের কারণে। ছোট থেকে শুরু করে বড় যে রকম সাপই হোক না কেন, প্রচণ্ড সাহসী মানুষকে ভয় পাইয়ে দিতে পারে এক মুহূর্তে। সাপ নিয়ে আমাদের যতটা না কৌতূহল, তার চেয়ে বেশি ভয়। বিভিন্ন রকম সাপ আমাদের চোখে পড়ে। তার মধ্যে এমনও কিছু সাপ আছে যেগুলোর দৈর্ঘ্য, রঙ ও বিষের কারণে অন্যতম। পৃথিবীতে বছরে প্রায় এক লাখ মানুষ সাপের দংশনে মারা যায়। প্রায় ৬০০ প্রজাতির বিষধর সাপ রয়েছে বিশ্বে। আজ তেমনই কিছু বিষধর সাপের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো।
১. স্থল তাইপেন (Inland Taipan)
বিশ্বের বিষধর সাপ হিসেবে স্থল তাইপেন শীর্ষে রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম : Oxyuranus microlepidotus. এ সাপটি দেখতে হালকা বাদামি রঙের। গোখরো সাপের চেয়েও এর বিষ ৫০ গুণ বেশি বিষাক্ত। এই সাপ অস্ট্রেলিয়ায় বেশি চোখে পড়ে। হিংস্র সাপটি এক ছোবলে প্রায় ১১০ মিলিগ্রাম বিষ নির্গত করতে পারে। এই সাপের কামড়ে একটি মানুষের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে ৪০-৪৫ মিনিটই যথেষ্ট।
২. টাইগার সাপ (Tiger Snake)
টাইগার সাপ লম্বায় ৭ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এটি বিষধর সাপের মধ্যে অন্যতম স্থান দখল করে আছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম : Notechis scutatus। নদী, সমুদ্র, বিশেষ করে উপকূলীয় স্থান এরা পছন্দ করে। এর গায়ের রঙ হালকা কালচে বাদামি ও ডোরাকাটা। এর বিষ রক্ত ও মস্তিষ্ক অকার্য করে দেয়ার মতা রাখে।
৩. ডেথ অ্যাডার (Death Adder)
আপনি যদি বনজঙ্গলে শিকার করতে পছন্দ করেন, তাহলে ডেথ অ্যাডার সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকতে হবে। কেননা, সাপটি গাছের আড়ালে শিকারের আশায় লুকিয়ে থাকে। হুট করে আপনি যদি ওর সামনে পড়েন তাহলেই হয়েছে। মুহূর্তেই আপনার ওপর আক্রমণ করে বসবে। সাপটি দেখতে যতটা শান্ত, মূলত এটি ততটা শান্ত নয়। এর গায়ের রঙ লাল ও হুলুদ মিশ্রিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম : Acanthophis antarcticus.
৪. ডেজার্ট হর্ন
ভাইপার ডেজার্ট হর্ন ভাইপার মূলত ছদ্মবেশী সাপের মধ্যে অন্যতম। এ সাপের দুই চোখের ওপর দুটো ছোট ছোট শিং থাকে। এরা কোনাকুনিভাবে লাফিয়ে উঠে কামড়ে ধরতে পারে। শিকার করার জন্য এরা ছদ্মবেশ ধরে। কিন্তু তার মধ্যে যদি কোনো মানুষ সামনে পড়ে যায়, তাহলে ভয় না পেয়ে উল্টো আক্রমণ করে বসে। মধ্যপাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় এই সাপ বেশি চোখে পড়ে।
৫. ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক
অত্যন্ত বিষধর এই সাপ বাড়ির আনাচে-কানাচে বা মাঠঘাটে থাকে। ইঁদুরের লোভে প্রায়ই এরা বের হয় এবং শিকার করার জন্য ওঁৎ পেতে থাকে। এদের কামড় অত্যন্ত ভয়াবহ।
৬. চাপুল আইল্যান্ডের কালো টাইগার সাপ (Chappell Island Black tiger snake)-এর নাম কালো টাইগার হলেও মূলত এর রঙটিই শুধু কালো। এর শরীরে বাঘের মতো কোনো ডোরাকাটা দাগ নেই। বিষধর এ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম : Notechis serventyi. সাপটি খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে এবং উপকূলীয় স্থানে বেশি বসবাস করে। এরা লম্বায় ছয় ফুটের মতো হয়।
