৫ জানুয়ারি ২০১৫, রবিবার, > daily nayadiganta Abokash patay
রহস্যে ঘেরা সুইসাইড ফরেস্ট
সোহানুর রহমান অনন্ত
জাপানের ওয়াকিগহারা এমন একটি বন যেখানে মানুষ যায় কেবল সুইসাইড করতে। এটি সি অব ট্রিজ অথবা গাছের সমুদ্র নামেও পরিচিত। সেখানে সুইসাইডের সংখ্যা এতটাই বেশি যে, সুইসাইড ফরেস্ট নামে এই বনটি বেশি পরিচিত। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত পৃথিবীর রহস্য আজো রহস্যই রয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত এই মহাবিশ্বে এমন অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে, বিজ্ঞান যার ব্যাখ্যা সহজে দিতে পারে না। সারা জীবন খুঁজেও কিছু উত্তর আমরা পাই না। বন বলতেই আমরা প্রকৃতির সুন্দর লীলাভূমিকে বুঝি। যেখানে গেলে মানুষ বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে পারে। ক্ষণিকের জন্য হলেও জীবনের ব্যস্ততাকে ভুলে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেই বনই যদি হয় জীবন ত্যাগ করার অন্যতম স্থান, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে? কথাগুলো কাল্পনিক নয়, জাপানের ওয়াকিগহারা এমন একটি বন যেখানে মানুষ যায় কেবল সুইসাইড করতে। এটি সি অব ট্রিজ অথবা গাছের সমুদ্র নামেও পরিচিত। অবশ্য সেখানে সুইসাইডের সংখ্যা এতই বেশি যে, সুইসাইড ফরেস্ট নামে বনটি বেশি পরিচিত। জাপানিদের মতে, এই বনে যে একবার প্রবেশ করে সে আর কখনো ফিরে আসে না। যারা হতাশা নিয়ে বেঁচে আছে কিংবা প্রতিনিয়ত কষ্টের মাঝে দিন কাটাচ্ছে, তারাই এই বনে যায় সবার অজান্তে আত্মহত্যা করার জন্য। ১৯৮৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গড়ে প্রতি বছরই ১০০ জন ব্যক্তি এই বনে এসে আত্মহত্যা করে। ২০০২ সালে এই বনে ৭৮টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। দিন দিন মৃতের সংখ্যা বাড়তেই থাকে। বনের ভেতর গেলেই চোখে পড়ে মৃত মানুষের অসংখ্য হাড় অথবা গাছের সাথে ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ। এভাবেই বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মাঝে এক অপার রহস্যের কেন্দবিন্দুতে রূপ নেয় বনটি। কী আছে এই বনের মধ্যে, যে কারণে সেখানে একবার গেলে মানুষ জীবনের মায়া ভুলে যায়? এর সঠিক উত্তর আজো কেউ দিতে পারেনি। যদিও বনটির প্রবেশমুখে বড় সাইনবোর্ডে লেখা আছেÑ ‘জীবন এখানেই শেষ নয়, আরেকবার চেষ্টা করে দেখুন’। ‘একবার হেরে যাওয়া মানে চিরদিনের জন্য হেরে যাওয়া নয়’। তবুও আত্মহত্যার মিছিল কমেনি। ৩৫ বর্গকিলোমিটারের এ জঙ্গলটির রহস্যের কোনো কূলকিনারা আজো মানুষ বের করতে পারেনি। জাপানিদের মতে, এ বনে প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়ায় এবং যে একবার ভেতরে যায় তাকে আর ফিরতে দেয় না। তবে বিজ্ঞানের ভাষায় এ বনটি একেবারে সুমসাম, সারাণ নীরবতা বিরাজ করে। তাই এ জায়গা আত্মহত্যার জন্য আদর্শ স্থান ভেবেই সেখানে মানুষ আত্মহত্যা করতে যায়। প্রতি বছর এই বন থেকে শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৯৭০ সালে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করা হয়, যাদের কাজ মৃতদেহগুলো খুঁজে বের করা এবং যারা আত্মহত্যার জন্য আসে, তাদেরকে অনুৎসাহিত করা। জঙ্গলের ভেতরে বিভিন্ন গাছে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো। আত্মহত্যার জন্য স্থানটি বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন ব্রিজ। এই জঙ্গল নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে অনেকেরই ধারণা, ওই জায়গাটি নিয়ে লেখা একটি উপন্যাস থেকে উৎসাহিত হয়ে এটা করে থাকতে পারে মানুষ। তবে এটা মানতে নারাজ বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ। হিসাব মতে, এখানে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মার্চ মাসে। এর বেশির ভাগই হয় ফাঁসিতে ঝুলে কিংবা মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে। এই বনের রহস্য আজো রহস্যই রয়ে গেছে। এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি।