৭. গোয়ার্ডার (Gwardar)
দুর্ধর্ষ ও আক্রমণাত্মক সাপ হলো গোয়ার্ডার। এর গায়ের রঙ বাদামি বর্ণের। এর বসবাস অস্ট্রেলিয়ায়। বিষধর সাপের মধ্যে গোয়ার্ডার অন্যতম। একটি গোয়ার্ডার এক ছোবলে প্রায় ৩ মিলিগ্রাম বিষ ছাড়তে পারে, যা রক্ত ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়ার মতা রাখে। বৈজ্ঞানিক নাম : Pseudonaja nuchalis।
৮. জংলি গোখরা (Forest Cobra)
গোখরা সাপ বনজঙ্গলে থাকতে পছন্দ করে। এরা লম্বায় অনেক বড় হয় এবং বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এরা সহজেই এক গাছ থেকে অন্য গাছে চলাফেরা করতে পারে। এদের ফণা সব সাপের চেয়ে বড়। এরা খুব বড় শিকার করতে পারে। গোখরা সাপ একবার কামড়ে ধরলে সহজে ছাড়ে না। এটি তেমন দ্রুতগামী সাপ নয়। বনজঙ্গলেই এদের বেশি চলাফেরা। তবে ভালো খবর হলো, গোখরা সাপের বিষ স্নায়ুরোগ আলঝেইমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারত এবং বিশ্বের অনেক দেশে গোখরা সাপ চোখে পড়ে। া
Aj 01-12-2014 daily bangladesh potidina-ar rokomari rommo-ta amr lakha<< porun r biya korun
শীতে বিয়ে করার সুবিধা
দিল্লিকা লাড্ডু। হ্যাঁ ভাই ঠিকই ধরছেন। বিয়ের কথা বলা হচ্ছে। শীত আর বিয়ের সঙ্গে মুধুর একটা সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। বুদ্ধিমানরা শীতে বিয়ে করে কেন? সেটাই জানাচ্ছেন- সোহানুর রহমান অনন্ত
* অতিরিক্ত বাজার করতে হবে না : শীত এলেই অনেকের ঠোঁট ফাটার সমস্যা হয়, আবার কারও বাতের ব্যারাম চেইত্তা যায়, অনেকের প্রেসার দিনে একশোবার আপ-ডাউন করে। আর সেই কারণে অনেক মানুষই বেশি খেতে পারে না। আর বেশি খেতে না পাড়া মানে আপনার বাড়তি বাজারের টাকাটা বেচে গেল।
* মৌসুমী ফল কেনার টেনশন নেই : গরম কালের মতো শীতে আম, লিচুর অতো বাম্পার ফলন নেই, তাই ফল কেনার ঝামেলাও নেই। একান্ত দরকার হলে ফল নয় বরং বাম্পার সবজি ফুলকপি নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে চলে যান। এত বড় সাইজের ফুল পেয়ে কার না মন ভালো হয়? পছন্দ না হলেও সমস্যা নেই রান্না করে খেয়ে ফেলা যাবে।
* কারেন্ট বিল বেঁচে যায় : শীতকালে এমনিতেই ফ্যান চলে না, তার ওপর নতুন বউ ঘরে থাকলে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর একটা তাড়া থাকে বলে গুজব আছে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমানো মানে, সব লাইট-টিভি বন্ধ। আর সেই কারণে আপনার বিলটাও কম আসবে। বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
* মশারি টানানোর ক্যাচাল নেই : নতুন বউয়ের দিকে তাকালে এমনিতেই মাথার নেটওয়ার্ক হারিয়ে যায়। যেহেতু ঋতুটা শীতের তাই আপনার নেটওয়ার্ক হারাক আর তার-খাম্বা হারাক। আপনি যত অলসই হোন না কেন, মশারি টানানো নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা নেই। কারণ কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমালে মশা কামড়ানোর আর কোনো চান্স নেই।