রহস্যে ঘেরা সুইসাইড ফরেস্ট
সোহানুর রহমান অনন্ত
জাপানের ওয়াকিগহারা এমন একটি বন যেখানে মানুষ যায় কেবল সুইসাইড করতে। এটি সি অব ট্রিজ অথবা গাছের সমুদ্র নামেও পরিচিত। সেখানে সুইসাইডের সংখ্যা এতটাই বেশি যে, সুইসাইড ফরেস্ট নামে এই বনটি বেশি পরিচিত। লিখেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত পৃথিবীর রহস্য আজো রহস্যই রয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত এই মহাবিশ্বে এমন অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে, বিজ্ঞান যার ব্যাখ্যা সহজে দিতে পারে না। সারা জীবন খুঁজেও কিছু উত্তর আমরা পাই না। বন বলতেই আমরা প্রকৃতির সুন্দর লীলাভূমিকে বুঝি। যেখানে গেলে মানুষ বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে পারে। ক্ষণিকের জন্য হলেও জীবনের ব্যস্ততাকে ভুলে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সেই বনই যদি হয় জীবন ত্যাগ করার অন্যতম স্থান, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে? কথাগুলো কাল্পনিক নয়, জাপানের ওয়াকিগহারা এমন একটি বন যেখানে মানুষ যায় কেবল সুইসাইড করতে। এটি সি অব ট্রিজ অথবা গাছের সমুদ্র নামেও পরিচিত। অবশ্য সেখানে সুইসাইডের সংখ্যা এতই বেশি যে, সুইসাইড ফরেস্ট নামে বনটি বেশি পরিচিত। জাপানিদের মতে, এই বনে যে একবার প্রবেশ করে সে আর কখনো ফিরে আসে না। যারা হতাশা নিয়ে বেঁচে আছে কিংবা প্রতিনিয়ত কষ্টের মাঝে দিন কাটাচ্ছে, তারাই এই বনে যায় সবার অজান্তে আত্মহত্যা করার জন্য। ১৯৮৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গড়ে প্রতি বছরই ১০০ জন ব্যক্তি এই বনে এসে আত্মহত্যা করে। ২০০২ সালে এই বনে ৭৮টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। দিন দিন মৃতের সংখ্যা বাড়তেই থাকে। বনের ভেতর গেলেই চোখে পড়ে মৃত মানুষের অসংখ্য হাড় অথবা গাছের সাথে ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ। এভাবেই বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মাঝে এক অপার রহস্যের কেন্দবিন্দুতে রূপ নেয় বনটি। কী আছে এই বনের মধ্যে, যে কারণে সেখানে একবার গেলে মানুষ জীবনের মায়া ভুলে যায়? এর সঠিক উত্তর আজো কেউ দিতে পারেনি। যদিও বনটির প্রবেশমুখে বড় সাইনবোর্ডে লেখা আছেÑ ‘জীবন এখানেই শেষ নয়, আরেকবার চেষ্টা করে দেখুন’। ‘একবার হেরে যাওয়া মানে চিরদিনের জন্য হেরে যাওয়া নয়’। তবুও আত্মহত্যার মিছিল কমেনি। ৩৫ বর্গকিলোমিটারের এ জঙ্গলটির রহস্যের কোনো কূলকিনারা আজো মানুষ বের করতে পারেনি। জাপানিদের মতে, এ বনে প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়ায় এবং যে একবার ভেতরে যায় তাকে আর ফিরতে দেয় না। তবে বিজ্ঞানের ভাষায় এ বনটি একেবারে সুমসাম, সারাণ নীরবতা বিরাজ করে। তাই এ জায়গা আত্মহত্যার জন্য আদর্শ স্থান ভেবেই সেখানে মানুষ আত্মহত্যা করতে যায়। প্রতি বছর এই বন থেকে শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৯৭০ সালে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করা হয়, যাদের কাজ মৃতদেহগুলো খুঁজে বের করা এবং যারা আত্মহত্যার জন্য আসে, তাদেরকে অনুৎসাহিত করা। জঙ্গলের ভেতরে বিভিন্ন গাছে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো। আত্মহত্যার জন্য স্থানটি বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন ব্রিজ। এই জঙ্গল নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে অনেকেরই ধারণা, ওই জায়গাটি নিয়ে লেখা একটি উপন্যাস থেকে উৎসাহিত হয়ে এটা করে থাকতে পারে মানুষ। তবে এটা মানতে নারাজ বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ। হিসাব মতে, এখানে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মার্চ মাসে। এর বেশির ভাগই হয় ফাঁসিতে ঝুলে কিংবা মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে। এই বনের রহস্য আজো রহস্যই রয়ে গেছে। এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি।
No comments:
Post a Comment