* প্রাইভেট কার খরচ বাঁচে : বিয়েবাড়িতে যেতে হলে পাবলিক একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। গরম হলে তো একজনের সঙ্গে আরেকজনের গা লাগতেই লাফিয়ে উঠে। তাই গাড়ি নিতে হয় বেশি। বাট শীতকালে বিয়ে করলে আপনি, সব পাবলিকরে গাদাগাদি করে এক গাড়িতে ঢুকিয়ে দিতে পারবেন। এর জন্য বেশি গাড়ি ভাড়া করার দরকার নেই।
* চাঙ্গা ব্যবসা : শীতকালে বিয়ে হলে সবচেয়ে বেশি উপহার পাওয়া যায় কম্বল। অতিরিক্ত কম্বল বিক্রির ব্যবসা করতে পারেন।
শীতে বিয়ে করার সুবিধা
দিল্লিকা লাড্ডু। হ্যাঁ ভাই ঠিকই ধরছেন। বিয়ের কথা বলা হচ্ছে। শীত আর বিয়ের সঙ্গে মুধুর একটা সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। বুদ্ধিমানরা শীতে বিয়ে করে কেন? সেটাই জানাচ্ছেন- সোহানুর রহমান অনন্ত
* অতিরিক্ত বাজার করতে হবে না : শীত এলেই অনেকের ঠোঁট ফাটার সমস্যা হয়, আবার কারও বাতের ব্যারাম চেইত্তা যায়, অনেকের প্রেসার দিনে একশোবার আপ-ডাউন করে। আর সেই কারণে অনেক মানুষই বেশি খেতে পারে না। আর বেশি খেতে না পাড়া মানে আপনার বাড়তি বাজারের টাকাটা বেচে গেল।
* মৌসুমী ফল কেনার টেনশন নেই : গরম কালের মতো শীতে আম, লিচুর অতো বাম্পার ফলন নেই, তাই ফল কেনার ঝামেলাও নেই। একান্ত দরকার হলে ফল নয় বরং বাম্পার সবজি ফুলকপি নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে চলে যান। এত বড় সাইজের ফুল পেয়ে কার না মন ভালো হয়? পছন্দ না হলেও সমস্যা নেই রান্না করে খেয়ে ফেলা যাবে।
* কারেন্ট বিল বেঁচে যায় : শীতকালে এমনিতেই ফ্যান চলে না, তার ওপর নতুন বউ ঘরে থাকলে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর একটা তাড়া থাকে বলে গুজব আছে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমানো মানে, সব লাইট-টিভি বন্ধ। আর সেই কারণে আপনার বিলটাও কম আসবে। বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
* মশারি টানানোর ক্যাচাল নেই : নতুন বউয়ের দিকে তাকালে এমনিতেই মাথার নেটওয়ার্ক হারিয়ে যায়। যেহেতু ঋতুটা শীতের তাই আপনার নেটওয়ার্ক হারাক আর তার-খাম্বা হারাক। আপনি যত অলসই হোন না কেন, মশারি টানানো নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা নেই। কারণ কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমালে মশা কামড়ানোর আর কোনো চান্স নেই।
* প্রাইভেট কার খরচ বাঁচে : বিয়েবাড়িতে যেতে হলে পাবলিক একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। গরম হলে তো একজনের সঙ্গে আরেকজনের গা লাগতেই লাফিয়ে উঠে। তাই গাড়ি নিতে হয় বেশি। বাট শীতকালে বিয়ে করলে আপনি, সব পাবলিকরে গাদাগাদি করে এক গাড়িতে ঢুকিয়ে দিতে পারবেন। এর জন্য বেশি গাড়ি ভাড়া করার দরকার নেই।
* চাঙ্গা ব্যবসা : শীতকালে বিয়ে হলে সবচেয়ে বেশি উপহার পাওয়া যায় কম্বল। অতিরিক্ত কম্বল বিক্রির ব্যবসা করতে পারেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)